This Article is From May 25, 2019

খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্ত জেএমবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ভারত সরকারের

জামাত উল মুজাহিদিন বাংলাদেশকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ভারত সরকার। খাগড়াগড় বিস্ফোরণ,বু্দ্ধগয়া বিস্ফোরণের মতো অসংখ্য জঙ্গিহানার পিছনে এই গোষ্ঠীর হাত রয়েছে।

খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্ত জেএমবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ভারত সরকারের
কলকাতা:

জঙ্গি সংগঠন জামাত উল মুজাহিদিন বাংলাদেশকে (JMB) নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ভারত সরকার। ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের খাগড়াগড় বিস্ফোরণ, ২০১৮ সালের ১৯ জানুয়ারি বু্দ্ধগয়া বিস্ফোরণের মতো ভারতে অসংখ্য জঙ্গিহানার পিছনে এই গোষ্ঠীর হাত রয়েছে। ২৩ মে প্রকাশিত গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে এমএইচএ (MHA) আনলফুল অ্যাক্টিভিটিস প্রিভেন্ট অ্যাক্ট-এর প্রথম শিডিউলে জেএমবি ও তার শাখাগুলিকে ‘জঙ্গি সংগঠন' হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই সংগঠনের শাখাগুলি হল জেএমবি হিন্দুস্তান ও জেএমবি ইন্ডিয়া— যাদের লক্ষ্যই হল ‘জিহাদের মাধ্যমে খলিফার শাসন প্রতিষ্ঠা করা'। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘‘তদন্ত থেকে এও জানা গিয়েছে, জেএমবির পরিকল্পনা ছিল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে দশ কিলোমিটার দূরত্বে পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং ত্রিপুরায় স্থায়ী ঘাঁটি তৈরি করা।'' সেই সঙ্গে এও যোগ করা হয়, ‘‘ভারতীয় উপমহাদেশে খলিফা শাসন চালু করার লক্ষ্যে দক্ষিণ ভারতেও নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।''

এই নিষিদ্ধকরণের সঙ্গে সঙ্গেই জেএমবি ঢুকে পড়ল লস্কর ই তৈবা, জশ এ মুজাহিদিন, আল কায়দা ও এলটিটিই-র মতো নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের তালিকায়। ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে জন্ম জেএমবি-র। ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে একাধিক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরে তাদের নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ। তার বদলা নিতে সে বছরেরই অগস্টে সেদেশে একদিনে পরপর বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে খানিক দুর্বল হয়ে গেলেও ২০১৬ সাল থেকে আবার নতুন করে মাথাচাড়া দেয় তারা। 

২০১৯ সালের ২৩ মে প্রকাশিত এমএইচএ-র বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে—
জেএমবি ও তাদের শাখা সংগঠন জেএমবি হিন্দুস্তান ও জেএমবি ইন্ডিয়া সন্ত্রাসবাদের পরিকল্পনা ও পরিচালনা করে এবং মৌলবাদ প্রচারে যুক্ত। এবং এরা ভারতে জঙ্গিহানা ঘটাতে তরুণদের নিয়োগ করছে। 

জেএমবি নিয়োগ ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য তহবিল তৈরি করছে, বিস্ফোরক/ রাসায়নিক জোগাড় করছে এবং উন্নত বিস্ফোরক যন্ত্র তৈরি করছে। 

বর্ধমান বোমা বিস্ফোরণ (২ অক্টোবর, ২০১৪) এবং বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণ (১৯ জানুয়ারি, ২০১৮) কাণ্ডে জেমবি-র ক্যাডারদের যুক্ত থাকার প্রমাণ পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। 

অসম পুলিশ পাঁচটি কেসে জেমবি-র যুক্ত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। এবং সব মিলিয়ে ৫৬ জন অভিযুক্তকে অসম পুলিশ গ্রেফতার করেছে যারা জেএমবি-র সঙ্গে যুক্ত। 

কেন্দ্রীয় সরকার বিশ্বাস করে জেএমবি ও তাদের শাখা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত। তারা ভারতে বহু সন্ত্রাসমূলক কাণ্ডের পরিকল্পনা করেছে ও সংঘটিত করেছে। 

.