This Article is From Jul 16, 2019

অমানবিক! সিংহ শিকারের পর তার সামনেই চুম্বনে মগ্ন যুগল...

মানসিক বিকৃতি? নাকি, বিখ্যাত হওয়ার নেশা?--- কী বলবেন এই ছবি (shocking photograph) দেখে?

অমানবিক! সিংহ শিকারের পর তার সামনেই চুম্বনে মগ্ন যুগল...

সিংহ শিকারের বিজয়োল্লাসে চুম্বনে মগ্ন যুগল

মানসিক বিকৃতি? নাকি, বিখ্যাত হওয়ার নেশা?--- কী বলবেন এই ছবি (shocking photograph) দেখে? আপনি মুখ খোলার আগেই যদিও মুখ খুলেছে নেট পাড়া। নেটিজেনরা শিহরিত ছবি দেখে। তারপরেই ধিক্কারে মুখর। এক যুগল সিংহবিক্রমে সিংহ শিকারের পর সেই মৃতদেহের সামনেই চুম্বনরত (couple kissing) ! দম্পতির নাম ডারেন আর ক্যারোলিন কার্টার (Darren and Carolyn Carter)। কানাডার এই বাসিন্দা যুগল আদতে ট্রফি হান্টার। সম্প্রতি, সাউথ আফ্রিকার লেগেলেলা সাফারি ট্যুরে ( Legelela Safaris tour) এসে এমন অমানবিক কাণ্ড ঘটিয়েছেন। সেই ছবি শেয়ার করতেই ভাইরাল তা।  

এই ছবি প্রথমে শেয়ার করেছিল লেগেলেলা সাফারি। তাদের সোশ্যাল পেজে। অমানবিক ছবি ভাইরাল হতেই ছি-ছি করে ওঠেন সবাই। সঙ্গে সঙ্গে পেজ থেকে ছবি মুছে দেয় সংস্থা। 

"ফুটন্ত কালাহান্ডির জ্বলন্ত সূর্যের নীচে দাঁড়িয়ে দৈত্যাকার সিংহকে মেরে দারুণ কাজ করেছেন যুগল" ছবির সঙ্গে এই মন্তব্য করা ছিল ক্যাপশনে।

ছবি ছড়িয়ে পড়তেই সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় সোস্যাল দুনিয়ায়। সবাই ধইক্কার জানানোর পাশাপাশি ট্রফি হান্টিং বন্ধ করে দেওয়ারও কথা বলেন। 

ঘটনাটি সম্বন্ধে মি. কার্টারের মন্তব্য জানতে চাওয়া হলেও কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।  

পরে ট্রফি হান্টিং ব্যান নিয়ে এডওয়ার্ড গনক্ল্যাভস জানান: "ট্রফি শিকার সত্যিই ঘৃণ্য ঘটনা। যদিও এটা এক ধরনের শুটিং। তবে সেই কাজ করতে গিয়ে যদি কেউ পশু শিকার করে তবে তা সত্যিই অমানবিক এবং ধিক্কারজনক ঘটনা।"

এই ছবি সিসিলের নেটিজেনদের মনে করিয়ে দিয়েছে ২০১৫-র এক দগদগে স্মৃতি। ওই বছর এক দন্ত চিকিৎসক জিম্বাবোয়ের হোয়াঙ্গে ন্যাশনাল পার্কের একটি সিংহকে এভাবেই শিকার করেছিলেন। তিনিও ছিলেন একজন ট্রফি হান্টার। 

এমনিতেই আফ্রিকায় সিংহের সংখ্যা ৪০ শতাংশ কমে হয়েছে ২০ হাজার। তার ওপর ট্রফি হান্টিংয়ের জন্য যদি এভাবে নির্বিচারে সিংহ-হত্যা হয়, পশুরাজ যে আরও সংখ্যালঘু হয়ে পড়বেন! সে খেয়াল আছে?

Click for more trending news


.