This Article is From Jul 29, 2019

জনসংযোগের চেষ্টাই প্রমাণ করে জনতার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে তৃণমূল, বলল বিজেপি

রাজ্যের সাধারণ মানুষের নানান অভাব অভিযোগ শুনতে এবং জনসংযোগ বৃদ্ধির জন্যই ওই হেল্পলাইন "দিদিকে বলো" চালু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)।

জনসংযোগের চেষ্টাই প্রমাণ করে জনতার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে তৃণমূল, বলল বিজেপি

ক্রমশই জনতার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল, বলল বিজেপি

কলকাতা:

তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সোমবারই চালু করেছেন "দিদিকে বলো" নামের এক নয়া হেল্প লাইন। রাজ্যের সাধারণ মানুষের নানান অভাব অভিযোগ শুনতে এবং জনসংযোগ বৃদ্ধির জন্যই ওই হেল্পলাইন "দিদিকে বলো" চালু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। আর তৃণমূল কংগ্রেসের জনসংযোগের এই প্রচেষ্টাকেই কটাক্ষ করেছে বিরোধী দল বিজেপি (BJP)। তাদের দাবি, এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে আসলে জনগণের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি আরও দাবি করেছে যে, "দিদিকে বলো"- মাধ্যম দিয়ে আসলে বহু আগে ভারতীয় জনতা পার্টির জনসংযোগের এক প্রক্রিয়াকেই নকল করেছে রাজ্যের শাসক দল। আর এই জনসংযোগের প্রক্রিয়ার মধ্যে নতুন কিছু নেই বলেও কটাক্ষ করে বিজেপি।

জনসংযোগে “দিদিকে বলো”, হেল্পলাইন চালু করল তৃণমূল কংগ্রেস

গ্রামের সাধারণ মানুষের কথা এবং তাঁদের অভাব অভিযোগের কথা শুনতে এদিন নজরুল মঞ্চ থেকে “টেল দিদি” বা “দিদিকে বলো” (Didi ke Bolo) নামে হেল্পলাইন চালু করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই হেল্পলাইনের মাধ্যমে রাজ্যের শাসকদলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে, নিজেদের দাবিদাওয়া বা অভিযোগ তুলে ধরতে পারবেন।  জনসাধারণের আরও কাছে পৌঁছতে তৃণমূলনেত্রী www.didikebolo.com নামে একটি ওয়েবসাইটও চালু করেন।

একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরম আস্থাভাজন মুকুল রায় (Mukul Roy), যিনি ২০১৭ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন, তিনি তৃণমূলের এই প্রয়াসকে কটাক্ষ করে বলেন, "হেল্পলাইন এবং ওয়েবসাইটের সূচনা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখনও কোনও জনসংযোগ গড়ে উঠেনি এবং জনগণের সঙ্গে ক্রমশই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে তাঁরা।"

এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের সাম্প্রতিক এই পদক্ষেপটি রাজনৈতিক কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কপ্রসূত বলেই মনে করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়।

২০২১ সালের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণ করতে ইতিমধ্যেই প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা  ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি (আই-প্যাক) -কে নিযুক্ত করা হয়েছে।

লক্ষ্য বিধানসভা, বিজেপির মনোযোগে এখন ‘অপারেশন বেঙ্গল'

বাবুল সুপ্রিয় আরও বলেন, "যে সমস্ত মানুষেরা 'পরিবর্তন' চেয়েছিলেন তাঁরাই এখন তৃণমূলের উপর বিরক্ত এবং এর হাত থেকে মুক্তি পেতে চাইছেন তাঁরা"। ২০১১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে  'পরিবর্তন' করার আহ্বান জানিয়েছিলেন, নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর দেখা যায় তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয়েছে এবং তারপর এই রাজ্যে ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে প্রথমবার ক্ষমতায় বসে ঘাসফুলের দল।

তৃণমূলের (TMC) এই জনসংযোগের পদ্ধতিকে কটাক্ষ করেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, এই রকম পদক্ষেপ বহু আগে বিজেপির তরফ থেকে নেওয়া হয়েছিল। এবার সেই পদক্ষেপকেই নকল করে জনসংযোগ বৃদ্ধি করতে চাইছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে যেভাবে রাজ্যে গেরুয়া দলের উত্থান হয়েছে এবং তৃণমূল কংগ্রেসের আসন সংখ্যা কমেছে, মনে করা হচ্ছে তাতেই অশনী সংকেত দেখছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর তাই জনসংযোগ বৃদ্ধি করতে এবং আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের মানুষের মন পেতে এই "দিদিকে বলো" হেল্পলাইনের মাধ্যমে জনসংযোগ বৃদ্ধির প্রচেষ্টা শাসক দলের (TMC) ।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.