This Article is From Jul 02, 2019

"পরিস্থিতি অনুকুলে হলে তিস্তার জলচুক্তি মেনে নিতাম", বললেন মুখ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ তিস্তা, বিশেষ করে ডিসেম্বর থেকে মার্চ, এই কটা মাসে জল প্রবাহ ৫,০০০ কিউসেক থেকে কমে দাঁড়ায় ১,০০০ কিউসেকেরও কম।

কলকাতা:

তিস্তা জলচুক্তি (Teesta water-sharing deal)  নিয়ে দুই বাংলার মধ্যে জটিলতা কাটেনি। তাতেই আটকে জল গড়ায়নি তিস্তায় (Teesta River। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বললেন, পরিস্থিতি যদি অনুকুলে হত, তাহলে “বন্ধুত্ত্বপূর্ণ” প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে জলবণ্টন মেনে নিতেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “তিস্তার (Teesta River জলবণ্টন মেনে না নেওয়ায় তারা দুঃখ পেয়েছে...আমার ক্ষমতা থাকলে, নিশ্চিতভাবেই আমি তাদের সঙ্গে তিস্তার জল বণ্টন মেনে নিতাম ...আমার কোনও সমস্যা নেই...বাংলাদেশ আমাদের বন্ধু...এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই”। পদ্মাপারের দেশের সঙ্গে তিস্তার জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে এপার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন, বাংলাদেশের সঙ্গে জলবণ্টন চুক্তি করেছিলেন জ্যোতি বসু”।

বাংলায় রাজনৈতিক হত্যায় উদ্বিগ্ন অমিত শাহ! হিংসা-হানাহানি শেষ হোক চাইছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

২০১১-এ বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। সেই সময় তাদের সঙ্গে তিস্তার জলবণ্টন চুক্তি (Teesta water-sharing deal) সাক্ষরিত হয়। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আপত্তিতে শেষ মুহুর্তে তা বাতিল করতে হয়। বাংলদেশের সঙ্গে তিস্তার (Teesta River জলচুক্তির বিরোধিতা করেন মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর যুক্তি, “এক বিন্দুও” জল পাবেন না তাঁর রাজ্যের বাসিন্দারা।

২০১৭-এ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “তিস্তা শুকিয়ে যাচ্ছে। যদি এখানকার জল আমরা দিই, তাহলে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ির মানুষদের সমস্যা হবে, কাষের কাজ করতে পারবেন না কৃষকরা...আমি একথা বলছি, কারণ আমি সেখানকার পরিস্থিতি দেখেছি”। এরপরেই তোর্সা, মানসী, সঙ্কোশ এবং ধানসাই নদীর জল বণ্টনের প্রসঙ্গ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

বিধানসভায় তপশিলি জাতি, উপজাতি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ তিস্তা নদী (Teesta River, বিশেষ করে ডিসেম্বর থেকে মার্চ, এই কটা মাস শুখা মরশুমে জল প্রবাহ ৫,০০০ কিউসেক থেকে কমে দাঁড়ায় ১,০০০ কিউসেকেরও কম। মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, “সেই সময়(যখন বাংলাদেশ ইলিশ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল), ইলিশের প্রতি আমাদের রাজ্যের বাঙালীর প্রীতির কথা মাথায় রেখে, আমরা ডায়মন্ডহারবারে একটি রিসার্চ সেন্টার তৈরি করি। তাঁরা এখন ইলিশের ওপর কাজ করছেন”।

World Social Media Day 2019: গুজব রটাতে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করবেন না: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দাবি, “যদি তাঁরা গবেষণায় সফল হন, সারা বিশ্বে আমরা ইলিশ সরবরাহ করতে পারব”। “বাংলায় ইলিশের কোনও ঘাটতি নেই” বলেও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। দেগঙ্গার বিধায়ক রহিমা বিবির প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ইলিশের মরশুমে (জুলাই-সেপ্টেম্বর), কোলাঘাট এবং ডায়মন্ডহারবার থেকে আমরা পর্যাপ্ত ইলিশ পাই”।

রহিমা বিবির প্রশ্নের অভিমুখ ছিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বিধানসভায় আরও বলেন, তাঁর দল যখন রাজ্যে ক্ষমতায় আসে, সেই সময় মাছ আসত মূলত ছত্তিশগড়ের রায়পুর, বিলাশপুর ও অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে।

সেই সময় রাজ্যের ৭০০ পুকুরে মাছ চাষ করা শুরু হয় বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.