This Article is From Aug 14, 2019

“কাশ্মীর নিয়ে পদক্ষেপ সাধারণ মানুষকে সাহায্য করবে”, বললেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ

রাষ্ট্রপতির পর্যবেক্ষণ, বিচারমূলক সমাজ থেকে বহুদূরে ভারত, এবং “সহজ পথ, বাঁচো বাঁচতে দাও নীতি”তে বিশ্বাস করে

“কাশ্মীর নিয়ে পদক্ষেপ সাধারণ মানুষকে সাহায্য করবে”, বললেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ

রাষ্ট্রপতি বলেন, বহু দশক আগে মহাত্মা গান্ধির নীতিতেই চলে ভারত।

নয়াদিল্লি:

এক সপ্তাহ আগেই জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করেছে ভারত। বুধবার স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বললেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে এলাকার উন্নয়ন হবে এবং সেখানকার মানুষ সমান অধিকার, বিশেষ সুবিধা এবং দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতোই সমান সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। ৭২ তম স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন, জাতীর উদ্দ্যেশে ভাষণে রাষ্ট্রপতি বলেন, “আমার বিশ্বাস, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের সাম্প্রতিক বদল, ওই এলাকার প্রচুর লাভ হবে”। ৫ অগস্ট, জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ, দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। ৩১ অক্টোবর থেকে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, কেন্দ্রের আনা সাম্প্রতিক সাংবিধানিক সংস্কার, দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতোই জম্মু ও কাশ্মীর সুযোগ সুবিধা পাবে, তা প্রমাণ হবে। তাঁর কথায়, “ এরমধ্যে রয়েছে অগ্রগতি, সমান আইন, এবং শিক্ষার অধিকার সম্পর্কিত ধারা; তথ্য জানার অধিকার আইনের মাধ্যমে সরকারি তথ্য জানতে পারা, শিক্ষা ও চাকরিতে সংরক্ষণ এবং বঞ্ছিত মানুষদের জন্য অন্যান্য সুযোগ সুবিধা;  তাৎক্ষণণিক তিন তালাকের মতো প্রথার অবলুপ্তির মাধ্যমে মেয়েদের সুবিচার”।

রাষ্ট্রপতির পর্যবেক্ষণ, বিচারমূলক সমাজ থেকে বহুদূরে ভারত, এবং “সহজ পথ, বাঁচো বাঁচতে দাও নীতি”তে বিশ্বাস করে। তিনি বলেন, “ আমাদের ইতিহাস এবং নিয়তি, উত্তরাধিকার এবং ভবিষ্যত জোটবদ্ধ এবং একসঙ্গে চলে, সংস্কার এবং পুনর্মিলন, আমাদের হৃদয়কে উন্মুক্ত করা এবং অন্যদের চিন্তাধারাকে গ্রহণ করা”, “দুর্বলতম মানুষের কথা” শুনতেও ভারত কখনও তার ক্ষমতা হারাবে না বলেও আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

চলতি বছরে সমাপ্ত হওয়া সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। প্রত্যেকটি নির্বাচনই দেশের নয়া সূত্রপাত বলে মত প্রকাশ করেন তিনি। বেশ কয়েকটি বিল পাশ হওয়ায় নিজের খুশি প্রকাশ করেন দেশের সাংবিধানিক প্রধান।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং রাজ্য থেকে তিনি অনেককিছু শিখেছেন বলে জানান রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, “স্বাদে এবং অভ্যাসে ভারত অনেক আলাদা হতে পারে ভারত কিন্তু তাদের স্বপ্ন সমান। যদি ১৯৪৭-এর আগে তাদের স্বপ্ন থেকে থাকে স্বাধীন ভারত, তাহলে এখন তাদের স্বপ্ন উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা এবং কার্যকর এবং স্বচ্ছ সরকারি কাজ”। রাষ্ট্রপতির কথায়, “কিন্তু যখনই সরকারের হস্তক্ষেপের সময় আসে, আমি বলব, বড় সুযোগ এবং সক্ষমতা থাকে ১.৩ বিলিয়ন ভারতবাসীর দক্ষতা, প্রতিভা, উদ্ভাবনী এবং সৃষ্টিশীলতায়”।

.