This Article is From May 23, 2020

আমফানের উদ্ধারকার্যে রাজ্যে আসছে আরও ১০ দল এনডিআরএফ

শনিবার রাতের মধ্যেই অতিরিক্ত বাহিনী এসে পৌঁছবে রাজ্যে। এই মুহূর্তে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২৬টি দল রাজ্যে মোতায়েন রয়েছে।

আমফানের উদ্ধারকার্যে রাজ্যে আসছে আরও ১০ দল এনডিআরএফ

ঘূর্ণিঝড় আমফানের ধাক্কায় রাজ্যের বহু এলাকায় এখনও বিপর্যস্ত জনজীবন।

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ধাক্কায় এখনও বিপর্যস্ত (Cyclone Amphan) রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের অনুরোধের কথা চিন্তাভাবনা করে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (NDRF) আরও ১০টি দল পাঠানো হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং নাগরিক প্রতিরক্ষা দফতরের মুখ্য সচিব লিখিত ভাবে অনুরোধ জানিয়েছিলেন, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর অতিরিক্ত দল পাঠানোর জন্য। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে থেকে ওই অতিরিক্ত বাহিনীকে যত দ্রুত সম্ভব রাজ্যে উপস্থিত হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার রাতের মধ্যেই অতিরিক্ত বাহিনী এসে পৌঁছবে রাজ্যে। এই মুহূর্তে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২৬টি দল রাজ্যে মোতায়েন রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ধাক্কায় বিধ্বস্ত রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন রয়েছে দলগুলি।

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর অতিরিক্ত ১০টি দল আসার পরে রাজ্যে তাদের মোট দলের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৬। এই ৩৬টি দল রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত রাজ্যের ৬টি জেলায় উদ্ধারকার্য চালাবে।

রাজ্যের জন্য ১,০০০ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজ্যকে দেওয়া আর্থিক সাহায্যকে “অগ্রিম অন্তবর্তী সাহায্য” বলে ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই দুঃসময়ে আমরা বাংলার পাশে রয়েছি ত্রাণ, পুর্নবাসন এবং পুনরায় গড়ে তোলার জন্য। আমরা সবাই চাই, বাংলা এগিয়ে যাক। এই সময়ে কেন্দ্র সবসময়েই বাংলার পাশে রয়েছে”।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “এই সঙ্কটের মহুর্তে, আমরা মনে করি, আমাদের একসঙ্গে কাজ করার দরকার। অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে ওরা আমাদের সাহায্য করতে পারে, এই দেশে রাজ্য সরকারও রয়েছে, এবং তারসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারও রয়েছে। যদি কোনও সঙ্কট আসে, সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”

প্রসঙ্গত, এ রাজ্যে আমফানে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিদ্যুৎ, জল পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় বহু অঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

প্রসঙ্গত, এ রাজ্যে আমফানে ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিদ্যুৎ, জল পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় বহু অঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তিন দিন পরেও কেন স্বাভাবিকতা ফিরল না, এই অভিযোগে কলকাতার ব্হু স্থানে অনেককেই পথ অবরোধ করতে দেখা যায়।

আমফানের ধাক্কায় বহু মানুষ রাতারাতি আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। রাজ্যে্র ছ'টি জেলা আক্রান্ত এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে। ভেসে গিয়েছে ঘরবাড়ি। ভেঙে পড়েছে গাছ। সরকারি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, দেড় কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। ১০ লক্ষেরও বেশি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.