This Article is From Jul 04, 2018

নতুন নেভি ভিডিওতে জানা গেল থাইল্যান্ডে গুহায় আটকে থাকা যুবকরা "ভাল আছে"

ছেলেকে বিপদমুক্ত দেখে একজন ছেলের মা আনন্দে কেঁদে ফেলে জানান, ছেলেকে একঝলক দেখতে পেয়ে তিনি “আপ্লুত”

নতুন নেভি ভিডিওতে জানা গেল থাইল্যান্ডে গুহায় আটকে থাকা যুবকরা

এই ভিডিওতে ওই যুবকদের অনেক বেশি রিল্যাক্সড এবং সতর্ক দেখাচ্ছিল

মে সাই, থাইল্যান্ড:

একটা ভিডিওতে একটা ফুটবল দলের যুবক সদস্যদের থাইল্যান্ডের একটা গুহার ভিতর থাকতে দেখা যাচ্ছে। বুধবার ছড়িয়ে পরা এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, যুবকেরা হাসতে হাসতে বলছে হারিয়ে যাওয়ার নয় দিন পর এক ডুবুরির সাহায্যে উদ্ধার হয়ে তারা এখন ভাল আছে।

থাই নেভি সিল ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, নিজেদের পরিবারের উদ্দেশ্যে বার্তা দেওয়ার সময় 12 জনের দলের 11 জন সদস্য প্রত্যেকেই একটা ট্র্যাডিশনাল থাই গ্রিটিং আকৃতি প্রদর্শন করে ক্যামেরার উদ্দেশ্যে নিজেদের ডাকনাম জানিয়ে বলছে, “আমি ভাল আছি”।  

ওই যুবকদের মধ্যে অনেকেই প্রতিরক্ষামূলক ফয়েল কম্বল পরে আছে এবং তাদের পাশে হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে ভিজে পোশাকে একজন ডুবুরি।

থাই নেভি ফুটবল পেজে প্রকাশিত ভিডিওতে 23 শে জুন ফুটবল প্রশিক্ষণের পর তাদের 25 বছর বয়সী যে কোচ ওই গুহায় নিয়ে গিয়েছিলেন, তাকে ওই ফুটেজে কিছু বলতে দেখা যায়নি।

থাই দেশের বৃহত্তম গুহার থেকে উদ্ধার করার পর এটা দ্বিতীয় ভিডিও যা দেখে থাই বাসী সকলেই আপ্লুত।

এক মিনিটের ভিডিও ক্লিপ একটা গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়ে শেষ হয়েছে যেখানে ওই 12 জন ফুটবল খেলোয়াড়ের মধ্যে একজন হাসতে হাসতে বলছে পরিচয় পর্বে এটা করতে তারা ভুলে গিয়েছিল।  

সোমবার ব্রিটিশ ডুবুরিরা তাদের উদ্ধার করার সময়ের তুলনায় এই ভিডিওতে ওই যুবকদের অনেক বেশি রিল্যাক্সড এবং সতর্ক দেখাচ্ছিল। তারা জলের থেকে উঠে একটা উপত্যকায় আশ্রয় নিয়েছিল।

ছেলেকে বিপদমুক্ত দেখে একজন ছেলের মা আনন্দে কেঁদে ফেলে জানান, ছেলেকে একঝলক দেখতে পেয়ে তিনি “আপ্লুত”।

ছবির ওপর দিয়ে হাত বুলিয়ে তিনি জানান, “ও সবচেয়ে রোগা”। আটকে পরা 13 জন সদস্যের প্রত্যেকের আত্মীয়রা এতদিনের দুঃখের পর শেষমেশ শান্তি পেয়েছে।

নেভি সিল ডুবুরিরা অনেকেই ওষুধপত্র “ওয়াইল্ড বোর” দলের কাছে পাঠানোর চেষ্টা করছে।    

থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে উদ্ধারের পর এখন ওই যুবকদের শারীরিক এবং মানসিক শক্তি ফিরিয়ে আনান চেষ্টা করা হচ্ছে।

এরপর তাদের হাতে তিনটে প্রধান অপশন আছে- গুহার থেকে ডাইভ করিয়ে নিয়ে আসা, গুহার অন্য কোনও মুখ খুঁজে পাওয়া গেলে বা ড্রিল করে পথ তৈরি করে সেখান থেকে বের করে আনা অথবা বৃষ্টি কমা পর্যন্ত অপেক্ষা করা।

বিশেষজ্ঞদের মতে ডাইভ করার ক্ষেত্রে আশঙ্কা থেকে যেতে পারে- কারণ ওই যুবকরা কখনও আগে ডাইভ করেছে কি না তা জানা নেই, ওরা হয়তো কখনও সাঁতারও কাটেনি।

গুহার ওই অংশটা বিপজ্জনক। এমন কী, তাদের সরঞ্জাম সরবরাহ করে কিংবা ডাইভের ক্র্যাশ-কোর্স করালেও ওই জলে ঠিকভাবে দিক নির্ণয় করা খুব কঠিন।

শেষ অপশন বলতে, বর্ষা শুরু হয়ে যাওয়ায় আধিকারিকরা জানিয়েছেন তারা চার মাসের জন্য খাদ্য, ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সঞ্চয় করে রেখেছেন এবং বৃষ্টি না থামা পর্যন্ত তাদের ওই স্থানেই থাকতে হবে।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)

.