প্রায়ত বামপন্থী নেতা বৈদ্যনাথ মজুমদারের মূর্তির ভাঙার প্রতিবাদে সরব শাসক বিরোধী সব পক্ষ। গত বুধবার রাতে উনাকোটি জেলার কৈলশহরের রাস্তায় এই প্রবাদ প্রতিম বাম নেতার মূর্তি ভাঙা হয়। এই ঘটনারই নিন্দা করল সমস্ত রাজনৈতিক দল। তবে কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। কয়েকটি সূত্র ধরে তদন্ত চলছে।
বিজেপি ক্ষমতায় আসার অব্যবহিত পড়ে ত্রিপুরা জুড়ে মূর্তি ভাঙা শুরু হয়। লেনিন থেকে শুরু করে কার্ল মার্ক্স, ভাঙা পড়ে বহু মূর্তি। নিন্দায় সরব হয় গোটা দেশ। অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাচ্ছে দেখে মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদ করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবও। খুব কম সময়ের মধ্যে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এই প্রবণতা। তার প্রভাব পড়ে বিভিন্ন রাজ্যে। দক্ষিণপন্থীরা এই কাজ করেছে অভিযোগ তুলে দক্ষিণ কলকাতায় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তিতে কালী লাগিয়ে দেয় কয়েকজন অতিবাম ছাত্র। তাদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয় বিজেপি। আসরে নামে তৃণমূলও। এরপর আবার মূর্তি ভাঙল ত্রিপুরায়।
বৈদ্যনাথ মজুমদার এ রাজ্যে সিপিএমের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। 1993 থেকে 1998 সাল পর্যন্ত উপমুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন তিনি। সেই 1977 থেকে 1998 সাল পর্যন্ত পাঁচ বার বিধায়কও হয়েছিলেন বৈদ্যনাথ। তবে তাঁর রাজনীতিতে আসা 1942 সালে। প্রশাসন তো বটেই দলেও তাঁর প্রভাব ছিল চোখে পড়ার মতো। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যও হয়েছিলেন।
এ হেন রাজনৈতিক চরিত্রের মূর্তি ভাঙায় রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে। বামেদের দাবি বিজেপির আশ্রিত সমাজ বিরোধীরাই এই কাজ করেছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি নীতীশ দে অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। একই দাবিতে সরব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বিজিত সিনহাও। এই দাবিকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দল গুলি মিছিলও করেছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)
পশ্চিমবঙ্গের খবর, কলকাতার খবর, আর রাজনীতি, ব্যবসা, প্রযুক্তি, বলিউড আর ক্রিকেটের সকল বাংলা শিরোনাম পড়তে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube