This Article is From Nov 01, 2019

উদ্ধব ঠাকরে-শরদ পাওয়ার ফোনালাপ? ক্ষমতা দখলে নয়া মোড়

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফোনে কথা হয় উদ্ধব ঠাকরে ও শরদ পাওয়ারের, সূত্রের খবর, সনিয়া গান্ধির সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি যাবেন শরদ পাওয়ার

উদ্ধব ঠাকরে-শরদ পাওয়ার ফোনালাপ? ক্ষমতা দখলে নয়া মোড়

নির্দিষ্ট সময়ের পর মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার শিবসেনা (ফাইল)

মুম্বই:

মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনকে (Power-Sharing in Maharashtra) কেন্দ্র করে বিজেপি-শিবসেনার (BJP-Shiv Sena) টালবাহানার মধ্যেই নয়া মোড়। জল্পনা, এসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের (Sharad Pawar) সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray), বিরোধী শিবিরের মধ্যে তিনিই পারেন জোট জটিলতা কাটাতে। জল্পনা,  ফোনে বার্তালাপ করেছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে এবং এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। সূত্রের খবর, কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দিল্লি যাবেন এনসিপি সুপ্রিমো। এই খবরে জল্পনা, “৫০-৫০” চু্ক্তিতে, সরকার গঠনে বিজেপি রাজি না হওয়ায়, তাদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে কংগ্রেস-এসিপি জোটের দিকে বার্তা দিচ্ছেন শিবসেনা প্রধান।

Maharashtra Election Results: “৫০-৫০ চুক্তি কার্যকরের সময় এসেছে”, বার্তা শিবসেনার

বৃহস্পতিবার বিকেলে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত, তারপরেই জল্পনা রটে। শুক্রবার সকালে সঞ্জয় রাউত সাংবাদিকদের বলেন, “যদি শিবসেনা মনে করে, তাহলে রাজ্যে তারা স্থায়ী সরকার গড়তে পারবে। মহারাষ্ট্রের জনতার সামনে করা ৫০-৫০ চুক্তির পক্ষে রায় দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তাঁরা শিবসেনার মুখ্যমন্ত্রী চান”। তিনি আরও বলেন, “বিজেপির দিকে কোনও চরম বার্তা নেই। তারা বড় মানুষ”। বিজেপির নাম না করে ট্যুইটারে একটি বার্তাও দিয়েছেন তিনি।  সেখানে তিনি লেখেন, “সাহেব, আপনাদের অহংকার বাড়াবেন না...সময়ের স্রোতে আলেকজান্ডারের মতো বহু রাজাই তলিয়ে গিয়েছেন”।

২৮৮ বিধানসভা আসনের মধ্যে, ১০৫টিতে জিতেছে বিজেপি, ৫৬ আসনে জিতেছে শিবসেনা। একসঙ্গে তারা অনায়সেই ১৪৫ আসনে পৌঁছাতে পারবে। ৫৪টি আসনে জিতে তৃতীয়স্থানে রয়েছে শরদ পাওয়ারের দল এনসিপি। ৪৪টি আসনে জয়ী কংগ্রেস। 

মহারাষ্ট্রে ক্ষমতা ধরে রাখছে বিজেপি-শিবসেনা জোটই,হরিয়ানাতে বিজেপির সংকট:১০টি তথ্য

দীর্ঘসময়ের দরকষাকষির পর, জোট হয় বিজেপি ও শিবসেনার। সেই দরকষাকষি আবার তৈরি হয়েছে, উদ্ধব ঠাকরে ৫০-৫০ চুক্তির কথা তোলায়, যা লোকসভা নির্বাচনের আগে তৈরি হয়েছিল বলে জানান শিবসেনা প্রধান। ২৪ অক্টোবর সংবাদমাধ্যমে উদ্ধব ঠাকরে বলেন, “অমিত শাহ যখন আমার বাড়িতে এসেছিলেন, সেই সময় যে সূত্র তৈরি হয়েছিল, তা মনে করিয়ে দেওয়ার সময় এসেছ। আমরা ৫০-৫০ চুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছি”।

২০১৪ বিধানসভা নির্বাচনে প্রাপ্ত আসনের চেয়ে এবার তারা কিছু আসন বেশী পেয়েছে, শিবসেনার বিশ্বাস, ক্ষমতার সমান বণ্টনের দাবিদার তারা, দুই দলের থেকে আড়াই বছরের মুখ্যমন্ত্রীত্ত্ব চায় শিবসেনা।

দ্বিতীয়বার পূর্ণ সময়ের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে চান দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, এই ধরণের চুক্তির কথা উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার, তাঁর দলের বিধায়কদের উদ্ধব ঠাকরে জানিয়ে দেন, দেবেন্দ্র ফড়নবিশের অবস্থানে অসন্তুষ্ট তিনি।

Maharashtra Election Results 2019: শিবসেনার শক্তঘাঁটি ওরলি কেন্দ্রে জয়ী আদিত্য ঠাকরে

চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে, রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশায়েরির সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করে শিবসেনা ও বিজেপি, যদিও তাকে দিপাবলীর সৌজন্য বৈঠক বলেছে তারা।

বৃহস্পতিবার, বিধায়কদের আরেকটি প্রতিনিধি দল নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন আদিত্য ঠাকরে। তিনি বলেন, এবারের বিষয় ছিল কৃষকদের নিয়ে।

এনসিপি ঘোষণা করেছে, মানুষের রায়, তাদের দল বিরোধী আসনে বসার, সঙ্গে কংগ্রেস এবং অন্যান্য দল।

বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যূত করতে তাদের সমর্থনে রাজি বলে শিবসেনাকে বার্তা দিয়েছে এনসিপি। শিবসেনার দাবিকে সমর্থন করেছেন শরদ পাওয়ার। NDTV কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এনসিপি সু্প্রিমো বলেন, “১৯৯০-এও, বিজেপি ও শিবসেনার ৫০-৫০ চুক্তি ছিল। ফলে তাদের অতীত অভিজ্ঞতা রয়েছে (সরকার চালানোর)। সেই জন্য শিবসেনা জোর দিতেই পারে, তাতে কোনও ভুল নেই”।

আজকের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি দেখতে ক্লিক করুন: 

শুক্রবার, দেবেন্দ্র ফডড়নবিশকে নিয়ে এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে বলেন, “বহু বছর ধরে আমি তাঁকে চিনি। যেভাবে তিনি জোর দিয়ে বলছেন, তিনিই মুখ্যমন্ত্রী...এই অহংঙ্কার নতুন”।

.