This Article is From Jan 17, 2020

কেরলের পর দ্বিতীয় রাজ্য হিসেবে সিএএ বাতিলের প্রস্তাব পাস পঞ্জাবে

এর আগে কেরল সরকার দেশের প্রথম রাজ্য সরকার হিসেবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।

কেরলের পর দ্বিতীয় রাজ্য হিসেবে সিএএ বাতিলের প্রস্তাব পাস পঞ্জাবে

পঞ্জাবের বিধানসভায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাতিলের (CAA) প্রস্তাব পাস হল।

চণ্ডীগড়:

কেরলের (Kerala) পর পঞ্জাব (Punjab)। শুক্রবার পঞ্জাবের বিধানসভায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাতিলের (CAA) প্রস্তাব পাস হল (Resolution Against Citizenship Law)। কেরলের পর দ্বিতীয় রাজ্য হিসেবে এই আইন তাদের রাজ্যে কার্যকর না করার সিদ্ধান্ত নিল তারা। মন্ত্রী ব্রহ্ম মহিন্দ্রা বিধানসভায় বিষয়টি উত্থাপন করে বলেন, গত ডিসেম্বরে সংসদে পাস হওয়া নতুন নাগরিকত্ব আইন পঞ্জাব সহ দেশজুড়ে ক্ষোভ ও সামাজিক অস্থিরতার সৃষ্টি করেছে। এই আইনকে ‘বৈষম্যমূলক' বলে অভিহিত করা হয়। প্রস্তাবে বলা হয়, ‘‘এটা স্পষ্ট যে সিএএ দেশের নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি, যা সংবিধানের প্রাথমিক বৈশিষ্ট্য, তার পরিপন্থী। ফলে কক্ষ থেকে সিএএ বাতিলের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে ভারত সরকারকে। যাতে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদানের মাধ্যমে কোনও বৈষম্যকে এড়ানো সম্ভব হয়। এবং ভারতের সমস্ত ধর্মীয় সংগঠনের জন্য আইনের সাম্য নিশ্চিত করা যায়।''

পাশাপাশি এও জানানো হয়, এনআরসি ও তার সম্ভাব্য প্রথম ধাপ এনপিআর বিষয়ে পদক্ষেপ করা হচ্ছে দেশের এক শ্রেণির নাগরিককে বঞ্চিত করার জন্য।

প্রস্তাবে এও বলা হয়, নাগরিকত্ব আইন দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তিকেও ক্ষুণ্ণ করছে, যা সংবিধানের ভিত্তিস্বরূপ।

এর আগে কেরল সরকার দেশের প্রথম রাজ্য সরকার হিসেবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে এই আইনের বিষয়ে ৬০টি পিটিশন জমা পড়েছে।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সমালোচকদের মতে, এই আইন বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানে বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী।

এর আগে বিভিন্ন রাজ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়েছে। এ রাজ্যেও এই বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কেরলই প্রথম কোনও রাজ্য হিসেবে এই আইনের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। কেরল সরকার দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আর্জি জানিয়েছে যে সিএএ সংবিধানের ১৪, ২১ এবং ২৫ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন করেছে।

(তথ্যসূত্র:পিটিআই)

.