রবিবার এমন ইঙ্গিত দিয়ে বিজেপির সঙ্গে দর কষাকষি শুরু করলেন প্রশান্ত কিশোর
পাটনা: রবিবার শরিক বিজেপির ওপর চাপ বাড়ালো জেডিইউ নেতা প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। ২০২০ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ৫০ শতাংশেরও বেশি আসনে লড়তে চায় জেডিইউ। রবিবার এমন ইঙ্গিত দিয়ে বিজেপির সঙ্গে দর কষাকষি শুরু করলেন প্রশান্ত কিশোর। এনআরসি নিয়ে এখনও মৌন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। জেডিইউ প্রধান হিসেবেও কোনও মন্তব্য এখনও পর্যন্ত তাঁর মুখ থেকে শোনা যায়নি। কিন্তু দলে তাঁর 'ডেপুটি' তথা সহ -সভাপতি প্রশান্ত কিশোর সিএএ এবং এনআরসি'র বিরোধিতা করে ইতিমধ্যে সুর চড়িয়েছেন। রবিবার তিনি আবার দাবি করলেন, বিহার নির্বাচনে লড়তে শরিকের থেকে জেডিইউ'র অনেক বেশি (lion's share) আসন পাওয়া উচিত।
এবিষয়ে সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, এনআরসি'র মতো বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতা প্রসঙ্গেও কি নীরব থাকবেন জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার? জবাবে তিনি বলেন, 'যতদূর আমি জানি, আসন সমঝোতা, ওদের একটা আর আমাদের চারটে অর্থাৎ ১:৪ (1:4) অনুপাত মেনেই হবে। ঠিক ২০০৯ আর ২০১০ সালের নির্বাচনে যে অনুপাতে আসন সমঝোতা হয়েছিলো।' তাই এখন থেকেই বিজেপির আসন সমঝোতার প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখা উচিত, জানিয়েছেন তিনি। যদিও বিজেপির তরফে স্পষ্ট করা হয়েছে, আসন সমঝোতা ৫০:৫০ (50:50) অনুপাত মেনেই হবে। এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দুই শরিক দলের (বিজেপি-জেডিইউ) হাই কমান্ড। প্রশান্ত কিশোর কেন এতে নাক গলাচ্ছেন? এমন প্রশ্ন এদিন তুলেছেন বিহার বিজেপির নেতা নীতিন নবীন। গেরুয়া শিবিরের কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, ২০১৫-র নির্বাচনে লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি'র সঙ্গে ৫০:৫০ অনুপাতে আসন সমঝোতা করেছিলো জেডিইউ। এখন কোন অংকে নতুন অনুপাতে আসন সমঝোতা চাইছেন প্রশান্ত কিশোর?
বিশ্লেষকরা বলছেন, নীরব থেকে সিএএ আর এনআরসি প্রশ্নে শরিক বিজেপিকে সম্মতি জানাচ্ছেন নীতীশ কুমার। সেখানে তাঁর দলের ডেপুটি ক্রমাগত সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে চলেছেন। কিন্তু প্রশান্ত কিশোরকেও আবার প্রকাশ্যে বা দলীয় বৈঠকে ভর্ৎসনা করছেন না নীতীশ কুমার। এতে আরও অস্বস্তিতে বিজেপি। তাঁদের আরও দাবি, 'সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে কংগ্রেস আর এনসিপির সমর্থনে সরকার গড়েছে শিব সেনা। শিব সেনার এই পদক্ষেপেও খানিকটা অনুপ্রাণিত হয়ে আসন নিয়ে এখন থেকেই বিজেপির সঙ্গে দর কষাকষি শুরু করলেন প্রশান্ত কিশোর।'