This Article is From Dec 09, 2019

মৃত্যু নয়, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করুক ধর্ষক: ওয়াহিদা রেহমান

এনকাউন্টার কোনও সভ্য দেশের শাস্তি হতে পরে না বলেই মনে করেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি দ্রুত বিচার শেষ করার আর্জিও জানান।

মৃত্যু নয়, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করুক ধর্ষক: ওয়াহিদা রেহমান

অপরাধীদের শাস্তিঘর হোক জেল

মুম্বই:

'মৃত্যু মানে যন্ত্রণা থেকে নিস্তার। অপরাধবোধ থেকে মুক্তি! ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া মানে তিলে তিলে দগ্ধানো থেকে রেহাই দেওয়া। তাই মৃত্যুদণ্ড নয়, অপরাধীদের শাস্তিঘর হোক জেলের অন্ধকার কুঠুরি (life imprisonment)। ওখানে সমস্ত জীবন আটক থেকে নষ্ট হয়ে যাক তাদের জীবন', তেলেঙ্গানা এনকাউন্টারের পর দেশের সমস্ত ধর্ষকদের এই শাস্তি দেওয়ার আর্জি জানালেন অভিনেত্রী ওয়াহিদা রেহমান (Waheeda Rehman)। প্রতিমুহূর্তে দেশ ফুটছে ক্ষোভে। জ্বলছে রাগে। নির্ভয়া-কামদুনি-তেলেঙ্গানা-উন্নাও---সভ্যতা যত এগোচ্ছে ততই যেন পাশবিক প্রবৃত্তি দাঁত-নখ মেলে ফালা ফালা করছে নারী শরীর। সদ্যজাত থেকে বৃদ্ধা---দেশের কোনও নারী-ই আজ নিরাপদ নন। সেই হতাশা, সেই যন্ত্রণা এবার ফুটে বেরোলো অভিনেত্রী ওয়াহিদা রেহমানের কথায়। তাঁর মতে, যিনি ধর্ষিত হন তিনি জানেন এই যন্ত্রণা। এই অপরাধের ক্ষমা নেই। রবিবার, সুরকার রূপকুমার রাঠোরের প্রথম বই  "Wild Voyage" উদ্বোধন করতে এসে একথা জানান তিনি।

১২-বছরের কিশোরী-কে ৩ জন মিলে লাগাতার ধর্ষণ, ঘটনার সাথে জড়িত মা!

তেলেঙ্গানায় বছর ২৫-এর যুবতীকে গণধর্ষণের পর জীবন্ত জ্বালিয়ে দিয়েছিল চার অপরাধী। গ্রেফতারের পর ঘটনার পুনর্নিমাণের জন্য তেলেঙ্গানা প্রশাসন তাদের নিয়ে অকুস্থলে ফিরে এলে আচমকাই তাদের ওপর হামলা চালায় অপরাধীরা। নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে এরপরেই তাদের এনকাউন্টার করে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারেরা। এনকাউন্টারের পক্ষে-বিপক্ষে এরপরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মুখ খুলেছেন দেশবাসী। অনেকেরই অভিমত, ন্যায়বিচার প্রতিশোধের রূপ নিয়েছে। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন প্রবীণ অভিনেত্রীও। তাঁর মতে, ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ পৃথিবীতে দুটো নেই। তারপরেও তিনি ভরসা রাখেন দেশের বিচারবিভাগীয় ব্যবস্থার ওপর। নিজের হাতে শাস্তিভার তুলে নেওয়ার পক্ষপাতী নন তিনি।

কর্তব্যে অবহেলা, উন্নাও কাণ্ডে সাসপেন্ড ৭ পুলিশ

ওয়াহিদার আরও যুক্তি, যদি হাতেনাতে গ্রেফতার করা যায় অপরাধীদের তাহলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা সাজিয়ে দোষ প্রমাণ করার প্রহসনের প্রয়োজন কী? সোজা জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হোক। কারণ, এতে বৃথা সময় নষ্ট হয়। খরচ হয় জলের মতো টাকা। এনকাউন্টার কোনও সভ্য দেশের শাস্তি হতে পারে না বলেই মনে করেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি দ্রুত বিচার শেষ করার আর্জিও জানান। যাতে বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থা ফেরে সাধারণের। ধর্ষকেরা ভয় পায় ধর্ষণের আগে।

.