This Article is From Sep 12, 2019

গণপিটুনি নয়,হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাবরেজ আনসারির: চিকিৎসক

Jharkhand Mob Lynching: "প্রবল মানসিক চাপের কারণে ওই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে, গণপিটুনির ফলেই বাড়তে পারে মানসিক চাপ", বলেন এক চিকিৎসক।

১৮ জুন ঝাড়খণ্ডে Tabrez Ansari-কে কয়েক ঘন্টা ধরে গণপিটুনি দেওয়া হয়, এর কয়েক দিন পর মৃত্যু হয় তাঁর।

পাটনা:

গণপিটুনির ফলে মৃত্যু হয়নি তাবরেজ আনসারির, অন্তত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট একথাই বলছে। ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) গণপিটুনির ফলেই মারা গেছেন চব্বিশ বছরের ওই যুবক, এই অভিযোগ উঠলেও তাঁর মৃতদেহের ময়নাতদন্তকারী দলের মধ্যে থাকা এক চিকিৎসক জানিয়েছেন যে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মারা গেছেন। "এটি আমার একার রিপোর্ট নয়। একটি চিকিৎসক দল মিলে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে," ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডঃ বি মার্ডি এনডিটিভিকে এ কথা জানান। ফলে ওই গণপিটুনির (Jharkhand Mob Lynching) ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ খারিজ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।জনতার মারধরের কারণেই তাবরেজ মারা যাননি কীভাবে এ কথা বলতে পারছেন তিনি, এই প্রশ্ন করা হলে মার্ডি বলেন, "দেখুন, তাঁকে মারধর করা হয়েছিল ঠিকই কিন্তু সেটাই তাঁর (Tabrez Ansari) মৃত্যুর মূল কারণ হলে সেদিন বা তার দুই-তিন দিন পরেই মৃত্যু হত তাঁর। ১৭ তারিখ রাতে তাঁকে মারধর করা হয়েছিল। ২২ তারিখ সকালে তিনি মারা যান। এর মধ্যে তিনি হাঁটাচলা করেছেন এবং কথাও বলেছিলেন বলে জানা যায়। আমরা জেলের মধ্যে ছিলাম না, তবে আমাদের জানানো হয়েছিল যে তিনি জেলের অভ্যন্তরে ভালই আছেন।"

ঝাড়খণ্ড গণপিটুনি,ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে রেহাই অভিযুক্তদের!

"প্রবল মানসিক চাপের কারণে ওই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে, তবে হ্যাঁ এই গণপিটুনির ফলে পাওয়া আঘাত থেকেও বাড়তে পারে মানসিক চাপ", বলেন ওই চিকিৎসক।

716371ug

ডঃ বি মার্ডি জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাবরেজ আনসারির।

ওই চিকিৎসক আরও জানিয়েছেন যে তাবরেজ আনসারির ভিসেরা রিপোর্টে কোনও বিষ পাওয়া যায়নি।

জুনে ঝাড়খণ্ডে মোটর সাইকেল চোর সন্দেহে গণপিটুনির জেরে  মৃত্যু হয় ২৪ বছরের ওই যুবকের। তবে ওই গণপিটুনির ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ খারিজ করা হয়। পুলিশ জানায়, মৃত তাবরেজ আনসারির ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে গণপিটুনিতে নয়, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন । ফলে ওই হামলায় অভিযুক্ত ১১ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয় । শনিবার আরও এক অভিযুক্ত আত্মসমর্পণ করলে দ্বাদশ অভিযুক্ত হিসাবে তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু কেউ-ই খুনের দায়ে আর অভিযুক্ত নয় এখন।

ঝাড়খণ্ডের সারাইকেলা-খারওয়ানে আরও দুই যুবককে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেল চুরি করছিলেন এই সন্দেহে তাবরেজ আনসারিকে কয়েক ঘন্টা ধরে বেধড়ক মারধর করে উত্তেজিত জনতা। মারধরের পাশাপাশি ওই যুবককে "জয় শ্রী রাম" জপ করতেও বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ।

পুলিশি অবহেলা ও চিকিৎসকদের গাফিলতিই তাবরেজের মৃত্যুর কারণ:তদন্ত রিপোর্ট

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিশন রেড্ডি বলেন যে এটি একটি "দুর্ভাগ্যজনক" ঘটনা। সংবাদসংস্থা পিটিআই তাঁকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, "আদালতে কী ঘটেছিল আমি জানি না। আমি চাই যে যা ঘটেছিল, যা কিছু অপরাধমূলক ঘটনা ঘটেছে, দোষীদের তার জন্যে শাস্তি হওয়া উচিত"। তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছিল। অতীতে এ জাতীয় বহু ঘটনা ঘটেছে, তবে সবই যে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে ঘটেছে তা নয়"।

তাবরেজ আনসারির মৃত্যুর পর তদন্তে নেমে সারাইকেলা-খারওয়ানের জেলা প্রশাসক অঞ্জনেউলু দোডের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল প্রাথমিক ভাবে পুলিশ এবং তদন্তকারী চিকিৎসক উভয়পক্ষকই তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছিলেন।

জুলাই মাসে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, "পুলিশ দেরিতে পৌঁছনোয় চিকিৎসকরাও মাথার খুলির আঘাতের সঠিক পরিমাণ শনাক্ত করতে পারেননি।"

.