This Article is From Dec 16, 2019

জামিয়ায় পুলিশি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করলো বিরোধীরা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পিনারাই বিজয়ন এবং অমরিন্দর সিং, ৩ মুখ্যমন্ত্রীই ঘোষণা করেছেন যে তাঁদের রাজ্যে নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি প্রয়োগ করতে দেবেন না

জামিয়ায় পুলিশি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করলো বিরোধীরা

Jamia Millia Islamia, Delhi Protest: বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই এই প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়

হাইলাইটস

  • জামিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি পদক্ষেপের নিন্দায় সরব বিরোধীরা
  • বিজেপির ইশারায় কাজ করছে দিল্লি পুলিশ, অভিযোগ তাঁদের
  • ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছে বিরোধী দলগুলি
নয়া দিল্লি:

দিল্লি পুলিশ বিজেপির ইশারায় কাজ করছে, এমনটাই অভিযোগ করল বিরোধী দলগুলি।জামিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jamia Millia Islamia) বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে যেভাবে পদক্ষেপ করেছে পুলিশ তার নিন্দা করে বিরোধীরা (Opposition On Jamia Millia Protest) ওই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন। পাশাপাশি জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের উপর পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তাঁরা। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ও তার আশেপাশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভে (Citizenship Amendment Act Protest) সামিল হয়েছিলেন কিছু পড়ুয়া, সেই সময়েই বিনা অনুমতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকে পড়ে পড়ুয়াদের আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।

এর আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং, এই তিনজনেই ঘোষণা করেন যে, তাঁদের রাজ্যে নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি প্রয়োগ করতে দেবেন না তাঁরা।

দিল্লিতে কংগ্রেস, সিপিআই, সিপিএম, লালু যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল এবং শরদ পওয়ারের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার ছাত্রদের পাশে দাঁড়ায়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাই রবিবার নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে তাঁদের। অভিযোগ পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করে, যার বিরুদ্ধে পাল্টা বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভে প্রথমে 'লাইক' করে পরে পিছু হঠলেন অক্ষয় কুমার

রবিবার সন্ধেয় জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ মিছিল ক্রমেই সহিংস হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা ভাঙচুর চালায় ও যানবাহন জ্বালিয়ে দেয়। সেই সময়েই পুলিশ এলে তাঁদের সঙ্গেও সংঘর্ষ বাঁধে শিক্ষার্থীদের। লাঠিচার্জ করে ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থীকে আটক করে। যদিও পরে আটক করা সব শিক্ষার্থীকেই ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ ছেড়ে দেওয়া হয়।

"কোনও আগাম অনুমতি না নিয়েই পুলিশ জোর করে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। আমাদের কর্মী ও শিক্ষার্থীদের মারধর করা হয় এবং ক্যাম্পাস ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়", বলেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ প্রক্টর ওয়াসিম আহমেদ খান।

‘‘একলা চলো রে'', নাগরিকত্ব আইনের মহামিছিলে আহ্বান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

সোমবার, কংগ্রেসের গুলাম নবী আজাদ ইঙ্গিত দেন যে দিল্লি পুলিশের উপর দিল্লি সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই, তাঁরা ক্ষমতাসীন বিজেপির নির্দেশে চলছে।

"জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং প্রক্টর যখন তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের অনুমতি দেননি, তখন তাঁরা কীভাবে সেখানে ঢুকে হস্তক্ষেপ করতে পারেন? দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে, মানে বিজেপির অধীনে", বলেন তিনি।

এদিকে কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি বিশাল জনসভায় বক্তব্য রাখেন, সেখানে তিনি বলেন যে,  নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি "প্রত্যাহার" না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তিনি।

.