This Article is From Dec 20, 2019

'প্রতিবাদ থামান, শীর্ষ আদালতের কথা শুনুন': নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গে বললেন রাজ্যপাল

Citizenship Amendment Act: নাগরিকত্ব আইন বিষয়ে কেন্দ্রের জবাব চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ওই জবাব দিতে হবে মোদি সরকারকে

'প্রতিবাদ থামান, শীর্ষ আদালতের কথা শুনুন': নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গে বললেন রাজ্যপাল

West Bengal: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে জনগণকে প্রতিবাদ বন্ধ করার অনুরোধ রাজ্যপালের

হাইলাইটস

  • নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বন্ধ হোক, আবেদন রাজ্যপালের
  • রাজ্যের মানুষের প্রতি ওই আবেদন জানান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়
  • সুপ্রিম কোর্ট নাগরিকত্ব আইনে স্থগিতাদেশ জারি করতে অস্বীকার করেছে
কলকাতা:

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখানো বন্ধ করে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের কথা শোনার জন্যে রাজ্যের (West Bengal) মানুষের প্রতি আহ্বান জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। বুধবার এই বিতর্কিত আইনের (Citizenship Amendment Act) বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ জারির আবেদন জানানো হলেও তা খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে পাশাপাশি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সাংবিধানিক বৈধতা যাচাই করে দেখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর জোরালো হচ্ছে সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আইনটির বৈধতা যাচাই করবে আদালত। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গাতেও নাগরিকত্ব সংশোধিত আইনের প্রতিবাদে ক্রমাগত চলছে বিক্ষোভ-আন্দোলন।

"@ মমতাঅফিসিয়াল। এখন যেহেতু সুপ্রিম কোর্টে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ২০১৯-এর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করা হয়েছে এবং আপাতত এই আইনের বিরুদ্ধে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি আদালত, তাই আমি সবাইকে শান্তির স্বার্থে আন্দোলনের পথ ছেড়ে দেওয়ার আবেদন করছি যাতে রাজ্যে স্বাভাবিকতা ফিরে আসে এবং মানুষের দুর্ভোগ কম হয়", টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।

নাগরিকত্ব আইন বিষয়ে একটি নোটিস জারি করে কেন্দ্রের জবাব চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ওই জবাব দিতে হবে মোদি সরকারকে।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে এবার পথে নামলেন বুদ্ধিজীবী, সমাজকর্মীরা

সংসদে পাস হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির অনুমোদন প্রাপ্ত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে যে সব অমুসলিম মানুষরা ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা এবার ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। অথচ অনেকেই বলছেন, নতুন আইনটির মাধ্যমে ধর্মের ভিত্তিতে বিবেচনা করে অবৈধ অভিবাসীদের দেশের নাগরিক হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া সংবিধানের মূল কাঠামোর পরিপন্থী। এই আইন নাগরিকদের জীবন ও মৌলিক অধিকার তথা সাম্যের অধিকার লঙ্ঘন করে, দাবি প্রতিবাদীদের।

গত বুধবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এই আইনে স্বাক্ষর করার পরেই দেশ জুড়ে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হয়। বিশেষত  দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল, বাংলা এবং দিল্লিতে এই আইনের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। অসমে বিক্ষোভের পর ঘটা হিংসার ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও লাগাতার চলছে সড়ক ও রেল অবরোধ, ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে পথে নেমে প্রতিবাদে নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদকারীদের লক্ষ্য করে ছোঁড়া হল বোমা! গ্রেফতার ২

গত ১৩  ডিসেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলাতেও শুরু হয়েছে বিতর্কিত এই আইনের প্রতিবাদে সহিংস বিক্ষোভ আন্দোলন। বিক্ষোভকারীরা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রেলের সম্পত্তি নষ্ট করে এবং কয়েকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে রাজ্যের মানুষকে সহিংস আন্দোলন থেকে বিরত থাকার জন্যে বারংবার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও।

দেখুন এই ভিডিও:



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.