This Article is From Jan 20, 2020

এনআরসি-সিএএ বিরোধিতার সুর মিলিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানকে

ইস্ট-মোহনের চিরকালীন দ্বৈরথেও এভাবে এনআরসি-বিরোধিতায় এককাট্টা সুর প্রমাণ করছে প্রতিবাদ রাজ্যে সর্বাত্মক চেহারা নিয়েছে।

এনআরসি-সিএএ বিরোধিতার সুর মিলিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানকে

এনআরসি-সিএএ বিরোধিতার ঢেউ এবার ফুটবল মাঠেও!

কলকাতা:

এনআরসি (NRC) ও সিএএ (CAA) নিয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের ঢেউ দেশের অন্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গেও পৌঁছে গিয়েছে মাসখানেক আগে থেকেই। এবার সেই ঢেউ দেখা গেল ফুটবল মাঠেও! রবিবারের বড় ম্যাচ— ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান (East Bengal Vs Mohun Bagan) ডার্বিতে গ্যালারিতে দেখা গেল এনআরসি-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। ডার্বি এর আগে কতই হয়েছে। বারবার মুখোমুখি হয়েছে বাংলার দুই প্রাচীন ক্লাব। কিন্তু সেই চির প্রতিদ্বন্দ্বিতাও যেন একসুরে বাঁধা পড়ল এনআরসি-বিরোধিতায়। সল্টলেকের জমজমাট গ্যালারিতে আচমকাই দেখা মিলল এক প্রকাণ্ড ব্যানারের। ইস্টবেঙ্গল গ্যালারিতে ঝোলানো সেই অতিকায় ব্যানারে লেখা ‘রক্ত দিয়ে কেনা মাটি, কাগজ দিয়ে নয়।'

এক কোটি বাংলাদেশী মুসলিমকে দেশে ফেরত পাঠাব, দাবি করলেন বিজেপি নেতা Dilip Ghosh

একথা সামান্য ফুটবল জ্ঞান থাকা মানুষও জানেন যে ইস্ট-মোহন লড়াই আসলে বাঙাল বনাম ঘটি দ্বৈরথ। পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ‘ঘটি' বনাম অবিভক্ত ভারতের পূর্ববঙ্গ বা স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের পূর্ব পাকিস্তান বা বাংলাদেশ থেকে আসা ‘বাঙাল'-দের দুই ক্লাব খেলার মাঠে একজোট হন জমজমাট ফুটবল দেখতে।

বরাবরই ডার্বির সময় গ্যা‌লারিতে দেখা যায়, একে অপরকে কটাক্ষ করা ব্যানার ঝুলছে। কিন্তু রবিবারের বিকেলটাই যেন অন্য রকম। একটি ব্যানারে লেখা ছিল, ‘‘প্রিয় সন্তানরা, আমাদের দেশে স্বাগত''। এই ব্যানার ঝুলছিল মোহনবাগান গ্যালারি থেকে। ব্যানারের বক্তব্য থেকে পরিষ্কার, সেখানে পূর্ববঙ্গের বাসিন্দাদের স্বাগত জানানো হচ্ছে।

সব রাজ্যকে CAA বাতিলের প্রস্তাব আনতে আর্জি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

এছাড়াও গ্যালারিতে অনেকেরই হাতে ছিল ভারতের পতাকা। দেশের পতাকা হাতে মাঠে আসা যেন এক তীব্র বার্তারই সংকেত দিচ্ছিল।

ইস্ট-মোহনের চিরকালীন দ্বৈরথেও এভাবে এনআরসি-বিরোধিতায় এককাট্টা সুর প্রমাণ করছে প্রতিবাদ রাজ্যে সর্বাত্মক চেহারা নিয়েছে।

গত মাস থেকে রাজ্যে এনআরসি-সিএএ বিরোধিতা শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে প্রবল প্রতিবাদ করেছেন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও প্রস্তাবিত এনআরসির। অনুমতি দেননি এনপিআর-এরও, যাকে এনআরসির প্রথম ধাপ বলে ভাবা হচ্ছে।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সমালোচকদের মতে, এই আইন বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানে বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী। এর আগে বিভিন্ন রাজ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়েছে। এ রাজ্যেও এই বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

.