অত্যাবশ্যকীয় পণ্য না হলেও মিষ্টির দোকান ৪ ঘণ্টা খোলার রাখার কথা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
হাইলাইটস
- দুপুর ১২ টা থেকে ৪ টে খোলা যাবে দোকান
- কেবল মিষ্টি কেনা যাবে, আর কম কর্মচারী রাখতে হবে দোকানে
- দুপুরবেলা বিক্রিবাটা কতটা হবে সেই নিয়ে সন্দিহান মিষ্টি বিক্রেতারা
কেবল মাছ, ভাত যথেষ্ট নয়। লকডাউন হোক বা কার্ফু রসেবশে থাকা বাঙালির একটা সহজাত প্রবৃত্তি। এই বাজারেও তাই মিষ্টি দই, রসগোল্লা, পান্তুয়াদের জন্য মন কেমন করছেই বঙ্গবাসীর। আর রস দিয়েই রসনা নিবৃত্তি করতে উদ্যোগী হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারও। সোমবার রাজ্য সরকার জানিয়েছে এই লকডাউনের মধ্যেও রাজ্যের মিষ্টির দোকানগুলি চার ঘণ্টার জন্য খোলা থাকতে পারে। লকডাউনে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বাদে অন্য সামগ্রীর বিক্রির ব্যবস্থা এই প্রথম। পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির ১০০০০ সদস্য তাঁদের সমস্যা জানিয়ে দোকান খোলার অনুমতি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে মেল করেন। মিষ্টির দোকানগুলিতে দুধের অপচয় এবং কর্মহীন শ্রমিকদের নিয়ে উদ্বেগকে মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে সূত্রের খবর।
সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছে, “লকডাউন পর্ব চলাকালীন মিষ্টির দোকানগুলি প্রতিদিন দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৪ টে অবধি খোলা থাকতে পারে। তবে কেবল মাত্র মিষ্টি কেনা যাবে, বসে খাওয়া যাবে না এবং যতটা সম্ভব কম কর্মচারী রাখতে হবে দোকানে।”
শহরের একাধিক মিষ্টির দোকানের মালিকরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ঠিকই, তবে সামান্য কিন্তু-কিন্তু নিয়েই। দোকান খোলা রাখার জন্য যে সময়টুকু ধার্য করা হয়েছে তাতে বিক্রিবাটা কতটা হবে সেই নিয়ে সন্দিহান তাঁরা। “আমরা প্রশাসনের কাছে সময় পরিবর্তন করার অনুরোধ করব। মিষ্টির দোকান চার ঘণ্টাই খোলা থাক তবে সেটা প্রথমার্ধে, যখন মানুষজন সবজি বাজার এবং মুদির দোকানে যাবেন,” পিটিআইকে বলেন পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির কর্তা ধীমান দাস।
ধীমান দাস কলকাতার বুকে একটি জনপ্রিয় মিষ্টির দোকানেরও মালিক। তিনি জানান, কলকাতায় সরকারের নির্দিষ্ট করা সময়ে তাঁর আউটলেটগুলি বন্ধই থাকবে। শহরের অন্যান্য সুপরিচিত মিষ্টি নির্মাতারাও বেশ দোটানায় পড়েছেন দুপুর বেলা দোকান খোলা রাখা নিয়ে।
তাই করোনাভাইরাসের জেরে লকডাউনের সময় সরকারি নির্দেশের পরেও, রসগোল্লা, সন্দেশ, মিষ্টি দই বাঙালির পাতে পড়বে কিনা তা নিয়ে জটিলতা রয়েই গিয়েছে।