This Article is From Jan 28, 2020

জেলের মধ্যে যৌন নিগ্রহের শিকার নির্ভয়া কাণ্ডের আসামি, অভিযোগ আইনজীবীর

মুকেশের আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেলকে জেলে বারংবার যৌন নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, মুকেশকে নির্জন কারাবাসে পাঠানো হয়েছিল।

জেলের মধ্যে যৌন নিগ্রহের শিকার নির্ভয়া কাণ্ডের আসামি, অভিযোগ আইনজীবীর

Nirbhaya Case: চার অপরাধীর ফাঁসি হওয়ার কথা আগামী শনিবার ভোর ছ’টায়।

হাইলাইটস

  • প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ অন্যতম অপরাধী মুকেশের
  • সেই পিটিশনের শুনানি বুধবার
  • চার অপরাধীর ফাঁসি হওয়ার কথা ১ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টায়
নয়াদিল্লি:

নির্ভয়া কাণ্ডের (Nirbhaya Case) চার অপরাধীর ফাঁসি হওয়ার কথা ১ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টায়। তার আগে নির্ভয়া কাণ্ডের অন্যতম অপরাধী মুকেশ সিংহ (Mukesh Singh) তার প্রাণভিক্ষার আর্জি রাষ্ট্রপতির খারিজ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাল সুপ্রিম কোর্টে। আগামী বুধবার সুপ্রিম কোর্ট সেই পিটিশনের রায় দেবে। মুকেশের আইনজীবী মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতকে জানান, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে সমস্ত নথি পাঠানো হয়নি। তাই তাঁর ক্ষমা ভিক্ষার আর্জিতে নেওয়া সিদ্ধান্ত বিধিবহির্ভূত। তাঁৱ দাবি, মুকেশকে জেলে মারধর করা হয়েছে এবং যৌন নিগ্রহ করা হয়েছে। সেই সব নথি রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া হয়নি। শীর্ষ আদালত তাঁর আবেদন খারিজ করে জানায়, সব নথি রাষ্ট্রপতিকে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।

মুকেশের আইনজীবী অঞ্জনা প্রকাশ বলেন, ‘‘আপনারা কারও জীবন নিয়ে খেলছেন। আপনাদের নিজেদের মস্তিষ্ককে চালানো উচিত।''  

Nirbhaya Case: "অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত যদি...": নির্ভয়া কাণ্ডে বললেন প্রধান বিচারপতি

উত্তরে বিচারপতি অশোক ভূষণ বলেন, ‘‘আপনি বলতে চান রাষ্ট্রপতিকে সব নথি দেখে তবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে?''  

তিনি আরও বলেন, ‘‘কী করে আপনি বলতে পারেন সব তথ্য-নথি রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া হয়নি? কী করে আপনি বলতে পারেন রাষ্ট্রপতি মন থেকে এই সিদ্ধান্ত নেননি?''

মুকেশের আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেলকে জেলে বারংবার যৌন নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, মুকেশকে নির্জন কারাবাসে পাঠানো হয়েছিল। এমনকী, তার প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ হওয়ার আগেই। এটা বন্দি আইনের পরিপন্থী।

Nirbhaya Case: ক্রমাগত 'মৃত্যুদণ্ড' পিছতে চাইছে অপরাধীরা, আদালতকে বললেন সরকারি আইনজীবী

পুলিশের প্রতিনিধি সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ‘‘জেলে ভোগান্তির কারণ কখনও প্রাণভিক্ষার কারণ হতে পারে না। মুকেশকে নির্জন কারাবাসে পাঠানো হয়নি। অল্প সময়ের জন্য আলাদা সেলে রাখাকে নির্জন কারাবাসের সঙ্গে তুলনা করা যায় না।''

তুষার মেহতা আরও বলেন, ‘‘কখনও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীর মানসিক স্বাস্থ্য ও শারীরিক অবস্থার এমন অবনতি হয় যে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যায় না। কিন্তু এক্ষেত্রে এই অপরাধীর (মুকেশ) শারীরিক অবস্থা ভালই রয়েছে।''

শনিবার ভোরে ফাঁসি হওয়ার কথা চার অপরাধীর। সোমবার প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে বলেন, মুকেশের পিটিশনকে অগ্রাধিকার দিতেই হবে, কেননা ফাঁসির তারিখ আর খুব বেশি বাকি নেই।

শেষ মুহূর্তের এই পিটিশনকে ফাঁসি এড়ানোর শেষ মরিয়া চেষ্টা বলে দেখা হচ্ছে।

গত ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে ২৩ বছরের তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়। পরে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। এই চার অপরাধী ছাড়াও আরও দু'জন এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে ছিল। তাদের একজনের গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত মৃত্দেহ জেলের মধ্যে পাওয়া যায়। অন্য অপরাধী নাবালক বলে তিন বছর পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

.