This Article is From Feb 18, 2020

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে জম্মু ও কাশ্মীরে স্থগিত পঞ্চায়েত নির্বাচন

জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে, স্থগিত করা হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat polls),

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে জম্মু ও কাশ্মীরে স্থগিত পঞ্চায়েত নির্বাচন

বিরোধী দলগুলি তরফে আগে বলা হয়, তাঁদের সমস্ত নেতানেত্রী আটক থাকায় ভোটে লড়তে পারবে না তারা (ফাইল)

শ্রীনগর:

আগামিমাসেই জম্মু ও কাশ্মীরে(Jammu and Kashmir) পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল, তা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানালেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক, সেখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে পঞ্চায়েত ভোট(Panchayat polls) স্থগিত করা হয়েছে, যা তাদের স্বাভাবিক অবস্থা বজায় থাকার দাবির পরিপন্থী। রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার পর, পঞ্চায়েত নির্বাচনই সেখানকার প্রথম রাজনৈতিক পরীক্ষা বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৮ সালে শেষবার জম্মু ও কাশ্মীরে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়, তার কয়েকমাস আগেই সেখানকার শাসক মেহবুবা মুফতি (Mehbooba Mufti) ও বিজেপি সরকার ভেঙে পড়ে, এবং রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়। তারপর থেকে এখনও বিধানসভা ভোট হয়নি, এবং জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রের শাসনাধীন রয়েছে।

এদিনই জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি এবং কংগ্রেস, তারা জানায়, শুধুমাত্র তাদের নেতানেত্রীদের ছাড়া হলে, তবেই ভোটে লড়তে প্রস্তুত তারা।

মেহবুবা মুফতির কন্যা ইলতিজা কি রাজনীতিতে আসবেন? উত্তর দিলেন ইলতিজা নিজেই

শেষবার পঞ্চায়েত ভোট রাজনৈতিকভাবে হয়নি, তা বয়কট করেছিল এনসি এবং পিডিপি, এবারের নির্বাচন রাজনৈতিকভাবে হত। নির্বাচনের সেবার থেকে ১২,০০০ এর বেশি আসন ফাঁকা পড়ে রয়েছে, সেগুলি এবার পূরণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এদিন সন্ধ্যায় একটি বিবৃতিতে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বলেন, যে, জম্মু ও কাশ্মীরের স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে তাদের “আইনরক্ষাকারী সংস্থাগুলির থেকে বিশ্বস্ত তথ্য নিয়ে ভোট লাগু করতে বিবেচনা করা উচিত” বলে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

অগস্ট মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা বা ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় সরকার, এবং রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়, তখনই উপত্যকার গুরুত্বপূর্ণ নেতা মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লা, এবং তাঁর বাবা ফারুক আবদুল্লা র মতো রাজনৈতিক নেতাদের আটক করে রাখা হয়।

জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্টসংঘের মহাসচিবের মধ্যস্থতার প্রস্তাবও ফেরালো ভারত

অগস্ট থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে যে সমস্ত কড়াকড়ি করা হয়, তারমধ্যেই রয়েছে রাজনৈতিক নেতাদের আটক করা, কেন্দ্রের তরফে একে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া বিশেষে ধীরে ধীরে সেখানকার বিধি নিষেধ প্রত্যাহার করা হবে।

জানুয়ারি থেকে, সেখানে দুটি বিদেশি দলকে পাঠায় কেন্দ্র, জম্মু ও কাশ্মীরের স্বাভাবিক অবস্থা ফেরা নিয়ে তথ্য জানতে তাদের পাঠানো হয়।

.