This Article is From Mar 14, 2019

আরটিআই-এর পর রাফাল মামলায় একটি 'বিবর্তন' হয়েছে, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

রাফাল চুক্তির (Rafale documents) নথি নিয়ে গোপনীয়তা সংক্রান্ত তত্ত্বের কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে বিষয়টির সঙ্গে তথ্যের অধিকার আইন জড়িয়ে যাওয়ার পর।

নিউ দিল্লি:

রাফাল চুক্তির (Rafale documents) নথি নিয়ে গোপনীয়তা সংক্রান্ত তত্ত্বের কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে বিষয়টির সঙ্গে তথ্যের অধিকার আইন জড়িয়ে যাওয়ার পর। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এই মামলাটির (Rafale case) পিটিশনের শুনানির সময় এমন একটি ইঙ্গিতই দিল শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত, পিটিশনাররা অবৈধভাবে সরকারি নথিপত্রের হদিশ পেয়েছেন এবং অতি জরুরি সেইসব নথিপত্রকে প্রকাশ্যে এনে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে ছেলেখেলা করছেন, এমন অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টের কাছে বুধবারই তুলেছিল কেন্দ্র।  সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জানালেন, "তথ্যের অধিকার আইনটি বলবৎ করার পর অনেককিছুই জানা যাচ্ছে। অনেক নতুন কিছু। একটা পূর্ণাঙ্গ পরিবর্তনই এসেছে এই আইনটির হাত ধরে। আর, যেখানে দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্ন থাকে, সেখানে অতি স্পর্শকাতর সংগঠনকেও তথ্যের অধিকার আইন মোতাবেক তথ্য প্রকাশ করতেই হয়"।

প্রসঙ্গত, এর আগে, রাফাল চুক্তি সংক্রান্ত মামলাটির শুনানির সময় কেন্দ্র জানিয়েছিল, সংশ্লিষ্ট চুক্তি সংক্রান্ত বহু গুরত্বপূর্ণ নথি চুরি হয়ে গিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক থেকে। কেন্দ্রের এই দাবির পর গোটা দেশ জুড়ে হইচই পড়ে যায়। সরব হয় বিরোধীরাও। তারা প্রশ্ন তোলে, এত গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলো চুরি হয়ে গেল কী করে?

আরও পড়ুনঃ মোদীকে নিয়ে করা রাহুলের মন্তব্য পাক-সংবাদপত্রের শিরোনাম হবেঃ রবিশঙ্কর

তারপর সরকারের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল জানান, কোনও নথি চুরি হয়নি। প্রতিরক্ষামন্ত্রক থেকে সেগুলির প্রতিলিপি বের করে নেওয়া হয়েছিল।

কেন্দ্র তার পিটিয়নে জানায়, "এই নথিগুলি সরকারি নিরাপত্তা আইনের আওতায় পড়ে। কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়া কোনওভাবেই এগুলিকে প্রকাশ্যে আনা যায় না"।

কেন্দ্র আরও জানায়, যাঁরা এই নথিগুলির প্রতিলিপি নিয়েছেন, তাঁরা আসলে প্রকারান্তরে ভারতের সঙ্গে  অন্যান্য দেশগুলির চুক্তিকেও লঙ্ঘন করেছেন। 

অন্যদিকে, এডিটরস গিল্ড দ্ব্যর্থহীন ভাষায় সরকারের অবস্থানের তীব্র সমালোচনা করে বলেছে, মিডিয়ার বিরুদ্ধে সরকারি নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করা কোনও সাংবাদিককে তাঁর সূত্র জিজ্ঞাসা করার মতোই 'নিন্দনীয়'।

দ্য হিন্দু পাবলিশিং গ্রুপের চেয়ারম্যান এন রাম জানান, দেশের মানুষের স্বার্থেই ওই নথিগুলি প্রকাশ করা হয়েছে। কোন সূত্র থেকে তাঁরা তা পেয়েছিলেন, সেটি কোনওভাবেই জানানো হবে না।

.