This Article is From Feb 18, 2020

শিনা বোরা হত্যা মামলায় মু্ম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাকেশ মারিয়ার চাঞ্চল্যকর দাবি

প্রকাশিত স্মৃতিকথা ‘লেট মি সে ইট নাউ'-তে রাকেশ লেখেন, খবরটা জানার পর সেই রাতে তিনি চোখের পাতা এক করতে পারেননি।

শিনা বোরা হত্যা মামলায় মু্ম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাকেশ মারিয়ার চাঞ্চল্যকর দাবি

স্মৃতিকথা ‘লেট মি সে ইট নাউ’-তে শিনা বোরা মামলায় চাঞ্চল্যকর দাবি রাকেশের।

হাইলাইটস

  • প্রকাশিত রাকেশ মারিয়ার স্মৃতিকথা ‘লেট মি সে ইট নাউ’
  • সেই বইতে শিনা বোরা হত্যা মামলা নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি তাঁর
  • রাকেশ লেখেন, খবরটা জানার পর সেরাতে তিনি চোখের পাতা এক করতে পারেননি
মুম্বই:

২০১৫ সালে শিনা বোরা হত্যা মামলা (Sheena Bora Case) সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তরিত হওয়ার পর মুম্বই পুলিশের তৎকালীন কমিশনার রাকেশ মারিয়ার (Rakesh Maria) কাছে মিডিয়া ব্যারন পিটার মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যুগ্ম কমিশনার দেবেন ভারতীর পরিচয় থাকার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছিল। সেই সময় রসিকতা করে রাকেশ বলেছিলেন, ‘‘কিছু কথা থাক আমার স্মৃতিকথার জন্য।'' পাঁচ বছর পরে অবশেষে প্রকাশিত তাঁর স্মৃতিকথা ‘লেট মি সে ইট নাউ'। বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘এবার আমাকে বলতে দাও'। সেই বইতে রাকেশ দাবি করেছেন, শিনা বোরার অন্তর্ধানের ব্যাপারে অবহিত ছিলেন দেবেন ভারতী। প্রসঙ্গত, শিনা হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় ও পিটার মুখোপাধ্যায়।

শিনা বোরা হত্যা মামলার তদন্তভার তদন্তের মাঝপথে নাটকীয় ভাবে রাকেশ মারিয়ার হাত থেকে চলে যায়। তৎকালীন অতিরিক্ত মুখ্য স্বরাষ্ট্র সচিব কেপি বক্সী তাঁকে একটি মেসেজ করে খবরটি দেন।

তাঁর বইতে রাকেশ বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন পিটার মুখোপাধ্যায়কে করা জেরা সম্পর্কে। তিনি এও উল্লেখ করেছেন, পিটার দাবি করেন তিনি ২০১২ সালে শিনার অন্তর্ধানের পরেই দেবেন ভারতীকে সে ব্যাপারে অবহিত করেছিলেন। ২০১৫ সালে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

তাঁর বইতে রাকেশ লেখেন, খবরটা জানার পর সেই রাতে তিনি চোখের পাতা এক করতে পারেননি। তিনি আরও লিখেছেন, শিনা বোরার অন্তর্ধানের সময় দেবেন ভারতী ছিলেন অপরাধ শাখার অতিরিক্ত কমিশনার। এবং তিনি চাইলে শিনাকে খুঁজে বের করতে অনেক কিছু করতে পারতেন।

বর্তমানে জঙ্গি-দমন শাখার প্রধান দেবেন ভারতী অবশ্য রাকেশ মারিয়ার দাবিকে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘রাকেশ মারিয়ার পরিবারের বলিউডের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে। তাই মনে হচ্ছে চিত্রনাট্যকারদের বিরাট প্রভাব তাঁর উপরে পড়েছে। এটা ওই বই এবং ওয়েব সিরিজের ব্যবসায়িক কৌশল বলে মনে হচ্ছে। চেষ্টা করা হয়েছে সত্য বলার জায়গায় চোখ কপালে তোলার উপাদান বেশি রাখার।''তিনি আরও বলেন, ‘‘একটি ফিকশন না পড়ে চার্জ শিট ও কেস ডায়রি পড়ে দেখাই বাঞ্ছনীয়। বেশি মন্তব্য করব না, কেননা এখনও বিচার প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু এটুকু বলতেই পারি তদন্তকারী দলের সকলেই সবটা সম্পর্কে অবগত।''

.