This Article is From Jun 24, 2018

হাই কমিশনারকে সাক্ষাতে বাধা, তলব পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত

পাকিস্তানে অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশনারের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে" বলে সূত্রের খবর।

হাই কমিশনারকে সাক্ষাতে বাধা, তলব পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত

এ বিষয়ে ভারত সরকার তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে

নিউ দিল্লি: পাকিস্তানে ভারতীয় হাই কমিশনারকে দর্শনাথীদের সাথে সাক্ষাতে বাধা দেওয়ায় তলব করা হল পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতকে। পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার অজয় বিসারিয়াকে একটি গুরুদ্বারে তীর্থযাত্রীদের সাথে সাক্ষাতে বাধা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আজ শনিবার ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তানের ডেপুটি হাই কমিশনারকে তলব করা হয় এবং এই বিষয়ে তাঁকে তীব্র ভৎসনা করা হয়। 

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার হাই কমিশনারকে ইসলামাবাদের নিকটস্থ পাজাঁ সাহিব গুরুদ্বয়ারে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয় যদিও তাঁর কাছে পাকিস্তানী বিদেশমন্ত্রকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল। এমএইএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও  ভারতীয় হাই কমিশনার ও অনান্য বিদেশমন্ত্রকের আধিকারিকদের পাজাঁ শরিফ গুরুদ্বয়ারে ঢুকতে ও তীর্থযাত্রীদের সাথে সাক্ষাতে বাধা দেওয়ার কারণে পাকিস্তানের ডেপুটি হাই কমিশনারকে শনিবার তলব করা হয়। পাকিস্তানে অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশনারের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে" বলে সূত্রের খবর। এই প্রথম নয়, উপর্যুপরি দুবার বিসারিয়াকে পাকিস্তানে তীর্থযাত্রায় যাওয়া ভারতীয় নাগরিকদের সাথে সাক্ষাতে বাধা দেওয়া হলো।

গত এপ্রিলেও এ বিষয়ে ভারত সরকার তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে যখন বিসারিয়া ও ভারতীয় দূতাবাসের অনান্য আধিকারিকদের এই একই গুরুদ্বয়ারে প্রবেশ এবং তীর্থযাত্রীদের সাথে সাক্ষাতে বাধা দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে 'ব্যাখ্যাতীত কূটনৈতিক অসৌজন্য' আখ্যা দিয়ে পাকিস্তানে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের প্রতি দায়বদ্ধতা পালনের ক্ষেত্রে পাকিস্তান বাধাদানেরচেষ্টা করছে বলে জানানো হয়। মন্ত্রক সূত্রে খবর,ভারতীয় আয়োজক তথা গুরদ্বয়ারা প্রবন্ধক কমিটির পক্ষ থেকেও এ ঘটনায় গভীর চিন্তা এবং অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে যেখানে আগে থেকেই ভারতীয় দর্শনার্থীদের পক্ষ থেকে হাই কমিশনারের সাথে সাক্ষাতের বিষয় পাকিস্তানী আয়োজকদের জানিয়ে রাখা হয়েছিলো। শুধু তাই নয়, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী দুদেশের নাগরিকদের বিনা বাধায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ অধিকার রয়েছে।

তাহলে কেন বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের প্ররোচিত করা এবং ভারতে সক্রিয় বিছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোকে পাকিস্তানী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সক্রিয় মদতদান করার মত বিষয়গুলিতে পাকিস্তান সরকারকে সতর্ক করার পাশাপাশি এ ধরণের কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে পাকিস্তানকে। সর্বোপরি, এধরণের আচরণ 1961 সালের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিষয়ক ভিয়েনা চুক্তি ও 1974 সালে ধর্মীয় স্থান পরিদর্শন সম্পর্কিত দ্বিপাক্ষিক চুক্তির কথা স্মরণ করানো হয়েছে যাতে ভবিষ্যতে এই ধরণের আচরণের আর বহিঃপ্রকাশ না ঘটে।

(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)
.