
'গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করছে কেন্দ্র', কেন্দ্রকে তোপ প্রিয়াঙ্কা গান্ধির।
শনিবারই শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে দিল্লি ফেরত পাঠানো হয় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি (Rahul Gandi) সহ ১১ বিরোধী দলের নেতাদের। দাদা রাহুল ও বিরোধী দলের নেতাদের প্রতি প্রশাসনের এহেন ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদিকা প্রিয়াঙ্কা গান্ধি (Priyanka Gandhi)। একাধিক ট্যুইটে প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন তিনি। শনিবারের ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘কাশ্মীরিদের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। এর থেকে বেশি রাজনৈতিক ও দেশ বিরোধী (Political And Anti-National) কিছু হতে পারে না।' জম্মু কাশ্মীরে (Jammu-Kashmir) বিশেষ অধিকার রদ করেছে কেন্দ্র। আগে তা নিয়ে প্রতিবাদে মুখর হয়েছে কংগ্রেস। ট্যুইটে একটি ভিডিও ক্লিপ দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। সেখানে দেখা যাচ্ছে বিমানের মধ্যে এক মহিলা রাহুল গান্ধিকে কেন্দ্রীয় পদক্ষেপের ফলে সৃষ্ট নানা সমস্যার কথা জানাচ্ছেন।
Rahul at J&K: শ্রীনগর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রাহুলের কথোপকথনের ভিডিও প্রকাশ্যে
there is NOTHING more 'political' and 'anti national' than the shutting down of all democratic rights that is taking place in Kashmir. It is the duty of every one of us to raise our voices against it, we will not stop doing so.
— Priyanka Gandhi Vadra (@priyankagandhi) August 25, 2019
How long is this going to continue?This is one out of millions of people who are being silenced and crushed in the name of "Nationalism".
— Priyanka Gandhi Vadra (@priyankagandhi) August 25, 2019
For those who accuse the opposition of 'politicising' this issue: https://t.co/IMLmnTtbLb
Jammu Kashmir Issue: মৌলিক অধিকার হারিয়ে "বিরক্ত" রাজ্যবাসী, চাকরি ছাড়ছেন আইএএস অফিসার
কাশ্মীরে বিধি নিষেধ জারি রযেছে। এই পরিস্থিতিতে উপত্যাকায় আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে বলে অভিয়োগ করেছিলেন রাহুল গান্ধি। সেই সময়ই তাঁকে কাশ্মীরে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান রাজ্যপাল সত্যাপাল মালিক। বলেন তাঁকে বিমানও পাঠিয়ে দেওয়া হবে। রাজ্যপাল রাহুল গান্ধি ট্যুইট যুদ্ধ ঘিরে রাজনীতি আবর্তিত হয়।
শনিবারের ঘটনাকে হাতিয়ার করে রাহুল গান্ধি বলছেন, ‘এটা প্রমাণ হয়ে গেল কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়।' সাংবাদিকদের তিনি জানান, ‘দিন কয়েক আগেই রাজ্যপাল আমাকে কাশ্মীরে যাওয়ার জন্য আমাকে আমন্ত্রণ করে। সেই মতো আমি ও অন্যন্য নেতারা এসেছিলাম। অথচ আমাদের ঢুকতে দেওয়া হল না। অবাক করা বিষয়।'
জম্মু-কাশ্মীরের সরকারের তরফে ট্যুইটে জানানো হয়, বিরোধী নেতাদের রাজ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তারা এলে পরিবেশ অন্যরকম হয়ে উঠতে পারে। সীমান্ত সুরক্ষা ও হিংসা রুখতেই নিয়ন্ত্রণের জারি করছে প্রশাসন।