This Article is From Apr 12, 2019

পশ্চিমবঙ্গে প্রতিষ্ঠানিক বিশৃঙ্খলতা চলছে, সুপ্রিম কোর্টে দাবি কেন্দ্রের

অভিষেকের স্ত্রীয়ের তল্লাশি করায় শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকদের হেনস্থা করা হয়েছিল কিনা তা জানতে চায় আদালত।

পশ্চিমবঙ্গে প্রতিষ্ঠানিক  বিশৃঙ্খলতা  চলছে, সুপ্রিম কোর্টে দাবি কেন্দ্রের

ডিভিশন বেঞ্চের মতে গোটা ঘটনাটি খুবই গুরুতর।

নিউ দিল্লি:

কলকাতা বিমান বন্দরে সেদিন ঠিক কী হয়েছিল? জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট (Top Court)। কিছু দিন আগে ব্যাঙ্কক থেকে  কলকাতায় এসে নামেন তৃণমূল সাংসদ তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Bannerjee ) ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও একজন। তাঁরা দুজনে নিজের সঙ্গে  থাকা ব্যাগ দেখাতে রাজি হননি বলে দাবি শুল্ক দপ্তরের (Customs)। আর সে সময় রাজ্য  পুলিশের তরফে আধিকারিকদের নাকি হেনস্থাও (Harrasment) করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নোটিশ চাইল শীর্ষ আদালত (Suprme Court )।

শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকদের হেনস্থা করা হয়েছিল কিনা তা জানতে চায় আদালত। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা শুনছে। তাদের মতে গোটা ঘটনাটি খুবই গুরুতর।

ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বলেন, একজন আমাদের নজরে একটা বিষয় এনেছেন। ঘটনাটি খুবই গুরতর। কার দোষ সেটা আমরা জানি না। আদালতে রাজ্য সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি  জানান নোটিশ জারি করার দরকার নেই। সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।                       

 নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা মেনে নিল সুপ্রিম কোর্ট                  

কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা জানান,  অভিষেকের স্ত্রী এবং তাঁর সঙ্গে  থাকা মহিলার জিনিসপত্র তল্লাশি  করতে চাওয়া হয় এবং পাসপোর্টও দেখতে চাওয়া হয়। তখন ওই দু'জন শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তাঁর আরও দাবি ওই দু'জন চলে যাওয়ার পর বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক বিমান বন্দরে এসে পৌঁছন এবং শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকদের গ্রেফাতের করার চেষ্টা করেন। পশ্চিমবঙ্গে  এরকম প্রতিষ্ঠানিক  বিশৃঙ্খলতা  চলছে। কেউ আইনের পরোয়া করছে না। এই ঘটনায় আগেই অভিষেকের স্ত্রীয়ের  বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে শুল্ক দপ্তর। তার আগে এফআইআর করেছেন অভিষেকও।

তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ২ কিলো কেন ২ গ্রাম সোনাও ছিল না বলে আগেই দাবি করেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কেউ যদি প্রমাণ করতে পারেন যে  আমার  স্ত্রীয়ের কাছে এমন কোনও দ্রব্য যদি ছিল যার উপর শুল্ক দিতে হয় তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।

(সংবাদ  সংস্থা পিটিআইয়ের তথ্য সংযোজিত হয়েছে  )



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.