This Article is From Jul 18, 2019

পদত্যাগ করলেন বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত

তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে অবশ্য কিছু জানাননি সব্যসাচী দত্ত(Sabyasachi Dutta)।

পদত্যাগ করলেন বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত

সব্যসাচী দত্তকে পাঠানো নোটিশ খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (ফাইল)

কলকাতা:

কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের একদিন পরেই পদত্যাগ করলেন বিধাননগরের মেয়র তথা তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত (Sabyasachi Dutta)। তাঁকে পদচ্যূত করতে চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছিলেন কাউন্সিলররা। সেই নোটিশ খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। রাজারহাট-নিউটাউন এলাকার তৃণমূল বিধায়কও সব্যসাচী দত্ত। তবে সম্প্রতি দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ তৈরি হয়। যদিও দল ছাড়ছেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। বিধানগর পুরনিগমের চেয়ারপার্সন এবং কমিশনারকে তিনি ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত (Sabyasachi Dutta)। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার জন্য দু'দিনের মধ্যে নতুন করে নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

সল্টলেকে পুরনিগমের মামলায় অস্বস্তিতে তৃণমূল

তাঁকে পদচ্যূত করতে পুরনিগমের কাউন্সিলরদের সই করা নোটিশ পাঠিয়েছিলেন কমিশনার । সেই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সব্যসাচী দত্ত (Sabyasachi Dutta)। হাইকোর্টে আবদনে মেয়র সব্যসাচী দত্ত দাবি করেন, ব্যক্তিগত ইগো রক্ষা করতেই তাঁকে পদচ্যূত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ৯ জুলাই তাঁকে নোটিশ পাঠানো হয়। বিধাননগরের মেয়রের পদ থেকে সব্যসাচী দত্তকে সরাতে চেয়ে, বৃহস্পতিবার বিশেষ বৈঠকের জন্য, কাউন্সিলরদের নির্দেশে তাঁকে নোটিশ পাঠান পুরকমিশনার। পশ্চিমবঙ্গ পুরনিগম আইন ২০০৬ অনুযায়ী, না হওয়ায় সেই নোটিশ খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

মেয়রকে নোটিশ পাঠানোর পদ্ধতি নিয়ে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট

সাংবাদিকদের সব্যসাচী দত্ত (Sabyasachi Dutta) বলেন, ৫ জুলাই, তৃণমূল সমর্থিত শ্রমিক সংগঠনের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। সেখানেই, শ্রমিকদের দাবিদাওয়া পূরণ না হওয়ার অভিযোগ তুলে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন, আর তারপর থেকেই দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের উষ্ণতা কমে।   

অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিশ খারিজের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ সব্যসাচী দত্ত

পুরকমিশনার এবং চেয়ারপার্সনকে পাঠানো ইস্তফাপত্রে বিধানগরের মেয়র (Sabyasachi Dutta) উল্লেখ করেন, “ইস্তফাপত্র দেওয়ার আগে আমি একটি শক্তিশালী বার্তা দিতে চাই, এবং বিচারবিভাগের দ্বারস্থ হতে চাই, বঞ্চিত মানুষদের জন্য আমার বাক স্বাধীনতা এবং কথা বলার স্বাধীনতা, দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কেউ কতটা শক্তিশালী হতে পারে”। 

তিনি আরও বলেন, “পুরনিগমের অচলাবস্থার জন্য এলাকার মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবে, আমি তা সহ্য করব না, সেটাই হত, যদি আমি প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে মেয়র পদে থেকে যেতাম”।

মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠক, সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে তৃণমূল

তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে অবশ্য কিছু জানাননি সব্যসাচী দত্ত।

বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে বৈঠক নিয়ে জল্পনা তৈরি হয় এবং বঙ্গ রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন সব্যসাচী দত্ত (Sabyasachi Dutta)। যদিও মুকুল রায় সম্পূর্ণ নিজের দাদার মতোই তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন তিনি।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.