
জেএনইউ "হামলা"য় প্রতিবাদী পূজা
দেশের বর্তমান অসহিষ্ণু পরিস্থিতিতে ফের সরব বলিউড। রবিবার সন্ধেয় দক্ষিণ দিল্লির Jawaharlal Nehru University-র শিক্ষক-ছাত্রদের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুষ্কৃতী হামলার পর মুখ খুলেন অভিনেত্রী-পরিচালক Pooja Bhatt। রবিবার সন্ধেয় নতুন নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বলিউড তারকাদের সঙ্গে আলোচনার উদ্দেশ্যে বৈঠক ডাকেন বিজেপির দুই নেতা। সেই আমন্ত্রণকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, জমকালো নৈশভোজের বদলে দেশের অসহিষ্ণুতার মোকাবিলা করলে বেশি ভালো হয়। প্রতিদিন যেভাবে সমস্ত জায়গায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ছে তাতে সবার মঙ্গলের জন্য আগে সেবিষয়ে লাগাম টানা দরকার।
জেএনইউতে দুষ্কৃতী হামলার পরে দেশজুড়ে প্রতিবাদে মুখর পড়ুয়ারা
To members of my supposed 'fraternity'who were meant to opine & dine with the ruling party this evening-trust you implored them to curtail the violence unfolding across the nation.Or at the very least,as part of the 'scrumptious' meal on offer,help yourselves to some humble pie.
— Pooja Bhatt (@PoojaB1972) January 5, 2020
প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধেয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল এবং কেন্দ্রীয় বিজেপির সহ সভাপতি জয় পাণ্ডা বলিউড তারকাদের পাঁচতারা হোটেল হায়াতে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানান নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আলোচনার জন্য। আলোচনার বিষয় ছিল আইনের "বাস্তব ও অবাস্তব" দিক। এদিনের আলোচনাচক্র এবং নৈশভোজে উপস্থিত ছিলেন কুণাল কোহলি, প্রসূন যোশি, ভূষণ কুমার, অনিল শর্মা, অভিষেক কাপুর, অনু রঞ্জন ও শশী রঞ্জন। খবর, অনেকেরই চেষ্টা ছিল জাভেদ আখতারকে আলোচনায় নিয়ে আসার। কিন্তু মোদির সমালোচক হিসেবে পরিচিত জাভেদ যোগ দেননি এদিনের বৈঠকে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল রিচা চাড্ডা, জ্যাকি শ্রফ, সুনীল শেট্টি, রবিনা ট্যান্ডন, কবীর খান, রাজকুমার হিরানি, মধুর ভাণ্ডারকর, বনি কাপুর, প্রহ্লাদ কক্করকে। আলোচনায় খোলাখুলি নিজেদের মত জানান, স্বরা ভাস্কর, অনুরাগ কাশ্যপ, নিখিল আদবানি, সুশান্ত সিং রাজপুত।
জেএনইউতে হামলা নিয়ে দিল্লি পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা অমিত শাহের
পরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জনপ্রিয় পরিচালক এবং এক প্রথম সারির অভিনেত্রী NDTV-কে জানান, তাঁরা আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন। যে আইন দেশে ধর্ম-জাত নিয়ে ভেদাভেদ গড়ে সেই ইন নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী নন তাঁরা। বৈঠক চলাকালীনই জেএনইউ-তে হামলা হয়েছে বলে খবর। সশস্ত্র হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। আক্রান্তদের ভর্তি করা হয়েছে দিল্লির এইমসে। জেএনইউ স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অভিযোগ, এই হামলার পেছনে হাত রয়েছে বিজেপি-সংযুক্ত শিক্ষার্থী সংগঠন এবিভিপি এবং ক্ষমতাসীন দলের পরামর্শদাতা আরএসএসের। যদিও এবিভিপি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।