This Article is From Nov 11, 2019

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা শিবসেনা নেতার; মহারাষ্ট্র নিয়ে বৈঠকে এনসিপি-কংগ্রেস: ১০ টি তথ্য

Maharashtra: রবিবারই শিবসেনাকে সরকার গঠনের আহ্বান জানান মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল, কেননা আগেই বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয় যে তাঁরা সরকার গঠনে আগ্রহী নয়

বিজেপির সঙ্গে ৫০:৫০ সূত্রে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করতে চেয়েছিলেন Uddhav Thackeray (ফাইল ছবি)

নয়া দিল্লি/মুম্বই: মহারাষ্ট্রে শিবসেনার নেতৃত্বাধীন সরকার গঠিত হবে কিনা তা নিয়ে এখন দেশীয় রাজনীতিতে জল্পনা তুঙ্গে। মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের বিষয়ে শিবসেনা-বিজেপি মতবিরোধের পরে কেন্দ্রে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করল উদ্ধব ঠাকরের দল। শিবসেনা সদস্য অরবিন্দ সাওয়ান্ত সোমবার সকালেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের মন্ত্রী পদ থেকে নিজের ইস্তফা ঘোষণা করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে নিজেদের একমাত্র মন্ত্রীকে (Arvind Sawant) সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে অনেকেই জল্পনা করছেন এর মাধ্যমে আসলে শরদ পাওয়ারকে বন্ধুতার বার্তা দিল শিবসেনা। মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের জন্য যে কোনও জোটের বিষয়ে আলোচনা করতে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের দেওয়া অন্যতম একটি শর্ত পূরণ করল তাঁরা (Shiv Sena)। মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে কয়েক সপ্তাহ টানাপোড়েনের পর রাজ্যপাল শিবসেনাকেই সেখানে সরকার গঠনের ডাক দেন। মনে করা হচ্ছে এনসিপির সমর্থন নিয়ে সে রাজ্যে (Maharashtra) সরকার গঠনের লক্ষ্যে নিজের দলের বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছে শিবসেনা। অন্যদিকে দিল্লিতে এই বিষয় নিয়েই এক বিশেষ বৈঠকে বসেছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব।

এখানে দেখুন এই সংক্রান্ত ১০টি তথ্য:

  1. "শিবসেনা সবসময়েই সত্যের দিক বেছে নিয়েছে। তাহলে এইরকম মিথ্যার পরিবেশে কেন আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে থাকবো? সেই কারণেই আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি", টুইট করেন ভারী শিল্প দফতরের মন্ত্রী অরবিন্দ সাওয়ান্ত।
     

  2. রবিবারই শিবসেনাকে সরকার গঠনের আহ্বান জানান মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি, কেননা আগেই বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয় যে তাঁরা সরকার গঠনে আগ্রহী নয়। তবে শিবসেনা এটাও জানে যে এনসিপি এবং কংগ্রেসর সমর্থন ছাড়া তাঁদের মহারাষ্ট্র সরকার গঠন করা সম্ভব নয়।
     

  3. শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে সোমবারই শরদ পাওয়ারের সঙ্গে এক বৈঠক করতে পারেন। সূত্রের খবর শিবসেনার তরফ থেকে মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে এনসিপিকে। তবে মুখ্যমন্ত্রী পদ থাকবে শিবসেনার দখলেই। 
     

  4. শিবসেনার সঙ্গে সরকার গড়া নিয়ে কোনও রফাসূত্র আসার আগে এনসিপির পক্ষ থেকে তাঁদের এনডিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসার শর্ত দেওয়া হয়। সেই শর্ত অনুযায়ীই এনডিএ ছাড়ে উদ্ধব ঠাকরের দল। সোমবারই নিজের দলের বিধায়কদের নিয়েও বৈঠক করবে শিবসেনা।
     

  5. "সেনা যদি কংগ্রেস এবং এনসিপির সমর্থন চায় তবে তাঁদের অবশ্যই ঘোষণা করতে হবে যে তাঁরা বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে এবং এনডিএর বাইরে বেরিয়ে এসেছে। পাশাপাশি ওই দলের মন্ত্রীকেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিতে হবে", সোমবার বলেন এনসিপি নেতা নবাব মালিক। তিনি আরও জানান যে শিবসেনার কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত সরকার গঠন নিয়ে কোনও প্রস্তাব আসেনি।
     

  6. শিবসেনার মুখপত্র সামনায় গত সপ্তাহেই বলা হয়: "এনসিপির ৫৪ জন বিধায়ক, ৪৪ জন কংগ্রেস বিধায়ক এবং কয়েকজন নির্দল বিধায়ককে নিয়ে আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পৌঁছতে পারি। সেনা নিজেদের দল থেকে একজনকে মুখ্যমন্ত্রী পদে উপস্থাপন করতে পারে। তবে তার জন্য তিনটি দলকেই স্বাধীন মতাদর্শের সঙ্গে মেলে এমন নীতি অবলম্বন করা উচিত যা সর্বজনগ্রাহ্য।
     

  7. তবে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠকে কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধি শিবসেনাকে সমর্থন করার বিষয়ে সম্মতি দেননি। জানা গেছে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে সোমবারই ফের বৈঠকে বসছে কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা। ওই বৈঠকেই ঠিক হবে যে দলটি সেনা-এনসিপি সরকারকে সমর্থন করবে কিনা এবং যদি তা হয়ও, তবে বাইরে থেকে সমর্থনের কথা ভাববে কংগ্রেস।
     

  8. শুক্রবারই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। রবিবার বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যপালকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে সরকার গঠনে আগ্রহী নয় গেরুয়া দল। এরপরেই শিবসেনাকে সরকার গঠনের জন্যে আহ্বান জানান মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল। পরে, রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পরে, রাজ্য বিজেপি প্রধান চন্দ্রকান্ত পাতিল সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত হয়ে বলেন, "জনাদেশ শিবসেনা-বিজেপি জোটের পক্ষে ছিল। তাই আমরা কখনোই একক ভাবে সরকার গঠন করে সেই জনাদেশের অপমান করতে পারি না। শিবসেনা যদি মহারাষ্ট্রের জনগণের রায়কে  অবমাননা করতে চায় এবং এনসিপি ও কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে এ রাজ্যে সরকার গঠন করতে চায়, তবে তাঁদের প্রতি আমাদের শুভেচ্ছা রইল"।
     

  9. বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে জোটের সম্পর্ক প্রায় ২৫ বছর। মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনেও তাই একসঙ্গেই লড়াই করে শিবসেনা-বিজেপি জোট। ফল প্রকাশের পর দেখা যায় যে বিজেপি পেয়েছে ১০৫ টি আসন এবং সেনা পেয়েছে ৫৬ টি আসন। দুই দলের আসন সংখ্যা মিলিয়ে যা ২৮৮ সদস্যের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্যে প্রয়োজনীয় ১৪৫-এর থেকে বেশি ছিল ।
     

  10. কিন্তু তারপরেই ৫০:৫০ সূত্রে ক্ষমতা ভাগাভাগিতে একমত না হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনে অপারগ হয় বিজেপি-শিবসেনা জোট। বিজেপি জানিয়ে দেয় যে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করবে না তাঁরা। তখনই শিবসেনাকে সরকার গড়ার আহ্বান জানান রাজ্যপাল। 



Post a comment
.