This Article is From Jul 15, 2019

জানেন, "সুপার ৩০" আনন্দ কুমার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন আনন্দ মহিন্দ্রাকে!

হৃতিক রোশন আর 'সুপার ৩০' ছবির দৌলতে জনপ্রিয়তার সমস্ত আলো এখন গণিতবিদ আনন্দ কুমারের ওপরে।

জানেন,

আনন্দ মাহিন্দ্রা জানান, তিনি আনন্দ কুমারের বড় ভক্ত

নিউ দিল্লি:

হৃতিক রোশন আর 'সুপার ৩০' ছবির দৌলতে জনপ্রিয়তার সমস্ত আলো এখন গণিতবিদ (Celebrated tutor) আনন্দ কুমারের ওপরে। যেবছর থেকে আনন্দ (Anand Kumar) ৩০ জন দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রকে আইআইটি প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য বিনা পারিশ্রমিকে পড়ানোর দায়িত্ব নিয়েছেন সেদিন থেকেই যদিও তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ছবি মুক্তি পাবার পরে সম্প্রতি, এক সংবাদসংস্থা সাক্ষাতকার নেয় আনন্দ কুমারের। এরপরেই সেই সাক্ষাতকারের প্রত্যুত্তরে আনন্দের সঙ্গে তোলা তাঁর একটি ছবি দিয়ে টুইট করেন বিজনেস টাইকুন আনন্দ মাহিন্দ্রা (Anand Mahindra)। বলেন, তাঁর এখনও মনে আছে, তিনি যখন আনন্দকে অর্থনৈতির সাহায্যের (financial help) কথা জানিয়েছিলেন সঙ্গে সঙ্গেই তা বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেন 'সুপার ৩০' কুমার। মাহিন্দ্রার মন্তব্য, 'এরপরেই তাঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধা আরও বেড়ে যায়।'  

মাহিন্দ্রা আরও জানান, "আমি যখন তাঁকে অর্থ সাহায্যের কথা বলি তখন আনন্দ সবিনয়ে আমাকে বলেছিলেন, আপনার শুভেচ্ছাই আমার এগিয়ে চলার পাথেয়। এর বেশি আমার কিছুই প্রয়োজন নেই স্যার। সেই মানুষটিই আজ কত ছাত্র-ছাত্রীর জীবন বদলে দিয়েছেন, দিচ্ছেন।" 

৫৬ মিনিট আগে যান্ত্রিক সমস্যার জন্য আটকে গেল Chandrayaan 2 -এর লঞ্চিঙ্গ

প্রসঙ্গত, ২০০২-এ এই সুপার ৩০ প্রোগ্রাম বা অ্যাকাডেমি প্রথম চালু করেন আনন্দ কুমার। ৩০ জন দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রকে প্রতিবছর আইআইটি প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য বিনা পারিশ্রমিকে অঙ্ক শেখানোর দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি পড়ুয়াদের থাকা এবং খাওয়ার দায়িত্বও নিয়েছেন তিনি। 

 অ্যাকাডেমি চালু করার প্রথম বছরেই আনন্দের ৩০ জন পড়ুয়ার মধ্যে ১৮ জন আইআইটি-তে সুযোগ পেয়েছিলেন। পরে বছর সেই সংখ্যা আরও বাড়ে। লম্বা লাইন পড়ে আনন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে। যার জন্য সেই বছর থেকেই লিখিত পরীক্ষা নিয়ে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে বাছতে হয় আনন্দকে। ২০০৪-এ ৩০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২২ জন সুযোগ পায় আইআইটি-তে। 

উত্তরবঙ্গে লাগাতার প্রবল বর্ষণ, ভারী বৃষ্টিতে মৃত ১

২০১০-এ দেশ চেনে আনন্দ কুমারকে। আনন্দ কুমারের এই নীরব সাধনাকে। তাঁর প্রতিষ্ঠানকে। ওই বছরেই ৩০ জন পড়ুয়াই আইআইটি প্রবেশিকায় সফল ভাবে উত্তীর্ণ হন। এই সাফল্য নজর কেড়েছিল বিদেশি সংবাদমাধ্যমেরও।

আনন্দ কুমারের এই নিষ্ঠা, আধুনিক ব্রহ্মচর্য বা গুরুগৃহে পড়াশোনার রেওয়াজ চালু করা মুগ্ধ করেছে বলিউডকেও। তারই ফলাফল, হৃতিক রোশন অভিনীত সুপার ৩০ ছবি। য়েখানে আনন্দের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন স্বয়ং হৃতিক। ছবি মুক্তি পেয়েছে ১২ জডুলাই। এর মধ্যেই ছবিটি ৩০ কোটি টাকা ব্যবসা করেছে।  

"বিহার মানেই ধর্ষণ-খুন-ডাকাতি। বিহার মানেই যেন অশিক্ষিতের আঁতুড়ঘর। বরাবরই বিহারকে এমন চোখেই দেখে এসেছে দেশ। বিহার মানে যে মানবিকতাও বিশ্বকে দেখিয়ে দিল সুপার ৩০ ছবি। আমি কৃতজ্ঞ বলিউড এবং হৃতিকের কাছে", ছবি দেখার পর এভাবেই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বাস্তবের সুপার ৩০ আনন্দ কুমার।

.