This Article is From Aug 25, 2019

রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষে সায় দিয়েছেন সনিয়া গান্ধি

লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গে ভাল ফল করার পর থেকেই ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে গেরুয়া শিবির।

রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষে সায় দিয়েছেন সনিয়া গান্ধি

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের সঙ্গে বৈঠক করেন কংগ্রেস সনিয়া গান্ধি, (ফাইল)

কলকাতা:

রাজ্যে বিধানসভা উপনির্বাচনে বামেদের সঙ্গে জোটের পক্ষে সায় দিয়েছেন কংগ্রেসের অন্তবর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি, এমনটাই জানা গিয়েছে দলীয় সূত্রে। শুক্রবার রাতে নয়াদিল্লিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের সঙ্গে বৈঠক করেন কংগ্রেস সনিয়া গান্ধি, সেখানেই সংগঠনের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “রাজ্যে আসন্ন উপনির্বাচনে বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়টি আমরা সনিয়াজীকে জানিয়েছি। তিনি বলেছেন, বামেরা রাজি থাকলে, দুই দলের জোটে যাওয়া উচিত”। প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে আসন সমঝোতা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেই সময় রাহুল গান্ধির পদত্যাগের পর কংগ্রেস সভাপতি পদে কেউই ছিলেন না।

‘পুলিশি নিরাপত্তা'র আর্জি জানালেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়

চলতি মাসের গোড়ার দিকে কংগ্রেসের অন্তবর্তীকালীন সভানেত্রী হন সনিয়া গান্ধি, তারপরে সবুজ সঙ্কেত দেন তিনি। কংগ্রেস সূত্রের খবর, বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষে সনিয়া গান্ধির এই সবুজ সঙ্কেত রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ, বিজেপিকে রুখতে সমস্ত বিরোধীদের এককাট্টা হওয়ার ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা বলেন, “এটা পরিষ্কার যে, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সনিয়াজীর ভাল সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও, জোটের জন্য তিনি বেছে নিয়েছেন বামেদেরকেই। এর পিছনে অন্যতম কারণটি হল, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই হবে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। সুতরাং, শুধুমাত্র বিজেপি বিরোধিতার কারণে, আমরা তৃণমূলের সঙ্গে জোট করতে পারি না”।

অনেক তৃণমূলনেতাই বিজেপিতে যোগ দেবেন, বললেন দিলীপ ঘোষ

রাজ্যে বিজেপি ও তৃণমূলের জয়রথ রুখতে তিন বিধানসভা উপনির্বাচনে, আসন সমঝোতার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। দুই দলের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর আসনে লড়াই করবে কংগ্রেস, অন্যদিকে, সিপিআইএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট লড়বে নদিয়ার করিমপুর আসনে।

কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক প্রমথনাথ রায়ের মৃত্যুতে আসনটি খালি হয়, মেদিনীপুর লোকসভা আসন থেকে লোকসভা নির্বাচনে দিলীপ ঘোষ জিতে সাংসদ হওয়ার কারণে খালি হয় খড়গপুর আসনটি। কৃষ্ণননগর লোকসভা আসন থেকে জয়ী হয়ে সংসদে গিয়েছেন তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। ফলে সেখানেও বিধানসভা উপনির্বাচন হবে।

২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে জোট গড়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিল বাম-কংগ্রেস, যদিও সেই কৌশল ব্যর্থ হয়। এবারে লোকসভা নির্বাচনে আসন সমঝোতা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে না পারায় ভেঙে যায় সেই কৌশল। এবারের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে খারাপ ফল করেছে বাম ও কংগ্রেস। মাত্র ২টি আসনে জিতেছে তারা এবং ৩৮ আসনে প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

এবারের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে খাতা খুলতেই পারেনি বামেরা। ৩৯টি আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে তাদের। ৪২ আসনের মধ্যে ১৮টি আসনে ফুটেছে পদ্মফুল, ২২ আসনে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গে ভাল ফল করার পর থেকেই ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে গেরুয়া শিবির।  


 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.