This Article is From Jun 26, 2019

পৃথিবীর দুর্গম অঞ্চলে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ মঙ্গলবার, কোন বাড়তি আকর্ষণে ছুটে আসবেন পর্যটকরা?

চিলি ও আর্জেন্টিনার মধ্যবর্তী এক এলাকায় দেখা যাবে সূর্যের পূর্ণগ্রাস। মঙ্গলবার সূর্যাস্তের কিছু আগে আবহাওয়া ঠিক থাকলে ওই গ্রহণ দেখতে পাবে মানুষ।

পৃথিবীর দুর্গম অঞ্চলে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ মঙ্গলবার, কোন বাড়তি আকর্ষণে ছুটে আসবেন পর্যটকরা?

পূর্ণগ্রাস শুরু হবে বিকেল ৪.৩৮-এ। সূর্যাস্তের এক ঘণ্টা ১৮ মিনিট আগে। (প্রতীকী)

হাইলাইটস

  • চিলি ও আর্জেন্টিনার মধ্যবর্তী এক এলাকায় দেখা যাবে সূর্যের পূর্ণগ্রাস।
  • পূর্ণগ্রাস শুরু হবে বিকেল ৪.৩৮-এ। সূর্যাস্তের এক ঘণ্টা ১৮ মিনিট আগে।
  • মঙ্গলবার সূর্যাস্তের কিছু আগে আবহাওয়া ঠিক থাকলে গ্রহণ দেখতে পাবে মানুষ।

অনেকেরই স্মৃতিতে আজও উজ্জ্বল ১৯৯৫ সালে ভারতে (India) হওয়া পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ (Total Solar Eclipse)। সকালবেলার আকাশ (Sky) হঠাৎ ঢেকে গিয়েছিল অন্ধকারে। হতভম্ব পাখিরা ফিরে এসেছিল বাসায়। সূর্যের (Sun) শরীর একটু একটু করে ঢেকে দিয়েছিল চাঁদ (Moon)। নেমে এসেছিল গাঢ় অন্ধকার। সেই ছায়াসূর্য ও খানিক বাদে ফুটে ওঠা ডায়মন্ড রিং একবার দেখলে ভোলা মুশকিল। ভারতে তারপর থেকে আর দেখা না গেলেও পৃথিবীর অন্যত্র কিন্তু পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ প্রত্যক্ষ করেছে মানুষ। দু'বছর আগে ‘গ্রেট আমেরিকান এক্লিপস'-এর পরে আবারও এক পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। এবার চিলি ও আর্জেন্টিনার মধ্যবর্তী এক এলাকায় দেখা যাবে সূর্যের পূর্ণগ্রাস। মঙ্গলবার সূর্যাস্তের কিছু আগে আবহাওয়া ঠিক থাকলে ওই গ্রহণ দেখতে পাবে মানুষ। এছাড়া প্রশান্ত মহাসাগরের প্রত্যন্ত ন‌ির্জন অঞ্চল থেকে দেখা যাবে এই গ্রহণ।

যন্ত্রণা কমাতে হাত কেটে ফেলতে চান Bangladesh 'Tree Man' আব্দুল

দক্ষিণ গোলার্ধে এখন শীতকাল। মঙ্গলবার সান্তিয়াগোর ২৫০ মাইল উত্তরে অবস্থিত উপকূলবর্তী শহর লা সেরেনায় প্রথম পূর্ণগ্রাস দেখা যাবে। পূর্ণগ্রাস শুরু হবে বিকেল ৪.৩৮-এ। সূর্যাস্তের এক ঘণ্টা ১৮ মিনিট আগে। তবে মেঘাচ্ছন্ন থাকার সম্ভাবনা আছে আকাশ। ফলে সত্যিই কতটা দেখা যাবে তা নিয়ে সংশয় থাকছে। এর আগে ২০১৭ সালে গ্রহণের সময় সূর্য যেহেতু ৬০ ডিগ্রি উপরে ছিল, তাই মেঘ সেভাবে বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি। কিন্তু এবার দিগন্তের দিকে থাকার ফলে সূর্যকে মেঘের ঢেকে ফেলার সম্ভাবনা বেশি। তাছাড়া গ্রহণ শুরু হলে আলো ও তাপমাত্রা কমে যাওয়ার ফলে মাটি আকাশের থেকে দ্রুত শীতল হতে শুরু করবে। এর ফলে মেঘের উৎপত্তিও ঘটবে। ফলে সূর্যগ্রহণ না দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।

ছোট্ট পোকা আটকে দিল বহু ট্রেন! ভোগান্তি ১২ হাজার যাত্রীর

একমাত্র কাছের দ্বীপে গেলে মেঘের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু যাওয়াটা মোটেই সহজ নয়। কেবল মাত্র রুট ৪১-ই হল একমাত্র প্রধান রাস্তা। কিন্তু সেই পথে দুর্গমতা রয়েছে। ফলে মধ্যাহ্নভোজনের মধ্যে ওখানে পৌঁছে গেলে তবেই নির্বিঘ্নে গ্রহণ দেখা যেতে পারে। পাহাড়ে আকাশের অনেকটা অংশ ঢেকে দেয় বলে ঠিক করে জায়গা খুঁজে নিতে পারলেই গ্রহণ দেখা যাবে।

সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে অনেকটা কাঠখড় পোড়াতে পারলে তবেই এই গ্রহণ চাক্ষুষ করা যাবে।

প্রশ্ন আসতে পারে, এত কষ্ট কেন করতে হবে আড়াই মিনিটের একটা ‘শো' দেখতে। আসলে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ এমনিতেই অবিশ্বাস্য সুন্দর। তার উপর এই এলাকায় অরোরা (আকাশ জুড়ে রংয়ের খেলা) দেখা যাবে। একই সঙ্গে এই দুই অপূর্ব দৃশ্য দেখতে যে কৌতূহলী মানুষরা কষ্ট করে এত দূরে দুর্গম এই এলাকাতেও ছুটে আসবেন তা বলাই বাহুল্য।

এই দশকে চিলি ও আর্জেন্টিনায় এই নিয়ে দ্বিতীয় পূর্ণগ্রাস দেখা যাবে। এরপর আবার ২০২০-র ১৪ ডিসেম্বর আরও একবার পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে এখান থেকে। সেই সময়েই আকাশে আশ্চর্য সুন্দর দৃশ্য দেখা যাবে। কারণ, ওই সময় উল্কাবৃষ্টির মরশুমে। কল্পনাপ্রবণ মানুষকে কি বলে দিতে হবে, একসঙ্গে এত কিছু দেখতে পেলে কেমন অনুভূতি হবে মনে।

.