This Article is From Sep 05, 2019

তিহার জেলে যাওয়ার আগে বিশেষ অনুরোধ পি চিদাম্বরমের

বৃহস্পতিবার পি চিদাম্বরমের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন দিল্লি আদালত, ফলে তাঁকে সিবিআইয়ের সদর দফতরের গেস্ট হাউজ থেকে যেতে হবে তিহার জেলে

তিহার জেলে যাওয়ার আগে বিশেষ অনুরোধ পি চিদাম্বরমের

পুলিশ ভ্যানে করে তিহার জেলে নিয়ে যাওয়া হয় পি চিদাম্বরমকে

নয়াদিল্লি:

পুলিশের গাড়িতে করে দিল্লির তিহার জেলে নিয়ে যাওয়া হল প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমকে(P Chidambaram), বৃহস্পতিবার, তিহার জেলে যাওয়া ঠেকাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন তিনি এবং তাঁর আইনজীবীরা। আইএনএক্স মিডিয়া (INX Media Case) কেলেঙ্কারিতে তাঁর বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক, তার অর্থ সিবিআইয়ের সদর দফতরের গেস্ট হাউজ থেকে আগামী দু সপ্তাহ তাঁকে থাকতে হবে এশিয়ার বৃহত্তম জেলে। ১ নম্বর জেলের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে রাখা হবে পি চিদাম্বরমকে। জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা থাকায়, তাঁর আইনজীবী কপিল সিব্বলের দাবিতে মান্যতা দিয়ে, বিশেষ সুবিধা অনুমোদন করেছে সিবিআই আদালত।

এরমধ্যে রয়েছে, একটি আলাদা সেল, একটি খাট (সাধারণত মেঝেতে শুতে হয় বন্দিদের), পশ্চিমি সুবিধাযুক্তি শৌচালয়, নিরাপত্তা ও ওষুধপত্র।

আদালতের নির্দেশের পরেই, দিল্লি পুলিশের কনভয়ে তিহার জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ২১ অগস্ট গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই, তাঁর হেফাজতে সম্ভাবনার কথা চিন্তা করে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে তিহার জেলে। পুলিশে ভ্যানে একা বসতে থাকতে দেখা গিয়েছে পি চিদাম্বরম, তারমাঝেই ভ্যানের দরজার ফাঁক দিয়ে হাসিমুখে সংবাদমাধ্যমের দিকে হাত নাড়ছিলেন তিনি।

১৫ দিনের সিবিআই হেফাজতে পি চিদাম্বরমকে ৯০ ঘন্টায় মোট ৪০০ এর বেশী প্রশ্ন করা হয়। সূত্রের খবর, গত দুদিনে শুধুমাত্র উত্তর দেননি পি চিদাম্বরম। পাঁচটি সাক্ষীর মুখোমুখি হয়েছেন বলে খবর।

পি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে, ২০১৭ এ অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিজের পদের অপব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছে সিবিআই, সেই সময় কার্তি চিদাম্বরমের অনুরোধে আইএনএক্স মিডিয়াকে বিদেশ লগ্নি পেতে সাহায্য করেন তিনি।

আইএএনএক্স মিডিয়ার সহপ্রতিষ্ঠাতা পিটার মুখোপাধ্যায় এবং ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের থেকে পি চিদাম্বরম এবং তাঁর ছেলে কার্তি চিদাম্বরমের নাম পাওয়া যায়। শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডে মুম্বইয়ের জেলে রয়েছে পিটার ও ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়।

কার্তি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে, বিদেশ লগ্নি পাইয়ের দেওয়ার বিনিময়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে, ২০১৮-এ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়, এবং ২৩ দিন পর ছাড়া পান তিনি।

 একই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ দায়ের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও।

.