This Article is From Jun 16, 2019

মর্মান্তিক ফাদার্স ডে: পড়া বন্ধ করতে মেয়েকে ছুরি দিয়ে কোপাল বাবা!

একদিকে সারাদিন ধরে সাড়ম্বড়ে উদযাপিত হচ্ছে ফাদার্স ডে। অন্যদিকে, আলোর নীচে অন্ধকারের মতোই সামনে এল এই ভয়ঙ্কর ঘটনা।

মর্মান্তিক ফাদার্স ডে: পড়া বন্ধ করতে মেয়েকে ছুরি দিয়ে কোপাল বাবা!

ফাদার্স ডে-তে মেয়েকে ছুরি দিয়ে কোপাল বাবা

শাহজাহানপুর:

একদিকে সারাদিন ধরে সাড়ম্বড়ে উদযাপিত হচ্ছে ফাদার্স ডে। অন্যদিকে, আলোর নীচে অন্ধকারের মতোই সামনে এল এই ভয়ঙ্কর ঘটনা। অভিযোগ, নাবালিকা মেয়ের (15-year-old girl) দোষ, বিয়ের পিঁড়িতে না বসে পড়তে চেয়েছিল সে। বাবা-দাদার মতে, পড়াশোনার বদলে বিয়েটাই জরুরি। মেয়ে সেই কথা না শোনায় আজকের দিনে মেয়েকে পেছন থেকে ছুরি দিয়ে কোপাল বাবা। তারপরে ধাক্কা মেরে ফেলে দিল খালের জলে। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh') শাহজাহানপুরের (Shahjahanpur) এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দার ঝড় বইছে। কু-সন্তান যদিও হয়, কু-পিতা কি হতে পারে কোনোদিন? আজকের বিশেষ দিনে এই প্রশ্নই ফিরছে সবার মুখে মুখে। 

ভয়ে, আঘাতের যন্ত্রণায় বিপর্যস্ত ১৫ বছরের সেই নাবালিকার বর্ণনা, "বাবা আমাকে খালের ধারে একটা ফাঁকা জায়গায় নিয়ে আসে প্রথমে। সঙ্গে দাদাও ছিল। তারপর দাদা গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। সেই সুযোগে পেছন থেকে ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকে বাবা। তারপর আমায় ঝাক্কা মেরে ফেলে দেয় খালে।" 

Father's Day 2019: তারকা বাবা এবং ছেলেমেয়েরা কীভাবে পালন করছেন দিনটাকে?

ঘটনার কিছুক্ষণ পরে বাবা ফের আসে মেয়ে বেঁচে আছে না মরে গেছে দেখতে। বাবার চোখ এড়িয়ে এরপর মেয়েটি কোনও মতে সাঁতার কেটে উঠে আসে খাল থেকে। 

নাবালিকার এই কথা সত্যই বলে দাবি করেছেন তার জামাইবাবু। তিনি আরও জানিয়েছে, তিনি মেয়েটিকে নিজের পরিবারে এনে রেখেছেন। যাতে জোর করে আবার তার মা-বাবা বিয়ে দিতে না পারেন।

তিনি আরও জানান, "আমি ওর দিদিকে বিয়ে করেছি। গত দু-মাস ধরে ও আমাদের সঙ্গে থাকছিল। কারণ, ওর মা-বাবা ওকে আর পড়াতে চান না। জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ওঁরা। দিন কয়েক আগে মা-বাবাক এসে নিয়ে যায় ওকে। তারপরেই ঘটে এই ভয়ঙ্কর ঘটনা। ফোনে জানতে পারি, ওকে মেরে খআলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। গুরুতর আহত অবস্থায় খালের ধার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নাবালিকাকে। 

Father's Day Google Doodle: অ্যানিমেশনে বিশ্বের সব বাবাকে শ্রদ্ধা গুগল ডুডলের

ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় পুলিশ অফিসার দীনেশ ত্রিপাঠির মত, নাবালিকার বাবা ও দাদার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা জানতে তদন্তে নেমেছে প্রশাসন।

.