This Article is From May 30, 2019

নতুন মোদী সরকারের মন্ত্রিসভায় জায়গা হল না যে বড় মুখগুলির

PM Modi Oath Ceremony 2019: বেশ কয়েকজন হাই প্রোফাইল মন্ত্রী যাঁরা গত বারের সরকারে ছিলেন, তাঁরা এবারের মোদী সরকারে নেই

নতুন মোদী সরকারের মন্ত্রিসভায় জায়গা হল না যে বড় মুখগুলির

PM Modi Oath Ceremony 2019: অরুণ জেটলি, সুষমা স্বরাজ ও রাজ্যবর্ধন রাঠৌর (বাম থেকে ডানে)

নয়াদিল্লি:

রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (Ram Nath Kovind) সামনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আজ শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। কিন্তু বেশ কয়েকজন হাই প্রোফাইল মন্ত্রী যাঁরা গত বারের সরকারে ছিলেন, তাঁরা এবারের সরকারে নেই।

অরুণ জেটলি

প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, যিনি গত ১৮ মাস ধরে গুরুতর শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখে জানিয়ে দিলেন, ‘‘বর্তমানে, নতুন সরকারে কোনও দায়িত্বে'' তিনি থাকতে চান না। আইনজীবী থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা জেটলি বরাবরই বিজেপির প্রথম সারির নেতা। একদিকে যেমন গত পাঁচ বছরে বহু গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি, পাশাপাশি সরকারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে সমর্থন করে বক্তব্যও রেখেছেন তিনি। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পরে মোদী তাঁকে তিনটি মন্ত্রক সামলানোর দায়িত্ব দেন— অর্থ, প্রতিরক্ষা এবং তথ্য ও সম্প্রচার। গত বছরের মে মাসে কিডনি প্রতিস্থাপনের পর থেকেই জেটলির স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। শর্করা রোগে আক্রান্ত জেটলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন থাকায় গত ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করতে পারেননি।

সুষমা স্বরাজ

সুষমা স্বরাজ, যিনি বিদেশ মন্ত্রী ছিলেন‌ বিগত সরকারের, তাঁকে আজ দর্শকাসনে বসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। তখনই বোঝা যায়, এই প্রথম বিজেপি সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেলেননা বর্ষীয়ান নেত্রী। ৬৭ বছরের সুষমা সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্যতম জনপ্রিয় মন্ত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিপদের সময় সাহায্য প্রার্থনা করলে খুব দ্রুত সাড়া দেওয়া জন্যও তিনি টুইটারে প্রবল জনপ্রিয়। এমনকী, মজা করে করা অনুরোধেও তিনি সাড়া দিয়েছেন।

রাজ্যবর্ধন রাঠৌর

নতুন ও পুরনো মন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত আগের মোদী সরকারের অন্যতম উজ্জ্বল মুখ ছিলেন অলিম্পিয়ান রাজ্যবর্ধন রাঠৌর। ৪৯ বছরের রাজ্যবর্ধন সেই ফোনটি পাননি, যে ফোনের অপেক্ষায় বিজেপির জোটের বিজয়ী প্রার্থীরা ছিলেন। পরে তাঁকে দেখা যায়, মোদীর পরে শপথগ্রহণের জন্য অপেক্ষমান বিজয়ী প্রার্থীদের সঙ্গে নয়, দর্শকাসনে বসে থাকতে। রাজস্থান থেকে দ্বিতীয় বারের জন্য জয়ী এই বিজেপি সাংসদ রাজ্যবর্ধন রাঠৌর একজন প্রাক্তন আর্মি কর্নেল ছিলেন।

মানেকা গান্ধী

নরেন্দ্র মোদীর নতুন সরকারে অস্থায়ী স্পিকারের দায়িত্বে থাকবেন মানেকা গান্ধী। ৬২ বছরের বিজেপি নেত্রী চারটি সরকারে মন্ত্রী থেকেছেন। গত মন্ত্রিসভাতেও তিনি নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এবার নবনির্বাচিত সাংসদরা শপথগ্রহণ করবেন মানেকার সামনে। পাশাপাশি লোকসভার প্রথম অধিবেশনে তিনিই নেতৃত্ব দেবেন। ওই অধিবেশনে স্পিকার নির্বাচন হবে।

জয়ন্ত সিনহা

বিগত সরকারে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী ছিলেন জয়ন্ত সিনহা। কিন্তু এবার মন্ত্রিসভায় তিনি কোনও দায়িত্ব পাননি। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি বা আইআইটি দিল্লি এবং হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে বিমান চালনা শিখে আসা জয়ন্তকে ২০১৪ সালে অর্থ মন্ত্রকের রাজ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিন বছর পরে তাঁকে বেসামরিক বিমানে দায়িত্ব দেওয়া হয়। জয়ন্তর বাবা যশোবন্ত সিনহা ছিলেন একজন প্রাক্তন বিজেপি নেতা। তিনি দলের অন্যতম নীতি নির্ধারক ছিলেন। ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ থেকে দ্বিতীয় বারের জন্য এবার নির্বাচিত হয়েছেন জয়ন্ত।

জেপি নাড্ডা

জগৎ প্রকাশ নাড্ডা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন গত বছর। কিন্তু এবার মন্ত্রিসভায় সুযোগ পাননি যে বড় মুখেরা, তাঁদের অন্যতম তিনি। হিমাচল প্রদেশের রাজ্যসভার সদস্য হিমাচল প্রদেশ সরকারেরও একজন মন্ত্রী।

.