মুখে কালো কাপড় বেঁধে রাস্তায় নামেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
হাইলাইটস
- জঙ্গি হানার প্রতিবাদে পথে নামলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী
- হাজরা মোড় থেকে শুরু হয়ে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল হয়
- মুখে কালো কাপড় বেঁধে মিছিলে অংশ নেন তৃণমূলের নেতা- কর্মীরা
কলকাতা: কাশ্মীরে পুলওয়ামার জঙ্গি হানার প্রতিবাদে পথে নামলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাজরা থেকে তাঁর নেতৃত্বে শুরু হয় মোমবাতি মিছিল। শেষ হয় ধর্মতলার গান্ধী মূর্তিতে। ছিলেন তৃণমূলের একাধিক শীর্ষ নেতা। পা মেলান আরও অনেকে। মুখে কালো কাপড় বেঁধে রাস্তায় নামেন তাঁরা। এর আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। হামলার জন্য নিরাপত্তায় গাফিলতি এবং গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা দাবি করে মমতা বলেছেন এমন একটা ঘটনার পর বিভিন্ন কর্মসূচি বাতিল হয়ে যায় । কিন্ত প্রধানমন্ত্রী রেল প্রকল্পের উদ্বোধন করছেন। মোদীকে আক্রমণের পাশাপাশি তিন দিনের শোক পালনেরও দাবি করেন মমতা। তবে এদিন মিছিলের শেষে আর রাজনৈতিক বিতর্কে জড়াননি মমতা। তিনি বলেন, আমরা শহিদ জওয়ানদের পাশে আছি। দু ঘণ্টার নেটিশে এসেছেন। কাল শান্তি মিছিল করবেন। সমস্ত ব্লকে ২ টো থেকে তিনটে মিছিল হবে। কোনও রাজনৈতিক কথা বলব না। গোটা দেশ এক হয়ে আছে। আমরা কোনও মাইক ব্যবহার করবো না। দেশ এক হয়ে লড়লে ভাল লড়াই হবে । আমাদের সবাইকে এক হয়ে লড়তে হবে। সন্ত্রাসের কোনও ধর্ম হয় না ।
শোক আর হাহাকারের মধ্যেই নিহত সৈন্যদের বিদায় দিলেন দেশবাসী
এদিকে, জঙ্গি হামলার পর সংসদে সর্বদলীয় বৈঠক হল।কাশ্মীরের পুলওয়ামায় বৃহস্পতিবার জঙ্গি হামলা হয়। তাতে মৃত্যু হয়েছে প্রায় চল্লিশ জনেরও বেশি সিআরপিএফ জওয়ানের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এই বৈঠকটি ডাকেন। বৈঠকে ঠিক হয়েছে এক স্বরেই হোক প্রতিবাদ। জঙ্গি হামলা রুখতে একজোট হয়ে মোকাবিলার কথাই উঠে এল সর্বদলীয় বৈঠকে। কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, এনসিপির শরদ পাওয়ার, তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ‘ ও ব্রায়েন, ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ, শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত, লোক জনশক্তি পার্টির নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভিলাস পাসোওয়ান এবং আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরন্দ্রে সিং তোমার বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকে সব দলই বলে রাজনৈতিক বিতর্ক বাদ রেখে সকলকে একজোট হয়ে লড়তে হবে।