This Article is From Nov 13, 2019

শবরীমালা-রাফাল নির্দেশের পুনর্বিবেচনায় বৃহস্পতিবার রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট

শবরীমালাতে রজঃস্বলা মহিলারাও প্রবেশ করতে পারবেন, বলে শীর্ষ আদালত, পাশাপাশি রাফাল মামলায় কোনও রকমের হস্তক্ষেপ করবে না তাঁরা, এমনটাও বলে Supreme Court

শবরীমালা-রাফাল নির্দেশের পুনর্বিবেচনায় বৃহস্পতিবার রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট

শবরীমালা ও রাফাল চুক্তি, এই দুই বিষয়েই নিজের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনে রায় দেবে Supreme Court

নয়া দিল্লি:

শবরীমালা মন্দিরে (Sabarimala Case) মহিলাদের প্রবেশাধিকার এবং রাফাল চুক্তি (Rafale deal) নিয়ে রায়, এই দুইয়ের বিরুদ্ধেই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জমা পড়েছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালতে (Supreme Court) । বৃহস্পতিবার সেই দুটি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় রিভিউ পিটিশন বিবেচনা করে রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। শবরীমালা মামলায় প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঐতিহাসিক রায় দেয়। শবরীমালাতে রজঃস্বলা মহিলারাও প্রবেশ করতে পারবেন, এমন কথাই বলে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর সেই যুগান্তকারী রায়ে বলে এখন থেকে শবরীমালা মন্দিরে যে কোনও বয়সের যে কোনও মহিলার প্রবেশাধিকার রয়েছে। তার আগে, ওই মন্দিরের দেবতা আয়াপ্পার পুজো দেওয়ার জন্য ১০ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলাদের প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা ছিল।

এছাড়া শীর্ষ আদালত ডিসেম্বরে দেওয়া রাফাল চুক্তি সম্পর্কিত রায়েরও পর্যালোচনা করবে বৃহস্পতিবার। এর আগে আদালত ৫৮,০০০ কোটি টাকার রাফাল চুক্তিতে অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত চেয়ে করা আবেদনগুলি খারিজ করে দেয়।

কেরালার শবরীমালায় প্রবেশ করে ইতিহাস গড়লেন দুই মহিলা, 'শুদ্ধিকরণের' জন্য বন্ধ মন্দির

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে শবরীমালা নিয়ে রায় দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট বলে, “বিধিনিষেধকে কখনওই ধর্মীয় প্রথার অংশ হিসেবে তুলে ধরা যায় না”। আদালত ওই সময় জানিয়েছিল, এই প্রথা আসলে একরকম অস্পৃশ্যতাকেই তুলে ধরার চেষ্টা করে, যা কাম্য নয়। যদিও, সুপ্রিম কোর্টের সেই ঐতিহাসিক রায়ের পরেও মন্দিরে ৫০ বছরের কম বয়সী মহিলারা রায়-বিরোধীদের বিক্ষোভের কারণে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেননি।

বছরে মোট ১২৭ দিন খোলা থাকে শবরীমালা মন্দির।

৮০০ বছরের পুরনো দক্ষিণ ভারতের এই মন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট রায় পুনর্বিবেচনা করে নতুন রায় দেয় কিনা তারই জন্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করবে দেশ।

পাশাপাশি রাফাল চুক্তি নিয়ে তদন্তের আবেদন খারিজ করে দিয়ে ২০১৮ সালেই সুপ্রিম কোর্ট বলে, রাফাল মামলায় কোনও রকমের হস্তক্ষেপ করবে না শীর্ষ আদালত। রাফাল বিমান দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত। তাই তা কেনার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন করা ঠিক নয়। কেন্দ্র চুক্তির বিষয়ে যে সিল করা খাম সুপ্রিম কোর্টে জমা দেয় তা দেখে তাঁরা সন্তুষ্ট। এই চুক্তির সময় বিশেষ কাউকে কোনও রকমের ব্যবসায়িক সুবিধা দেওয়া হয়েছে, এরকম প্রমাণ পাওয়া যায়নি, জানায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ।

আরটিআই-এর পর রাফাল মামলায় একটি 'বিবর্তন' হয়েছে, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

এ দিন আদালত আরও জানায়, রাফাল বিমান সংক্রান্ত মামলায় বিমানের দাম নিয়ে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা অমূলক। কারণ, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে খরচের উপর সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তুলতে পারে না। এ ছাড়াও ১২৬টির বদলে কেন ৩৬টি বিমান কেনা হয়েছে, সে সম্পর্কে প্রশ্ন করাও উচিত নয়। অর্থাৎ কংগ্রেসের তরফে রাফাল মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে তদন্তের জন্য যে পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল তা এ দিন খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) এই রায়টিও পুনর্বিবেচনা করার কথা দেশের সর্বোচ্চ আদালতের।

.