This Article is From Feb 18, 2019

"পাকিস্তানে চলে যান, এই দেশ আপনার নয়", কলকাতার কাশ্মীরি চিকিৎসককে হুমকি

তারপর তারা চেঁচাতে থাকে, "আপনি পাকিস্তানে চলে যান। এই দেশ আপনার বা আপনাদের নয়। এখানে আপনাদের থাকার কোনও জায়গা নেই। ওটাই আপনাদের দেশ"।

২২ বছর ধরে কলকাতায় বসবাস করছেন ওই কাশ্মীরি চিকিৎসক। (ছবি প্রতীকী)

কলকাতা:

গত ২২ বছর ধরে কলকাতায় বসবাস করছেন, এমন এক কাশ্মীরি চিকিৎসককে হুমকির মুখে পড়তে হল পুলওয়ামার জঙ্গিহানার পর। ওই চিকিৎসকের স্ত্রী বাঙালি। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। যারা এইও শহরের স্কুলেই পড়াশোনা করে। জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় জঙ্গিহানায় ৪০-এর বেশি সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুর পর গোটা দেশ জুড়েই কাশ্মীরিদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই ঘটনাটি তাদের মধ্যে সাম্প্রতিকতম। পরপর দু'দিন ওই চিকিৎসককে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার পর তিনি স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরই তাঁর বাসভবনের সামনে পুলিশ পোস্টিং করা হয়, গত শনিবার সন্ধে থেকে। তাঁর অভিযোগ, শুক্রবার দিন তিনি স্থানীয় বাজারে কেনাকাটা করতে যাওয়ার পর আচমকা ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী ছ-সাতজন যুবক তাঁকে ঘিরে ধরে।

পুলওয়ামায় হামলার সময় নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

তারপর তারা চেঁচাতে থাকে, "আপনি পাকিস্তানে চলে যান। এই দেশ আপনার বা আপনাদের নয়। এখানে আপনাদের থাকার কোনও জায়গা নেই। ওটাই আপনাদের দেশ"।

সেই একই দল শনিবার প্রাতঃভ্রমণে যাওয়ার সময় তাঁর পথ আটকে তাঁকে একই একই হুমকি দেয়। সঙ্গে দেয় প্রাণনাশেরও হুমকি। তড়িঘড়ি নিজের ফ্ল্যাটে ফিরে আসেন ওই চিকিৎসক।

পুলিশ জানিয়েছে, কারা কারা রয়েছে এই হুমকির পিছনে, তা খতিয়ে দেখছে তারা। কোন গাড়ি করে শনিবার সকালে ওই চিকিৎসককে হুমকি দিতে এসেছিল অভিযুক্তরা, সেটিও খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে এখন পুলিশ। ওই চিকিৎসকের বাড়ির বাইরে পুলিশ পিকের বসানোর কথা স্বীকার করেছে স্থানীয় থানা।

১২ ঘণ্টার এনকাউন্টারে খতম মাসুদ আজাহার ঘনিষ্ঠ কামরান, মৃত্যু পুলওয়ামার মাস্টারমাইন্ডেরও

আশার কথা একটাই, তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন বহু মানুষ। চেনা-অচেনা বহু মানুষ এসে তাঁদের সমর্থন জানিয়ে গিয়েছেন ওই চিকিৎসককে।

NDTV-কে ওই চিকিৎসক বলেন, "এই কলকাতাকেই আমি চিনি। যে শহরের মানুষ চরম বিপদের সময় প্রতিবেশীর দিকে সহায়তার হাতটি আন্তরিকভাবে বাড়িয়ে দেন। গত ২২ বছর ধরে আমি এই শহরের পূর্ণসময়ের বাসিন্দা। কখনও এমন অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়নি। এখন হতে হচ্ছে। তবু, আমিও আমি ও আমার পরিবার আশা রাখি, কলকাতার এই চিরকালীন ইতিবাচক চরিত্রটা কখনওই বদলাবে না"।

.