This Article is From Jul 19, 2019

ডুবন্ত জাহাজ ছেড়ে গেছে ওরা: টেলি তারকাদের বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে অপর্ণা সেন

অপর্ণার বক্তব্য, ‘‘এখন মমতা ধীরে ধীরে ক্ষমতা হারাচ্ছেন আর বিজেপি পাচ্ছে। তাই ওঁরা বিজেপিতে গেলেন। যেখানেই ক্ষমতায়, সেখানেই যাবে। এমনই মানুষ এরা।’’

ডুবন্ত জাহাজ ছেড়ে গেছে ওরা: টেলি তারকাদের বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে অপর্ণা সেন

বিস্ফোরক জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও পরিচালক অপর্ণা সেন।

হাইলাইটস

  • বিস্ফোরক জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও পরিচালক অপর্ণা সেন
  • বাংলার এক ঝাঁক টেলি তারকার গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া নিয়ে মুখ খুললেন তিনি
  • নতুন ছবি ‘ঘরে বাইরে আজ’-এর প্রিমিয়ারের জন্য দিল্লি এসেছেন অপর্ণা
কলকাতা:

বৃহস্পতিবার বিজেপিতে (BJP) যোগদান করেছেন বাংলার এক ঝাঁক টেলি তারকা (TV Artist)। কলকাতা থেকে দিল্লি উড়ে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন তাঁরা। এবার সেই প্রসঙ্গেই বিস্ফোরক জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও পরিচালক অপর্ণা সেন (Aparna Sen)। তিনি শুক্রবার বললেন, ওঁরা ‘ডুবন্ত জাহাজ' ছেড়ে ক্ষমতার দিকে যাচ্ছেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সিপি(আই)এম যখন ক্ষমতায় ছিল ওই অভিনেতারা তাদের সঙ্গে ছিল। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা তৈরি হলে তাঁরা মমতার সঙ্গে আসেন। এখন বিজেপির ক্ষমতা বৃদ্ধি হওয়ায় বিজেপির দিকে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার ঋষি কৌশিক, পার্নো মিত্র, কাঞ্চনা মিত্র, বিশ্বজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, দেবরঞ্জন নাগ, অরিন্দম হালদার, মৌমিতা গুপ্ত, অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌরভ চক্রবর্তী, রূপা ভট্টাচার্য, অঞ্জনা বসু এবং কৌশিক চক্রবর্তী বিজেপিতে যোগ দেন।

তাঁদের উদ্দেশে অপর্ণা সেনের বক্তব্য, ‘‘এখন মমতা ধীরে ধীরে ক্ষমতা হারাচ্ছেন আর বিজেপি পাচ্ছে। তাই ওঁরা বিজেপিতে গেলেন। যেখানেই ক্ষমতায়, সেখানেই যাবে। এমনই মানুষ এরা। আমি ওঁদের নিয়ে ভাবি না।''

বিজেপিতে যোগদান ১৩ জন টেলি তারকার, তৃণমূলের তারকা নেতাদের বার্তা?

অপর্ণা তাঁর নতুন ছবি ‘ঘরে বাইরে আজ'-এর প্রিমিয়ারের জন্য দিল্লিতে এসেছেন। তিনি পিটিআইকে বলেন, ‘‘মানুষ ডুবন্ত জাহাজ ত্যাগ করে যেখানে ক্ষমতা সেদিকে যায়। এটা মানুষের সাধারণ বৈশিষ্ট্য।''

অপর্ণা আরও বলেন, ভারতীয় হিন্দি ছবির অভিনেতারা নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থানের কথা মানুষকে জানান না কারণ তাঁরা তাঁদের দূরবর্তী দর্শকদের কথা ভাবেন। ৭৩ বছরের অভিনেত্রী বলেন, ‘‘যদি ওঁদের রাজনৈতিক রং থাকত, তাহলে তাঁদের সমস্যায় পড়তে হত।''

২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসে কি বিশেষ পরামর্শক প্রশান্ত কিশোর? নির্বাচনী কৌশল নিয়ে চুপ তৃণমূল

রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অপর্ণা বলেন, মানুষ তৃণমূল সরকার ব্যর্থ হওয়ার পরে কংগ্রেস বা বামেদের মধ্যে বিকল্প খুঁজে না পেয়ে মানুষ বিজেপির দিকে ঝুঁকছে। বাম ও কংগ্রেসের উত্থানের প্রয়োজন আছে, একথা জানিয়ে অপর্ণা বলেন, ‘‘কেননা সব থেকে বেশি আমাদের প্রয়োজন শক্তিশালী বিরোধীপক্ষ।''

নন্দীগ্রাম আন্দোলনে সময় তাঁর আন্দোলনে মমতা সঙ্গে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে অপর্ণা বলেন, ‘‘আমি ওঁর দাবিকে সমর্থন করিনি। আমি কেবল নন্দীগ্রাম কাণ্ডের বিরুদ্ধে ছিলাম। আমি মমতার দাবিকে সমর্থন করিনি। আমি সিঙ্গুরের মানুষদের বিচ্ছেদের বিরুদ্ধে ছিলাম, যেহেতু উল্টোদিকেই জমি ছিল। ওখানেই ওটা করা যেত (টাটা ন্যানো কারখানা)।''

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার মতো আরও অনেক মানুষ ছিলেন। কেউই মমতাকে সমর্থন করেনি। মমতা ভোট চেয়েছিলেন এবং তিনি ওই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছিলেন। আমি বহুবার প্রকাশ্যে মমতার সমালোচনা করেছি।''

তবে তিনি ব্যক্তিগত ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই সব বিষয় নিয়ে কথা বলেননি বলে জানান অপর্ণা। কেবল জন সমাবেশেই তাঁদের দেখা হয়েছে বলে জানান তিনি। তখন কেবল কুশল বিনিময়ের বেশি কিছু হয় না বলেই জানান জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী পরিচালক।

সম্প্রতি চিকিৎসকদের ধর্মঘটে তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। হিংসা-উন্মত্ত ভাটপাড়াতেও গিয়েছেন অপর্ণা। এতে কি বিজেপির সুবিধা হচ্ছে পরোক্ষে? এপ্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, ‘‘না, একেবারেই না। আমি ভাটপাড়ার মানুষদের সঙ্গে কথা বলেছি। এবং আমরা বিজেপি ও তৃণমূল দু'পক্ষের কথাই শুনেছি। আমরা অর্জুন সিংহের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ শুনেছি। আমাদের কাছে সব ভিডিও রয়েছে।''



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.