This Article is From Dec 10, 2019

অর্থনীতি ‘পঙ্গু’, বিজেপির কাছে 'শেয়ার বাজারের জুয়া': রঘুরাম রাজনের সমর্থনে শিবসেনা

শিবসেনা বলছে, "কেন্দ্র সরকার অর্থমন্ত্রী এবং আরবিআইয়ের গভর্নরকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার অর্থনীতিবিদদের কথা শোনার জন্য প্রস্তুতই নয়। কারণ অর্থনীতি সরকারের কাছে ‘শেয়ার বাজারের জুয়া’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

অর্থনীতি ‘পঙ্গু’, বিজেপির কাছে 'শেয়ার বাজারের জুয়া': রঘুরাম রাজনের সমর্থনে শিবসেনা

জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছয় বছরে সর্বনিম্ন ৪.৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

মুম্বই:

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বা PMO-র হাতে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণই দেশের ‘দুর্বল' অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের অন্যতম প্রধান কারণ, এমনটাই দাবি শিবসেনার (Shiv Sena)। শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা' (Saamana)-র সম্পাদকীতে লেখা হয়েছে, কেন্দ্র সরকার অর্থমন্ত্রী এবং আরবিআইয়ের গভর্নরকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার অর্থনীতিবিদদের কথা শোনার জন্য প্রস্তুতই নয়। কারণ অর্থনীতি সরকারের কাছে ‘শেয়ার বাজারের জুয়া' হয়ে দাঁড়িয়েছে।” শিবসেনা আরবিআইয়ের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের (RBI governor Raghuram Rajan) উদ্বেগকেও সমর্থন করেছে। রঘুরাম সম্প্রতি বলেছিলেন যে প্রধানমন্ত্রী ও  পিএমও'র মধ্যে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ এবং ক্ষমতাহীন মন্ত্রীদের কারণেই দেশের অর্থনীতি তলানিতে। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছয় বছরে সর্বনিম্ন ৪.৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক স্থবিরতার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।”

আরও পড়ুনঃ ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে থাকা কয়েকজনই সমস্ত পরিকল্পনা করেন'': রঘুরাম রাজন

“পন্ডিত নেহেরু (জওহরলাল নেহেরু) এবং ইন্দিরা গান্ধিকে দেশের অর্থনীতির সর্বনাশা ধ্বংসের জন্য দায়ী করা যায় না। বর্তমান সরকার বিশেষজ্ঞদের কথা শোনার মতো মুডেই নেই। তাদের কাছে অর্থনীতি শেয়ার বাজারের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মধ্যে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ এবং ক্ষমতাহীন মন্ত্রী- এই পরিস্থিতি অর্থনীতির পক্ষে ভাল নয়,” সামনার সম্পাদকীয়তে লিখেছে শিবসেনা।

“বর্তমানে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি তলানিতে। কিন্তু সরকার মানতে প্রস্তুত নয়। পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ২০০ টাকায় পৌঁছেছে। অর্থমন্ত্রীও খুব শিশুসুলভ জবাব দিয়েছেন। তিনি বলছেন, আমি পেঁয়াজ-রসুন খান না, তাই আমাকে পেঁয়াজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন না। মনে হয় প্রধানমন্ত্রীর এই সমস্যা সমাধানের কোনও ইচ্ছাই নেই।” দলীয় মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন দল লিখেছে, “মোদি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না, তিনিও পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি বলেছিলেন যে পেঁয়াজ একটি অত্যাবশ্যকীয় আনাজ এবং পেঁয়াজ লকারে রাখা উচিত। আজ, তার নীতি বদলে গেছে। মোদি এখন প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের অর্থনীতি একেবারে ভগ্নপ্রায়।”

আরও পড়ুনঃ দেশের স্বার্থেই সমর্থন: নাগরিকত্ব বিল নিয়ে অবস্থান বদলে সরকারকে সমর্থন শিবসেনার!

শিবসেনার মতে, সরকার অর্থমন্ত্রী, আরবিআইয়ের গভর্নর, অর্থ সচিব এবং নীতি আয়োগের চেয়ারম্যানকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়, এটি দেশের ‘দুর্বল' অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের মূল কারণ। অর্থনীতি ‘পঙ্গু' এবং আরবিআইয়ের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের ‘রোগ নির্ণয়' একেবারে সঠিক।

শিবসেনা বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির জন্য নোটবাতিলের এবং বুলেট ট্রেনের মতো প্রকল্পগুলিতে ‘অপ্রয়োজনীয় গুরুত্ব' দেওয়ার সিদ্ধান্তকেও দায়ী করেছে। বিপিসিএল এবং এয়ার ইন্ডিয়ার মতো সরকার অধিগৃহীত খাতের প্রস্তাবিত বিক্রয়কে উল্লেখ করে শিবসেনা বলে, “পণ্ডিত নেহেরু এবং তাঁর সহযোগীরা দেশের জন্য যা কিছু অর্জন করেছেন, এই সরকার সবকিছুকে বিক্রি করে দিচ্ছে।”

.