This Article is From Sep 18, 2019

ডেঙ্গু কেড়েছে মেয়ের প্রাণ, ঋণে ডুবে রয়েছেন বাবা, আক্রান্ত অপর দুই সন্তান

Telangana Dengue: সুপ্রিয়ার পরিবারের মতোই, অনেক পরিবার ডেঙ্গু চিকিৎসায় সর্বস্বান্ত। হায়দরাবাদের বেসরকারি হাসপাতালগুলি ফায়দা লুটছে মানুষের!

ডেঙ্গু কেড়েছে মেয়ের প্রাণ, ঋণে ডুবে রয়েছেন বাবা, আক্রান্ত অপর দুই সন্তান

সুপ্রিয়া হায়দরাবাদের (Hyderabad) একটি হাসপাতালে একদিন মাত্র আইসিইউতে ছিলেন এবং পরদিন বিকেলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

হায়দরাবাদ:

হায়দরাবাদে ১৩ বছর বয়সী এস সুপ্রিয়া নামে এক কিশোরী ১৩ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুতে (Telangana Dengue) আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। জানা গেছে প্রথমে ওই কিশোরীকে তেলঙ্গানার রাজধানী থেকে ১১১ কিলোমিটার দূরে নলগোন্ডার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কিশোরীর অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক রক্তক্ষরণ হতে শুরু করলে তাঁকে সেখান থেকে হায়দরাবাদের (Hyderabad) একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ডেঙ্গুতে (Dengue) আক্রান্ত ওই কিশোরীর অবস্থা ততক্ষণে সঙ্কটজনক, কিছুদিনের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর। সুপ্রিয়া হায়দরাবাদের ওই হাসপাতালে একদিন মাত্র আইসিইউতে ছিলেন এবং পরদিন বিকেলেই তাঁর মৃত্যু হয়।কিন্তু তারপর সুপ্রিয়ার দুই ছোট ভাইবোনের শরীরেও থাবা বসায় ডেঙ্গু, ৭ বছর বয়সী সূর্যনারায়ণ এবং ৫ বছর বয়সী সঞ্জনাও একই হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছে এখন।

আগামী বছর থেকে দেশজুড়ে শুরু হতে চলেছে ডেঙ্গুর টিকাকরণ

৪৫,০০০ টাকা দেওয়ার পরে সুপ্রিয়ার মরদেহ তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে প্রথম দিন, যেদিন সুপ্রিয়াকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয় সেই সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৫০,০০০ টাকা দিয়েছিল তাঁর পরিবার। মৃত বড় মেয়ে সুপ্রিয়ার শেষকৃত্যও সম্পাদন করতে পারেননি তাঁর বাবা। কেননা অবশিষ্ট দুই ছেলে-মেয়েও যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে আছে এখন। মেয়েটির মা তাঁর বড় মেয়ের মরদেহ নেলোরের শ্মশানে নিয়ে গেছেন শেষকৃত্যের জন্যে।

শুধু সেপ্টেম্বরেই তেলঙ্গানায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত প্রায় তিন হাজার রোগীর খবর পাওয়া গেছে।

otoiu01

সুপ্রিয়ার ভাই সূর্যনারায়ণও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত এবং হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালে ভর্তি আছে সে।

এখনও পর্যন্ত ৫৬ জনের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে । তবে রাজ্য সরকার জানিয়েছে যে এই বছর ডেঙ্গুতে কেউ মারা যায়নি। যদিও ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসাবে স্পষ্টভাবে ডেঙ্গু বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং কেস হিস্ট্রি এবং ল্যাব রিপোর্টও তার পক্ষেই সওয়ার করছে। 

"যখন এই মৃত্যুর কারণগুলি সরকার কর্তৃক গঠিত একটি কমিটি দ্বারা নিশ্চিত করা হবে, এবং কী ধরনের পরীক্ষা করার পর ডেঙ্গুর কথা বলা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হবে তখনই আমরা এগুলিকে ডেঙ্গুর মৃত্যু হিসাবে বিবেচনা করব", বলেন তেলেঙ্গানা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইটেলা রাজিন্দর।

১৮ বছর বয়সী সুপ্রিয়ার পরিবারের মতোই, অনেক পরিবার ডেঙ্গু চিকিৎসায় সর্বস্বান্ত। হায়দরাবাদের বেসরকারি হাসপাতালগুলি ফায়দা লুটছে মানুষের এই রোগ ও রোগ সম্পর্কে তৈরি হওয়া ভীতিকে ঘিরে।বছর চারেকের

ঘুমন্ত শিশুকে অপহরণের চেষ্টা, ধরা পড়ল সিসিটিভি ক্যামেরায় !

হায়দরাবাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা সুপ্রিয়ার বোনের রক্তের প্লেটলেট গণনা মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছিল এবং তার ভাইয়ের রক্তচাপও এতটাই কম ছিল যে তা নথিভুক্তই করা যায়নি। যদিও বড় মেয়ের মৃত্যুশোকে শোকগ্রস্ত পরিবারকে কিছুটা স্বস্তিতে রেখে মঙ্গলবার সুপ্রিয়ার বোনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও এখনও হাসপাতালে সুপ্রিয়ার ভাই সূর্যনারায়ণ। তবে তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল এবং তাঁকে হাসপাতাল থেকে কয়েক দিনের মধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হবে। তিন ছেলেমেয়ের ডেঙ্গুর চিকিৎসায় পরিবারের কাছে হাসপাতালের বিল এসেছে ২.৩৩ লক্ষ টাকা।

.