This Article is From Jun 17, 2019

রাজ্যে কোনও 'বহিরাগত' সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে না: আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

কোনও "বহিরাগত" এসে পশ্চিমবঙ্গে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অভিযোগ মিথ্যে।

রাজ্যে কোনও 'বহিরাগত' সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে না: আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

Mohan Bhagwat: নাগপুরে সংঘ শিক্ষা ভবনের তৃতীয় অধিবেশনে ভাষণরত মোহন ভাগবত

নাগপুর:

কোনও "বহিরাগত" (outsiders) এসে পশ্চিমবঙ্গে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) এই অভিযোগ মিথ্যে। গতকাল, নাগপুরে সংঘ শিক্ষা ভবনের তৃতীয় অধিবেশনে ভাষণ দিতে এমনটাই বলেন জাতীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagawat)। তিনি বলেন, জনগণের স্বার্থরক্ষা এবং কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব শুধুই সরকারের।

ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা এবং একের পর এক রাজনৈতিক হত্যার জন্য ভাগবত দায়ী করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ জানিয়ে আসছেন, "বহিরাগত"রা এসে এই তাণ্ডব করছে। এই তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যে। 

মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে গ্রেফতার

প্রসঙ্গত, নাগপুর রেশমবাগের স্মৃতি মন্দিরের তৃতীয় বর্ষের অধিবেশন "সংঘ শিক্ষা ভার্গ"-এর সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে একথা বলেন তিনি। ২৩ মে থেকে শুরু হওয়া ২৫ দিনের এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন ৮২৮ জন।

ভাগবত আরও বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে যা কিছু ঘটছে তা অভিপ্রেত নয়। কই, অন্য রাজ্যে তো এসব ঘটছে না!  রাজনৈতিক মদতপুষ্ট কিছু গুন্ডাবাহিনি এই ধরনের সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে আমার ধারণা। এই সমস্যা মেটাতে হবে রাজ্য সরকারকেই। প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। তবেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।" 

তাঁর কথায়, "যিনি রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলা ধরে রাখতে পারেন না তাঁকে কি যোগ্য শাসক বলা যায়! নির্বাচনের আগে তথাকথিত কিছু নেতা দেশের মানুষকে জাত-পাতের দোহাই তুলে ভাগ করতে চেয়েছিলেন। ভগবানকে ধন্যবাদ। দেশের মানুষ সেই ফাঁদে পা দেননি।

তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কথার উদাহরণ টেনে বলেন, বাইরের মানুষ ভেতরে ঢুকে হত্যা করছে, সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে এই ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে আদতে রাজ্যের ক্ষতি করছেন মমতা।

 'মুখ্যমন্ত্রী কোনও অফিসিয়াল যোগাযোগ করেননি'! সারা ভারত চিকিৎসকদের ধর্মঘট আজ: ১০ টি পয়েন্ট

মমতা সম্পর্কে তাঁর অভিমত, "রাজনীতি সম্পর্কে তিনি যথেষ্ট অভিজ্ঞ। ন্যায়বিচারের জন্য অনেক লড়াই করেছেন তিনি। তারপরেও কুর্সি হারানোর ভয়ে এই ধরনের মন্তব্য কী করে করছেন তিনি? নির্বাচন মানেই তো কিছু দল কিছু দলের বিরোধিতা করবে। একই সঙ্গে জোট দলের পক্ষ সমর্থন করবে। কিন্তু নির্বাচনের পরেও যদি তার রেশ থেকে যায় তবে তা দেশ, রাজ্য, দেশ এবং মানুষের পক্ষে খুব ক্ষতিকর।

এ ব্যাপারে ভাগবতের আরও যুক্তি, সংঘ সমাজ আর ভোটদাতাদের প্রতিযোগী নয়। দলকে জেতাতে আমরা ১০০ শতাংশ নিজেদের উজাড় করে দিয়েছি। সাধারণ মানুষ ভেবেচিন্তেই ভোট দিয়ে বিজেপিকে ফিরিয়ে এনেছে। আগামী পাঁচবছরে তাই সরকারের একটাই লক্ষ্য, রামমন্দির সহ জনগনকে দেওয়া যাবতীয় প্রতিশ্রুতি পূরণ করা।

.