This Article is From Jan 03, 2020

বাবুল সুপ্রিয় তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চান; ছাত্রের দাবি ওড়ালেন মন্ত্রী

দিন কয়েক আগে মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় আর এক কলেজ পড়ুয়া বাদানুবাদে জড়িয়েছিলেন। সেই বিতণ্ডায় বাবুল সুপ্রিয় ওই ছাত্রকে 'তার দেশে ফেরত পাঠানোর' কথা বলেছিলেন।

বাবুল সুপ্রিয় তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চান; ছাত্রের দাবি ওড়ালেন মন্ত্রী

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবুল সুপ্রিয়। (পিটিআই, ফাইল চিত্র)

হাইলাইটস

  • দিন কয়েক আগে মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় আর এক পড়ুয়া বাদানুবাদে জড়িয়েছিলেন
  • এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে সেই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে বললেন সেই পড়ুয়া
  • এই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
কলকাতা:

দিন কয়েক আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় আর কলেজ পড়ুয়া মুস্তাফিজুর রহমান ফেসবুকে বাদানুবাদে জড়িয়েছিলেন। অভিযোগ সেই বাক-বিতণ্ডায় বাবুল সুপ্রিয় ওই ছাত্রকে "তাঁর দেশে ফেরত পাঠানোর" কথা বলেছিলেন। মুস্তাফিজুর রহমান কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর "শিক্ষাগত যোগ্যতা" জানতে চেয়েছিলেন। তারপরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ওই মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল সোশ্যাল সাইটে। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে সেই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে বললেন ওই কলেজ ছাত্র। শুক্রবার তিনি দাবি করেছেন, আমি কিছু চাই না, শুধু তিনি (বাবুল সুপ্রিয়) প্রকাশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। এদিনই আবার এই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেন, "আমার সেই মন্তব্য ওই ছাত্রের ধর্মকে উদেশ্য করে ছিল না। তাছাড়া আমি কোনও বোকার কাছে ক্ষমা চাইব না।"

"আপনি প্রধানমন্ত্রী নাকি পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত?": শিলিগুড়িতে মোদিকে প্রশ্ন মমতার

এই ঘটনার সূত্রপাত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনকে ঘিরে। সেই মঞ্চে এক ছাত্রী সবার সামনে সিএএ'র প্রতিলিপি ছিঁড়ে বলেছিলেন, "আমি এই আইন মানি না।" ফেসবুকে সেই ছবি ২৬ ডিসেম্বর শেয়ার করে সিএএ'র পক্ষে সরব হয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। সেই ছাত্রীর পারিবারিক সংস্কৃতি নিয়েও মন্তব্য ছিল শেয়ার করা সেই পোস্টে। সেই পোস্টের নীচেই বীরভূমের ইলামবাজার কলেজের রসায়নের ছাত্র মুস্তাফিজুর রহমান মন্তব্য করেছিলেন: "বাবুল দা আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা কী? আপনার গুরু দিলীপ ঘোষ তো গোরুর দুধ থেকে সোনা বার করেন।" এরপরেই পাল্টা মন্তব্যে বাবুল সুপ্রিয় বলেছিলেন, আগে তোমাকে তোমার দেশে ফেরত পাঠাই। তারপর পোস্টকার্ডে জবাব পাঠাবো।

পাল্টা মন্তব্যে সেই ছাত্র দাবি করেছিলেন, "আমি যে এদেশের, এ রাজ্যের, তার সব প্রমাণ আমার আছে। আসলে আপনি জানেন না, বাঙালিকে কীভাবে সম্মান করতে হয়! তাও বাংলা থেকে আপনি নির্বাচিত সাংসদ। আপনি কি রোজ গোমূত্র খান?" ওই বিতর্কের পর আজ পিটিআইকে পড়ুয়া বলেন, "আমি দেখলাম, গোল্ড মেডেল পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর সিএএ-বিরোধিতায় নেওয়া ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন বাবুল সুপ্রিয় আর দিলীপ ঘোষ। তখন আমি বাধ্য হলাম মন্তব্য করতে।" পাশাপাশি সংবিধানের নামে শপথ করা এক মন্ত্রীর এহেন মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিযোগ করেন ওই ছাত্র। 

সিএএ: ১১ টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়নের

তিনি বলেছেন, আমি এখানেই জন্মেছি, বড় হয়েছি। আমি শুধু প্রকাশ্যে ওঁর থেকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইছি। এই দাবির পর বাবুল সুপ্রিয়র মন্তব্য: "ও কেন দিলীপ ঘোষকে টানল? আমি কী প্রেক্ষিতে ওই কথা বলেছি, সেটা ওর মতো বোকা বুঝতে পারবে না। আমার ওই মন্তব্যের সঙ্গে হিন্দু কিংবা মুসলিম যোগ নেই। তাই ওর থেকে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই নেই।"

এদিকে ওই ছাত্রের পাশে দাঁড়িয়ে জাতীয় বাংলা সম্মেলনের সিদ্ধব্রত দাস পিটিআইকে বলেন, "বাবুল সুপ্রিয় যে মন্তব্য করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আমরা সই সংগ্রহে নেমেছি। সেই সই সম্বলিত একটা চিঠি আমরা রাজ্যপালের কাছে জমা দেব। আর রাজ্যপালকে বলব, আপনি এই চিঠি কেন্দ্রের কাছে পাঠান। ওরা দেখুক বাংলার মানুষের প্রতি বাবুল সুপ্রিয়র কী মনোভাব।"  
 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.