This Article is From Jul 18, 2019

২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসে কি বিশেষ পরামর্শক প্রশান্ত কিশোর? নির্বাচনী কৌশল নিয়ে চুপ তৃণমূল

আগামী ২১ জুলাই, শহিদ দিবসের মঞ্চই তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তি পরীক্ষার মঞ্চ বলে মনে করছেন অনেকেই

২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসে কি বিশেষ পরামর্শক প্রশান্ত কিশোর? নির্বাচনী কৌশল নিয়ে চুপ তৃণমূল

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে চান না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা:

আগামী ২১ জুলাই, প্রতিবছরের মতো ওইদিনও শহিদ দিবস পালন করবে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)।মনে করা হচ্ছে ওইদিন থেকেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে লড়াইয়ের ডাক দেবে রাজ্যের শাসক দলটি। তৃণমূলের শহিদ দিবস (Martyrs Day) এক অর্থে যেন ওই শাসক দলের এক শক্তি পরীক্ষার মঞ্চ। কেননা ইতিমধ্যেই এ রাজ্যে (West Bengal) নিজেদের জমি শক্ত করতে শুরু করেছে বিরোধী দল বিজেপি। ইতিমধ্যেই ২০২১ –এর বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রস্তুতি নিতে নির্বাচনের কৌশলগত মুখপাত্র হিসাবে প্রশান্ত কিশোরকে (Prasant Kishore) নিয়োগ করেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গতবছরের শহীদ দিবসের সমাবেশে,  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেইসময় আসন্ন লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসন দখলেরই ডাক দিয়েছিলেন। তবে তারপর থেকে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গেছে। দলের নেতারা প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও,  তাঁরা জানেন যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal elections) লড়াইটা খুব একটা সহজ হবে না। কেননা, গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলেই দেখা গেছে যে পশ্চিমবঙ্গে ক্রমশই নিজেদের জমি শক্ত করছে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)।

সল্টলেকে পুরনিগমের মামলায় অস্বস্তিতে তৃণমূল

তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সুব্রত বক্সী (Subrata Bakshi) ২১ জুলাইয়ের অনুষ্ঠানের জন্য মঞ্চ প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে এল তাঁকে দলের সামনে থাকা সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "কোনও চ্যালেঞ্জের প্রশ্নই নেই। গত ২৬ বছরের তুলনায় এই বছরের সমাবেশ আরও বড় হবে"। নির্বাচনী কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর কোনও পরামর্শ দিয়েছেন কিনা সে সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "তাঁর সঙ্গে কথা বললে তবেই এ ব্যাপারে বলতে পারব।"

আসলে প্রশান্ত কিশোরের প্রসঙ্গ নিয়ে এখনই তৃণমূল কংগ্রেস সেভাবে কিছু বলতে চাইছে না। তবে তলে তলে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূলের নির্বাচনী কৌশলবিদ। গত ১৩ জুলাইও তিনি কলকাতায় এসে দলের নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠক সারেন। যদিও তিনি মনে করছেন যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের হাতে লোহা গরম করার মতো যথেষ্ট সময় আছে।

২০১৪-তে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ২১১ টি আসনে জয়লাভ করেছিল। তবে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই এ রাজ্যে ক্রমশই নিজেদের শক্তি বাড়িয়েছে বিজেপি। তবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ১৪৮ টি আসন দরকার। তবে তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কায় আছেন তৃণমূল নেত্রী এমনটাই মনে করছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি।

আবার ইডির ডাক, ঘণ্টা দুয়েক জেরা কুণাল ঘোষকে

"প্রশান্ত কিশোরের নিয়োগ প্রমাণ করে দিয়েছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দল নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছেন এবং অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। তিনি ভয় পাচ্ছেন এই ভেবে যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করা তাঁর পক্ষে আর সম্ভব হবে না। গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল তাঁকে এমন ধাক্কা দিয়েছে যে তিনি নির্বাচনী ভাবনা থেকে বেরোতেই পারছেন না”, মন্তব্য রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার।

তবে অনেকেই মনে করছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে এগিয়ে আনার চেষ্টা করতে পারেন যাতে বিরোধী দল বিজেপি প্রস্তুতির জন্যে হাতে বিশেষ সময় না পায়।

তবে যাই হোক না কেন, সবার চোখ এখন আগামী রবিবার তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের দিকে। এটাই তৃণমূলের শক্তি পরীক্ষার একটা বড় মঞ্চ বলে মনে করছেন সবাই। অনেক দেরি হয়ে যাওয়ার আগে পারবে কি তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের গুছিয়ে নিতে?  প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।

.