This Article is From Sep 11, 2018

Hyderabad Nizam নিজামের জহরত বসানো টিফিন বাক্সে খাবার খাচ্ছিল চোর- জাদুঘরে চুরি কিনারা করল পুলিশ

2 সেপ্টেম্বর রাতে হায়দ্রাবাদের পুরানি হাভেলির জাদুঘরে ভেন্টিলেটার ভেঙে প্রবেশ করে ওই দুই চোর।

নিজাম নিজে হয়ত ব্যবহার করেননি, কিন্তু দুই চোরের একজন প্রতিদিন ওই টিফিন বাক্সেই টিফিন খেত বলে জানিয়েছে হায়দ্রাবাদ পুলিশ

হায়দরাবাদ:

হায়দ্রাবাদে নিজামের জাদুঘর থেকে সোনা হীরে জহরত চুরি করে পালিয়ে মুম্বাইয়ে পাঁচতারা হোটেলে উঠেছিল দুই চোর। প্রায় হলিউডি কায়দায় এক সপ্তাহের মধ্যে চোরের এই জুটিকে পাকড়াও করেছে পুলিশ।

চার কেজির একটি সোনার টিফিন বাক্স, যাতে হীরা, চুনি ও পান্না বসানো, একটি রুবি বসানো সোনার পেয়ালা ও পিরিচ, সোনার চামচ ও ট্রে উদ্ধার হয়েছে ওই চোরেদের থেকে। ত্রিস্তরী ওই টিফিন বক্সের মূল্য কয়েক কোটি টাকা। নিজাম নিজে হয়ত ব্যবহার করেননি, কিন্তু দুই চোরের একজন প্রতিদিন ওই টিফিন বাক্সেই টিফিন খেত বলে জানিয়েছে হায়দ্রাবাদ পুলিশ।

2 সেপ্টেম্বর রাতে হায়দ্রাবাদের পুরানি হাভেলির জাদুঘরে ভেন্টিলেটার ভেঙে প্রবেশ করে ওই দুই চোর। মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করতে ভেন্টিলেটারের লোহার গ্রিল কেটে হামাগুড়ি দিয়ে তাঁরা ঢোকে ওই জাদুঘরে।

"সোনার আস্তরণ দেওয়া একটি কোরাণ বই চুরি করতেই যাচ্ছিল তাঁরা, তক্ষুণি তাঁদের কানে আসে সকালের আজান বা ফজর কা আজান শুরু হয়ে গিয়েছে। জানিনা ওরা ভয় পেল নাকি সংবেদনশীল হয়ে পড়ল হঠাৎ আজান শুনে, কোরাণটা ওরা চুরি করে নিয়ে যায়নি” জানান হায়দরাবাদ পুলিশ কমিশনার অঞ্জনি কুমার। চুরি যাওয়া জিনিসের মধ্যে শুধু সোনারই বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় 1 কোটি টাকা কিন্তু এসবের অ্যান্টিক হিসেবে কদর দামের চেয়েও বেশি। "দুবাইয়ের বাজারে 30-40 কোটি টাকায়আরামে বেচে দিত পারত এই চোরেরা" জানিয়েছেন পুলিশ প্রধান।

ওই চত্বরে প্রায় 32 টি সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। কিন্তু তাতে কোনও ফুটেজই পাওয়া যায়নি কারণ চুরির সময় ক্যামেরার মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেয় ওই চোরেরা।

ওই জাদুঘর থেকে পালানোর জন্য 18 টি আলাদা আলাদা রাস্তা ছিল। একটি ক্যামেরায় ধরা পড়ে দুই ব্যক্তি একটি বাইকে চেপে পালাচ্ছে। কিন্তু সেই ফুটেজ থেকে চোরেদের মুখ দেখা একেবারেই সম্ভব ছিল না। চোরেরা মাফলারও বেঁধে রেখেছিল মুখে। বাইকের পিছনে বসা ব্যক্তিকে দেখা যায় মোবাইলে কথা বলতে, ওই ফোনটি ট্র্যাক করতে বাইশটি দলকে কাজে লাগিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু সেই চেষ্টা বৃথা যায়। কারণ পুলিশকে বোকা বানাতে ফোন করার অভিনয় করেছিল ওই চোর। তাঁদের ফোনে কোনও সিমকার্ডই ছিল না। ভেন্টিলেটার দিয়ে ঢুকে যেতে পারে এমন চেহারার ব্যক্তি যারা এর আগে চুরির নানা ঘটনায় অভিযুক্ত তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ চালায় পুলিশ। অবশেষে চারমিনারের একটি ভিডিও সার্ভিলিয়েন্স থেকে দেখা যায় ওই দুই ব্যক্তির বাইক মাঝ পথে রেডিয়েটরের গোলযোগের কারণে থেমে যায়।

জাহিরাবাদ জেলার কাছে পুলিশ একটি পরিত্যক্ত বাইক উদ্ধার করে যার রেডিয়েতর খারাপ ছিল। ওই দুই চোর মুম্বাই পালিয়ে গিয়ে পাঁচতারা হোটেলে ওঠে, কয়েকদিন আরাম করে থাকেও। ঘটনার মূল অভিযুক্তের নামে ইতিমধ্যেই 26 টি মামলা রয়েছে। তাঁর সহযোগী চোর যিনি সে বয়সে ছোট হলেও এই চুরির মাস্টারমাইন্ড। কয়েক মাস আগে পর্যটক হিসেবে জাদুঘর ঘুরতে এসেই চুরির ছক করে তাঁরা।

.