This Article is From Feb 19, 2020

তাপস পালকে শেষ শ্রদ্ধা মুখ্যমন্ত্রীর, কেওড়াতলায় পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্যের আয়োজন

১১.৪৫ নাগাদ আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেলে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

তাপস পালকে শেষ শ্রদ্ধা মুখ্যমন্ত্রীর, কেওড়াতলায় পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্যের আয়োজন
কলকাতা:

 প্রয়াত অভিনেতা ও রাজনীতিক তাপস পালের মরদেহ শায়িত রাখা হয়েছে রবীন্দ্র সদনে। অগুণতি মানুষ ‘সাহেব'কে শেষ দেখা দেখতে ভিড় জমিয়েছেন। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী, অপর্ণা সেন সহ চলচ্চিত্র ও রাজনীতির আঙিনার বহু মানুষ। শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর তাপস পালের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। সেখানে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় হবে শেষকৃত্য।

‘‘বিতর্ক-কেলেঙ্কারি নয়, মানুষের মনে চিরস্থায়ী ‘দাদার কীর্তি'': মন্ত্রী শোভনদেব, সুব্রত

মঙ্গলবার রাতে মুম্বই থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছয় তাপস পালের মরদেহ। সারারাত দেহ তাঁর বাড়িতেই শায়িত রাখা হয়। বুধবার সকাল ১১টার কিছু পরে তাঁর দেহ সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশে নিয়ে আসা হয় রবীন্দ্র সদনে। সহকর্মী থেকে শুরু করে অনুরাগীরা শ্রদ্ধা জানান তাপস পালকে। ১১.৪৫ নাগাদ আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেলে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।



সোশ্যালে শোকস্তব্ধ টালিগঞ্জ, ‘সাহেব'কে শেষশ্রদ্ধায় ঋতুপর্ণা, মিমি, নুসরত

তাপস পালের মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী  শোকবার্তায় লেখেন, “তাপস পালের প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তিনি আজ ভোরে মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র দাদার কীর্তি, সাহেব, ভালোবাসা ভালোবাসা, অনুরাগের ছোঁয়া, অমর বন্ধন ইত্যাদি। তিনি হিন্দি সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন। তাপস পাল ২০১৪ সালে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের সাংসদ নির্বাচিত হন।” তিনি আরও লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১২ সালে তাঁকে বিশেষ চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করে। এছাড়া তিনি ফিল্ম ফেয়ার ও কলাকার পুরস্কার পান। তাঁর প্রয়াণে অভিনয় ও রাজনৈতিক জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি প্রয়াত তাপস পালের আত্মীয়স্বজন ও অনুরাগীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই।”



রোজভ্যালিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার প্রায় বছর খানেক পর জামিন পান অভিনেতা। এই গ্রেফতারি পর্ব তাঁর পক্ষে যে সুখকর ছিল না বলাই বাহুল্য। ভেঙে পড়ে তাঁর শরীর। শেষ জীবনে আবার সিনেমায় ফিরতে চাইলেও তা আর হয়ে উঠল না অভিনেতার।

.