This Article is From Jun 16, 2019

ভারতের বিরল প্রজাতির ধূসর নেকড়েকে মেরে ফেলা হল বাংলাদেশে

নিজেদের গবাদি পশুকে বাঁচাতে গিয়ে ভারতের বিরল প্রজাতির ধূসর নেকড়েকে পিটিয়ে মেরে ফেলল বাংলাদেশের মের একদল কৃষিজীবী।

ভারতের বিরল প্রজাতির ধূসর নেকড়েকে মেরে ফেলা হল বাংলাদেশে

সুন্দরবনে মেরে ফেলা হল বিরল ধূসর নেকড়ে. (AFP)

ঢাকা:

নিজেদের গবাদি পশুকে বাঁচাতে গিয়ে ভারতের বিরল প্রজাতির ধূসর নেকড়েকে (Indian grey wolf) পিটিয়ে মেরে ফেলল বাংলাদেশের (Bangladesh) গ্রামের একদল কৃষিজীবী। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগ থেকে আজ এই খবর জানানো হয়েছে। 

খবর, এই প্রজাতির নেকড়ে বাংলাদেশে শেষ দেখা গিয়েছিল ১৯৪৯ সালে। বাংলাদেশ লাগোয়া সুন্দরবনের গ্রামবাসীদের অভিোগ, প্রায়ই ওই নেকড়ে বাঘটি গ্রামে ঢুকে তাঁদের পোষা গরু-ছাগল খেয়ে ফেলছিল। গবাদি পশুদের রক্ষা করতেই এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। 

ঘটনা প্রসঙ্গে ভারতীয় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ দফতরের পক্ষ থেকে ওয়াই ভি ঝালার মন্তব্য, ছবি দেখার পর আমরা বুঝতে পারি, যে ওটি আমাদের দেশের বিরল প্রজাতির ধূসর নেকড়ে ছিল। কিন্তু ততক্ষণে দুর্ঘটনা যা ঘটার সেটা ঘটেই গেছে। 

তিনি আরও বলেন, ভারতের প্রায় ৩,০০০ জন্তু এখনও বন্দি অবস্থায় রয়েছে বাংলাদাশে। আবার ১৯৪০ সাল থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে অনেক পশু।

ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিশারদ আনওয়ারুল ইসলাম (Anwarul Islam) এর সংগ্রহে ধূসর নেকড়ের ডিএনএ রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এই অ়ঞ্চলে আরও বিরল ধূসর নেকড়ে রয়েছে। 

ঘটনা সম্পর্কে তাঁর স্বীকারোক্তি, মারের চোটে মারা গেছে পশুটি। ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, সত্যিই কি নেকড়ে বাঘটি  গবাদি পশু খেয়ে নিচ্ছিল? তদন্ত করে জানতে হবে সবটাই।

চলতি মাসের গোড়াতেই পশুটি মারা যায়। সম্প্রতি তার ছবি পাঠানো হয়েছিল বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগে।

প্রসঙ্গত, ধূসর নেকড়ের মতোই বাংলাদেশে (Bangladesh) অবলুপ্তির পথে ডোরাকাটা হায়না, বারশিঙ্গা এবং কৃষ্ণসার হরিণ। 

.