This Article is From Jul 04, 2018

যাদবপুরের কলা বিভাগের অ্যাডমিশন প্রক্রিয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত এখনও বিশ বাঁও জলে

মঙ্গলবার অ্যাডমিশন কমিটির প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য একটি মিটিং-এর বন্দোবস্ত করেন

যাদবপুরের কলা বিভাগের অ্যাডমিশন প্রক্রিয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত এখনও বিশ বাঁও জলে

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার বাসনা নিয়ে আসা শিক্ষার্থীদের কাছে এই পরিস্থিতি প্রবল অসুবিধাজনক (ফাইল)

কলকাতা:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঝামেলা যেন ফুরোচ্ছেই না। এই সময় যা নিয়ে সমস্যা, তা হল, ভারতের অন্যতম সেরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগে কীভাবে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি নেওয়া হবে। 

মঙ্গলবার অ্যাডমিশন কমিটির প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য একটি মিটিং-এর বন্দোবস্ত করেন। কিন্তু মতৈক্য না হওয়ার ফলে সংশ্লিষ্ট মিটিং-টি তড়িঘড়ি শেষ করে দিতে হয়। আজ আবার জরুরি ভিত্তিতে এক্সিকিউটিভ কমিটির মিটিং ডাকা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার বাসনা নিয়ে আসা শিক্ষার্থীদের কাছে এই পরিস্থিতি প্রবল অসুবিধাজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রবেশিকা পরীক্ষাটিও আজ স্থগিত রাখা হয়। এই রাজ্যের বাইরে থেকে অন্তত দুজনের ওই প্রবেশিকা পরীক্ষাটি দেওয়ার কথা ছিল। তাদের মধ্যে একজন ভিয়েতনামের। আরেকজন রাজস্থানের। যতক্ষণ না নতুনভাবে প্রবেশিকা পরীক্ষার তারিখ ঠিক হচ্ছে, ততক্ষণ অপেক্ষা করে যাওয়া ছাড়া আর এখন কোনও উপায় নেই তাদের কাছে। 

ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি হওয়া নিয়ে অবশ্য কোনও সমস্যা নেই। জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে এই বিভাগে ভর্তি নেওয়া হয়। অন্যদিকে, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার নম্বরের ওপর ভিত্তি করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শাখায় পড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেওয়া হয়।

কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগে ভর্তি প্রক্রিয়ার নিয়মটি বরাবরই আলাদা। কলা বিভাগের ন'টি মূল বিষয়ের প্রত্যেকটিতে ভর্তির জন্য আগে আলাদা আলাদা নিয়ম মেনে চলা হত। কোনও বিষয়ের জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হত। কোনও বিষয়ের ক্ষেত্রে আবার উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষার নম্বরই যথেষ্ট ছিল। কোনও কোনও বিষয়ের জন্য আবার উচ্চমাধ্যমিকের নম্বর ও প্রবেশিকা পরীক্ষার নম্বর মিলিয়ে দেখার পর তার ওপর ভিত্তি করেই তৈরি হত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভর্তির মেধা তালিকা।

গত সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কমিটির পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় যে, এবার থেকে একটি অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হবে কলা বিভাগে ভর্তির জন্য। যার কথা, কলা বিভাগের শিক্ষকদের বক্তব্য অনুযায়ী, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলে চলেছেন গত তিন বছর ধরে।

.