This Article is From Aug 31, 2019

এনআরসির বিরোধিতা, তালিকার বাইরের মানুষদের দায়িত্ব নিতে হবে কেন্দ্রকেই, দাবি তৃণমূলের

এনআরসির নাম করে বাঙালিদের অসম থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে জোড়াফুল শিবিরের দাবি, তালিকার বাইরে থাকা ১৯ লক্ষ মানুষের দায়িত্ব নিতে হবে কেন্দ্রকেই।

এনআরসির বিরোধিতা, তালিকার বাইরের মানুষদের দায়িত্ব নিতে হবে কেন্দ্রকেই, দাবি তৃণমূলের

"গোপন অভিসন্ধি" নিয়ে এনআরসি আনা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা:

শনিবার প্রকাশ করা জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর (NRC) চূড়ান্ত তালিকার বিরোধিতায় সরব হল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। এদিনের প্রকাশিক চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ১৯ লক্ষ মানুষ। এনআরসির নাম করে বাঙালিদের অসম থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে জোড়াফুল শিবিরের দাবি, তালিকার বাইরে থাকা ১৯ লক্ষ মানুষের দায়িত্ব নিতে হবে কেন্দ্রকেই। ১৯.০৭ লক্ষ মানুষ জাতীয় নাগরিকপঞ্জী তালিকার বাইরে থাকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ট্যুইটে তিনি এআরসিকে “ব্যর্থ নাটকীয়তা” বলে মন্তব্য করেছেন, পাশাপাশি তাঁর দাবি, অন্য কোনও অভিসন্ধি নিয়ে এই পদক্ষেপটি করেছে বিজেপি সরকার।

বাংলাতেও চালু হবে NRC , বললেন দিলীপ ঘোষ

ট্যুইটে তৃণমূল সুপ্রিমো লেখেন, “যারা এর থেকে রাজনৈতিক উচ্চতা চেয়েছিল, এনআরসি-র “ব্যর্থ নায়কীয়তা” তাঁদের প্রকাশ করে দিয়েছে। দেশকে তাঁদের অনেক কিছু নিয়ে জবাব দিতে হবে। এটা দেশ ও সমাজের ভালোর জন্য নয়, বরং অন্য কোনও অভিসন্ধির কারণে করা হয়েছে”। এই পদ্ধতিতে যাঁরা ভোগান্তির শিকার হলেন, তাঁদের প্রতি তাঁর সমবেদনা রয়েছে বলেও ট্যুইটে উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শনিবার সকালে জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়, সেখানে বাজ পড়েছেন ১৯ লক্ষেরও বেশী মানুষ। সরকারি পদক্ষেপ এড়াতে হলে, তাঁদের নিজেদের নাগরিকত্ত্বের প্রমাণ দিতে হবে। প্রায় একবছর ধরে চলছে এই প্রক্রিয়া, বহু দশ ধরে অসমে বসবাসকারী অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে চালু করা হয়েছে জাতীয় নাগরিক পঞ্জী।

Assam NRC:অসমের এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়ল ১৯ লক্ষ মানুষের নাম

জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর সবচেয়ে বড় সমালোচক তৃণমূল কংগ্রেস, এটিকে তারা “বিভাজনমূলক কাজ” বলে মন্তব্য করেছে। অন্যদিকে, ক্ষমতায় এলে পশ্চিমবঙ্গেও জাতীয় নাগরিকপঞ্জী চালু করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি।

তৃণমূলের আরেক নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, যে সমস্ত মানুষ এনআরসির চূড়ান্ত তালিকায় নাম তুলতে পারেননি, তাঁদের দায়িত্ব নিতে হবে কেন্দ্রকেই। তাঁর কথায়, “নিজের দেশেই ঘরছাড়া বলেন বহু মানুষ”।

অসম থেকে বাঙালিদের তাড়াতে এনআরসিকে হাতিয়ার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর প্রশ্ন, “সরকার কী করে এতটা স্পর্শকাতর হীন হতে পারে, যে একটা সকালে, নাগরিকত্ত্বের তালিকা প্রকাশ করল এবং কয়েকদশক ধরে যাঁরা অসমে বাস করছেন, তাঁরা ঘরছাড়া হলেন”?

Assam NRC: এবার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে অসম শিক্ষার্থীদের সংগঠন

তৃণমূলই একমাত্র দল নয়, যারা এআরসিতে অখুশি। বিজেপিও চায়, এটি খতিয়ে দেখা হোক, বিশেষ করে বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া জেলাগুলির ক্ষেত্রে। কংগ্রেসের দাবি, শনিবার প্রকাশিত চূড়ান্ত নাগরিকত্ত্বের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন অনেক প্রকৃত নাগরিক। NDTV কে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “এনআরসিকে সমর্থন করেন বিজেপি সমর্থকরা, তবে আমরা মনে করি, কিছু ফাঁকপোকর রয়েছে, যেগুলির মেরামত করা উচিত। কেন্দ্র এবং অসম সরকার তরফে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছে, অসমের সীমান্তবর্তী এলাকার এলাকায় ২০ শতাংশ এবং বাকি এলাকাগুলিকে পুনরায় যাচাই করতে দেওয়া হয়”।

নাগরিকত্ত্বের তালিকায় বাদ প্রাক্তন সেনাকর্মী, “অবাক হননি” তিনি

এনআরসিকে সাম্প্রদায়িক করতে দেবে না তাঁর দল, এমনই মন্তব্য করেছেন বিগত অসম সরকারের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। তিনি বলেন, “যদি বিজেপি কুমীরের কান্না করে, তাহলে এটা কার দায়িত্ব? রাজ্যের বিজেপি সরকার এই তালিকা তৈরি করেছে। আমাদের অবস্থান পরিস্কার, কোনও ব্যক্তি হিন্দু বা মুসলিম, যাই হোক হোন কা কেন...যিনি বিদেশী তাঁকে তালিকায় রাখা উচিত নয়”।

( PTI এর তথ্য সংযোজিত হয়েছে) 

.