This Article is From Apr 16, 2019

শবরীমালার কারণে মসজিদে মেয়েদের প্রবেশ নিয়ে আবেদন শুনতে রাজি হল শীর্ষ আদালত

আবেদনে ওই দম্পতি ইয়াসমিন জুবের আহমেদ পেরিজাদ এবং জুবের আহমেদ বলেছেন, তারা সুপ্রিম কোর্টের শবরীমালা মন্দিরের রায় দেখে খুবই অনুপ্রাণিত হয়েছেন।

শবরীমালার কারণে মসজিদে মেয়েদের প্রবেশ নিয়ে আবেদন শুনতে রাজি হল শীর্ষ আদালত

সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে আবেদন খতিয়ে দেখা হবে

হাইলাইটস

  • মসজিদে মেয়েদের প্রবেশাধিকার নিয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন এক দম্পতি
  • ওই দম্পতির নাম ইয়াসমিন জুবের আহমেদ পেরিজাদ এবং জুবের আহমেদ
  • তারা জানিয়েছেন, শবরীমালার রায় দেখে তারা অনুপ্রাণিত
নিউ দিল্লি:

সুপ্রিম কোর্ট আজকে জানিয়েছে, তারা মেয়েদের মসজিদে কোনও বাধা-নিষেধ ছাড়াই প্রবেশের আবেদন খতিয়ে দেখবে (The Supreme Court today said it will examine a plea for allowing entry of women into mosques without any restrictions)। এবং এই মর্মে সেন্ট্রাল ওয়াকফ কাউন্সিল এবং অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল' বোর্ডকে (the Central Waqf Council and the All India Muslim Personal Law Board) নোটিশও দেওয়া হয়েছে। শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়েছে, আমরা শবরীমালা রায়ের কারণেই এই কেসটির শুনানিতে রাজি হয়েছি। আমরা বিষয়টি দেখব। গত সেপ্টেম্বরে কেরালার শবরীমালা মন্দিরে (Sabarimala temple) মেয়েদের প্রবেশ নিয়ে একটি যুগান্তকারী রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে দীর্ঘ দিন ঋতুমতী বয়সের মেয়েদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল।

ঘড়িতে রাত তিনটে, ইস্তফাপত্র হাতে যোগীর বাড়ি গেলেন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী

মহারাষ্ট্রের এক মুসলমান দম্পতির আবেদনে সাড়া দিয়ে শীর্ষ আদালত তাদের জিজ্ঞাসা করে, ‘‘কোথাও ধর্মাচরণ করতে গিয়ে কোনও মসজিদে কেউ কি তাদের থামিয়েছিল?

আদালত ওই দম্পতিকে বেশ কিছু প্রশ্ন করে— ‘‘আপনি কি চান অন্য মানুষেরা আপনাকে সমান চোখে দেখুক? এটা কি কোনও বিচ্ছিন্ন ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? আপনি কি অন্য নাগরিকদেরও স্বাধীনতা দাবি করেন? সকলের সমান অধিকার সমান অধিকার বিষয়টি রাজ্য অগ্রাহ্য করতে পারে না। গির্জা বা মসজিদ কি রাজ্য? যদি কেউ কারো নিজের বাড়িতে আপনাকে ঢুকতে না দেয় তা হলে আপনি কি পুলিশের সাহায্য নিতে পারেন?'' নিজের বক্তব্যে বলেছে শীর্ষ আদালত।

আবেদনে ওই দম্পতি ইয়াসমিন জুবের আহমেদ পেরিজাদ এবং জুবের আহমেদ বলেছেন, তারা সুপ্রিম কোর্টের শবরীমালা মন্দিরের রায় দেখে খুবই অনুপ্রাণিত হয়েছেন এবং তারা মসজিদে লিঙ্গের ভিত্তিতে হওয়া অসাম্যের বিরোধী।

আবেদনে বলা হয়েছে নারীদের মসজিদে ঢুকতে না দেওয়াটা আইনত অন্যায় এবং সংবিধানের ১৪, ১৫, ২১, ২৫ ও ২৯ নম্বর ধারাকে অগ্রাহ্য করার সমান।

আবেদনে আরও বলা হয়েছে প্রফেট মহম্মদ বা পবিত্র কোরান কোথায় এমন বলা নেই যে মেয়েরা মসজিদে প্রার্থনা করতে পারবে না। কোরান কখনোই পুরুষ ও নারীর মধ্যে বিভেদ করে না। তা শুধু বিশ্বাসের কথা বলে। কিন্তু ইসলাম তার পরিবর্তে একটি ধর্মে পরিণত হয়েছে যারা নারীদের প্রতি শুধুমাত্র দমনমূলক আচরণ করে।''

গত বছর ২৮ শে সেপ্টেম্বর মুখ্য বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বে ৫ জন বিচারকের একটি বেঞ্চ শবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশ নিয়ে একটি যুগান্তকারী রায় দিয়েছিল। তবে সেই রায়ের পরে মন্দিরে মেয়েদের প্রবেশ নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছিল অশান্তি এবং হিংসা ছড়িয়েছিল।

.