This Article is From Feb 17, 2019

কেন প্রেক্ষাগৃহ থেকে তুলে নেওয়া হল 'ভবিষ্যতের ভূত', প্রশ্ন সব মহলে

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক টলিউডের এক অভিনেতা বললেন, এই উত্তরটা তো আপনিও জানেন, আমিও জানি। সবাই বুঝতে পারছে কে বা কাদের প্ররোচনায় এত ন্যক্কারজনক ও লজ্জাকর একটি ঘটনা ঘটল অনীকদা’র ছবির সঙ্গে।

কেন প্রেক্ষাগৃহ থেকে তুলে নেওয়া হল 'ভবিষ্যতের ভূত', প্রশ্ন সব মহলে

শুক্রবার মুক্তি পায় ছবিটি

কলকাতা:

ছবির মুক্তির দিনক্ষণ ঠিক হয়ে গিয়েছিল আগেই। সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়ার পরে ছবিটি মুক্তিও পেল প্রেক্ষাগৃহে। যদিও, প্রথম থেকেই এই ছবি নিয়ে বিতর্ক ছিল। বিতর্কের মূল কারণ, অন্তত প্রাথমিকভাবে, ছবিটির বিষয়ের থেকেও ছিলেন ছবিটির পরিচালক অনীক দত্ত স্বয়ং। কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের সময় নন্দনে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের পরেই তিনি বহু প্রভাবশালীর ‘কুনজরে' পড়ে গিয়েছিলেন। ছবিটির মুক্তি নিয়ে বেশ কয়েকদিন টানাপোড়েনও চলেছিল। তবে, শেষমেশ তা মুক্তি পায়। কিন্তু, তারপরই শুরু হল এক অদ্ভুত ঝামেলা। এবং, বাস্তবও। মুক্তি পাওয়ার পরদিনই অনীক দত্তর নতুন ‘ভবিষ্যতের ভূত'-কে তুলে দেওয়া হল সমস্ত প্রেক্ষাগৃহ থেকে! কেন তুলে দেওয়া হল এই ছবি? সেই প্রশ্নের ঠিকঠাক জবাব কেউই দিতে পারছেন না। কেউ বলছেন, যান্ত্রিক সমস্যার কারণে। কেউ বা বলছেন, ছবিটি তুলে নেওয়ার জন্য চাপ এসেছিল খোদ ওপরমহল থেকে।

কিন্তু, কে বা কারা এই ‘ওপরমহল'? ‘রাত কত হইল'-র মতোই তারও কোনও উত্তর নেই। যা আছে, তা হল প্রবল ফিসফাস। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক টলিউডের এক অভিনেতা বললেন, এই উত্তরটা তো আপনিও জানেন, আমিও জানি। সবাই বুঝতে পারছে কে বা কাদের প্ররোচনায় এত ন্যক্কারজনক ও লজ্জাকর একটি ঘটনা ঘটল অনীকদা'র ছবির সঙ্গে। কিন্তু, কেউই মুখ খুলবে না। কেন খুলবে বলুন তো! প্রত্যেককেই তো এই ইন্ডাস্ট্রি থেকেই খেয়ে-পরে বাঁচতে হয়। আজ মুখ খুললে কাল থেকে তো কাজই থাকবে না তাদের। তখন কী হবে?

কিন্তু এভাবে সরিয়ে নেওয়া হল কেন ছবিটি?

পরিচালক অনীক দত্ত বলেন, কয়েকদিন আগেই ছবিটির কনটেন্ট নিয়ে কিছু প্রশ্ন উঠেছিল। পুলিশও দেখতে চেয়েছিল ছবিটি। কিন্তু, আমি তাদের সাফ জানিয়ে দিই, যেহেতু সেন্সর বোর্ড ইতিমধ্যেই ছবিটিকে ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে, তাই তাদের অযথা দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। আমার মনে হয়, হল মালিকদের ওপর কোনও এক মহল থেকে অত্যন্ত চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। ঠিক আছে। আমরাও এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণের পরিকল্পনা নিচ্ছি।

প্রেক্ষাগৃহ থেকে ‘ভবিষ্যতের ভূত' তুলে নেওয়ার খবরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ মানুষ থেকে সেলেব্রিটি, মুখ খুলেছেন অনেকেই। পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায় তাঁর ফেসবুক পোস্টের একটি জায়গায় লেখেন, “… মজার কথা হল যুগে যুগে সব শাসকরা, শাসক দলেরা শিল্পের মাধ্যমে, কবিতা গল্প সিনেমা এমনকি পেইন্টিং এর মাধ্যমে তাদের বিরোধীতা সহ্য করেন না। দুটো কারণে ১) মানুষের কাছে ঝটপট মেসেজ টা চলে যায়। ২) তারা সবসময়েই নিজেদের কে মেধা, দক্ষতা থেকে দুরে রাখতে ভালবাসেন। কারণ মেধা দক্ষতা বশ মানানোর ক্ষেত্রে এক বিরাট বাধা…”

“এই ছবিটির পরিচালক আমার বন্ধু। আমি জানতাম, শাসক দলের সঙ্গে তাঁর কিছু সমস্যা রয়েছে। কিন্তু, তাই বলে, কোনও আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া এবং যথাযথ কোনও কারণ ছাড়াই যে রিলিজের পরদিনই তাঁর ছবি এভাবে হল থেকে তুলে নেওয়া হবে বা হতে পারে, এতটা আমি ভাবতেই পারিনি”, বলেন মৃণাল সেনের পুত্র কুণাল সেন।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.