This Article is From Nov 22, 2019

মোদি টাকা পাঠাচ্ছেন ভেবে অন্যের অ্যাকাউন্ট থেকে ৮৯ হাজার টাকা তুলে নিলেন আরেক ব্যক্তি!

অ্যাকাউন্ট খোলার পরেই রুরাইয়ের বাসিন্দা হুকুম সিং কুশওয়াহা হরিয়ানায় চলে যান উপার্জন করতে। ওখানে রোজগার করে নিজের অ্যাকাউন্টে টাকা জমাতেন তিনি, আর এখানকার হুকুম সিং ব্যাংকে গিয়ে সেই টাকা নিজের মনে করে তুলে নিতেন!

মোদি টাকা পাঠাচ্ছেন ভেবে অন্যের অ্যাকাউন্ট থেকে ৮৯ হাজার টাকা তুলে নিলেন আরেক ব্যক্তি!

রোনী গ্রামের বাসিন্দা হুকুম সিং

ভোপাল:

ক্ষমতায় আসার আগে মোদি যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা একটু বেশিই সত্যি বলে মনে করে নিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের এক বাসিন্দা! মোদির কথায় বিশ্বাস করে এখন ভোগান্তিতে ভিন্ড জেলার এক বাসিন্দা। আলমপুরে অবস্থিত এসবিআই ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন এক ব্যক্তি। অথচ ব্যাংকের গাফিলতিতে ওই ব্যক্তির জমানো টাকা তুলছিলেন অন্য ব্যক্তি! কারণ, তিনি ভেবেছিলেন তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাচ্ছেন মোদি! রুরাই গ্রামের বাসিন্দা হুকুম সিং এবং রোনী গ্রামের বাসিন্দা হুকুম সিং, দু'জনেরই আলমপুর ব্রাঞ্চে অ্যাকাউন্ট ছিল। ব্যাংকের ভুলে দু'জনের পাসবইয়ে কেবল ছবি ২ খানা আলাদা, বাকি সবটাই এক! এমনকি অ্যাকাউন্ট নম্বরও একই। এক অ্যাকাউন্টের দুই মালিক এবং দুই মালিকের নাম একই হওয়ার ফলেই যাবতীয় বিড়ম্বনা। 

আরও পড়ুনঃ লেহেঙ্গা পরে মাথায়, হাতে, গলায়, কানে টমেটো ঝুলিয়ে বসে রয়েছেন পাত্রী! কিন্তু কেন?

tsondke

আরও পড়ুনঃ 'কলকাতার রঙ গোলাপি', দিন-রাতের টেস্টের আগে ছবি শেয়ার করলেন Sourav Ganguly

অ্যাকাউন্ট খোলার পরেই রুরাইয়ের বাসিন্দা হুকুম সিং কুশওয়াহা হরিয়ানায় চলে যান উপার্জন করতে। ওখানে রোজগার করে নিজের অ্যাকাউন্টে টাকা জমাতেন তিনি, আর এখানকার হুকুম সিং ব্যাংকে গিয়ে সেই টাকা নিজের মনে করে তুলে নিতেন! টানা ছ'মাস এমনটাই ঘটে এসেছে। ৬ মাসের মধ্যে রুরাইয়ের হুকুম সিংয়ের অ্যাকাউন্টে জমা করা ৮৯ হাজার টাকা তুলে নেন দ্বিতীয় হুকুম সিং।

n2ilso38

ইতিমধ্যে রুরাইয়ের গ্রামবাসী হুকুম সিং জমি কিনবেন বলে ঠিক করেন। ১৬ অক্টোবর জমি কেনার জন্য যখন তিনি টাকা তুলতে ব্যাঙ্কে যান তখনই এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তখন তিনি দেখেন যে তার অ্যাকাউন্টে ৩৫ হাজার ৪০০ টাকা মাত্র পড়ে রয়েছে। কিন্তু তাঁর দাবি তিনি ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ওই অ্যাকাউন্টে জমিয়েছিলেন। তারপরেই তিনি ব্যাংকের কর্মচারীদের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানান, কিন্তু এই বিষয়টি ব্যাংকের আধিকারিকরা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলেই তাঁর দাবি।

ব্যাংক ম্যানেজার রাজেশ সোনকর হুকুম সিংকে বলেন যে, এই অর্থ অ্যাকাউন্ট যার তিনি পেয়ে যাবেন। কিন্তু সেই সব টাকা দেখা গেল, আসলে রয়েছে রোনীর বাসিন্দা হুকুম সিংয়ের কাছে! দ্বিতীয় এই হুকুম সিং স্পষ্ট বলেন, “আমার ব্যাংকের খাতা ছিল। তাতে পয়সাও আসে। আমি তো ভেবেছি মোদি জি পয়সা পাঠাচ্ছেন তাই আমি সব তুলে নিয়েছি। আমাদের কাছে পয়সা ছিল না, আমাদের টাকা তুলতেই হত। আমরা বাড়িতে কাজ করিয়াছি এবং এই টাকা পয়সা দিয়েই তা হয়েছে।” রোনীর বাসিন্দা হুকুম সিং ব্যাংককেই এই গাফিলতির জন্য দায়ী করেছেন।

Click for more trending news


.